সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত শতাধিক আন্দোলনকারী ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিপেটা ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে তারা শাহবাগ ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে যেতে থাকেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাহবাগ থানার সামনে থেকে কিছুক্ষণ পর পর টিয়ারশেল ছুড়ছে পুলিশ। আর শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা ঢাবির চারুকলার সামনে থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছেন। আন্দোলনকারীরা চারুকলার সামনের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন। জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে তাদের। থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে শাহবাগ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে পুলিশের অন্তত তিনটি জলকামান রয়েছে।
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক হাসান আল মামুন বলেন, 'আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। পুলিশের টিয়ারশেল, ফাঁকা গুলিতে শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।'
মামুন জানান, পুলিশের হামলার পর আন্দোলনকারীরা চারুকলার দিকে গেলে সেখানেও পুলিশ শাহবাগ থানার সামনে থেকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে।
এর আগে আজ দুপুর ২টার দিকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। পদযাত্রাটি রাজু ভাস্কর্য হয়ে নীলক্ষেত ও কাঁটাবন ঘুরে শাহবাগ মোড়ে আসে। সেখানে বিকেল ৩টা থেকে অবস্থান শুরু করে তারা। পরে সেখানে হামলা চালায় পুলিশ।
আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবি হলো বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি ৫৬ থেকে ১০ শতাংশ করা, যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা, একটি পরিবার থেকে একাধিক প্রার্থীকে কোটায় চাকরি না দেওয়া, কোটার জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া, চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়স প্রক্রিয়া প্রণয়ন করা।