গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মালিতে শহীদ চার বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ মার্চ) ঢাকা সেনানিবাসে জানাজায় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকসহ সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার এবং মিনুসমা ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার মেজর জেনারেল আমাদু কেনে শহীদদের সম্মানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর শান্তিরক্ষীদের মরদেহ নিজ নিজ গ্রামের বাড়ি পাঠানো হয়।
শহীদ সেনাসদস্যরা হলেন- পিরোজপুর জেলার ওয়ারেন্ট অফিসার আবুল কালাম, ময়মনসিংহ জেলার ল্যান্স কর্পোরাল আকতার, পাবনার সৈনিক রায়হান ও চাপাঁইনবাবগঞ্জের সৈনিক জামাল।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যানব্যাট-৪ এর একটি লজিস্টিক কনভয় এস্কর্ট (নিরাপত্তা দল) গাঁও হতে মপতি যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীদের পুঁতে রাখা শক্তিশালী ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইজ (আইইডি) বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যু হয়।
গত ৭ মার্চ মালির রাজধানী বামাকোতে শহীদ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘ সম্মান প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে সেনাসদস্যদের মরদেহ গত ১৫ মার্চ ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
মালিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মিশন হিসেবে বিবেচিত। ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই মিশনে ইতোমধ্যে নয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীসহ বিভিন্ন দেশের সর্বমোট ১৫৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।