আফগানিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন সাকিব আল-হাসান। দেরাদুনের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে প্রায় আড়াই মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। একই স্টেডিয়ামে সিরিজের বাকি ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৭ জুন।
এখন পর্যন্ত মাত্র একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টি এই প্রথম। এই প্রথমবারের মতো টি-২০ সিরিজ শুরু করলেও, ছোট ফরমেটে ইতিমধ্যে লড়াই করেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। তাও আবার মাত্র একবার। ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ওই ম্যাচে হেসেখেলে জয় পেয়েছিল টাইগাররা।
চার বছর আগের সেই আফগানিস্তান, এখন আর আগের চেহারায় নেই। বদলে গেছে আফগান দলের চিত্রপট। টি-২০ ফরম্যাটে সর্বাধিক উন্নতি করা দল আফগানরা। আইসিসির র্যাং কিং সেটিই প্রমাণ দিচ্ছে। আইসিসি টি-২০ র্যাং কিং-এ বাংলাদেশকে পেছনে রেখেছে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দলটি। বর্তমানে অষ্টম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশের অবস্থান দশম।
তাই আফগানিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে থেকে প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় টি-২০ সিরিজ শুরু করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলনেতার মতো একই সুরে কথা বলেন বাংলাদেশের দলের সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের জন্য তারুণ্যনির্ভর দল গঠন করেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের দলে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন ১৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান দারউইশ রসুলি। যুব বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারনেই জাতীয় দলে ডাক পেলেন তিনি।
পাশাপাশি স্পিন বিভাগে রয়েছেন রশিদ খান ও মুজিব-উর রহমান। সদ্যই শেষ হওয়া আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের হয়ে রশিদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলেন মুজিব। রশিদ ১৭ ম্যাচে ২১ উইকেট এবং ১১ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেন। তাই রশিদের সাথে মুজিবের স্পিন আক্রমনের বিপক্ষে বড় ধরনের পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে।
