প্রস্তাবিত নারী উন্নয়ন নীতিমালা
১৯৭৫ সালে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ১ম বিশ্ব নারী সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পা রাখে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে গৃহীত নারী নীতি সমূহে জোরালো সমর্থন ও ভূমিকা রাখতে শুরু করে। অতঃপর ডিসেম্বর ১৯৭৯-তে জাতিসংঘে 'নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ 'সিডো' (CEDAW) গৃহীত হয়। এ সনদে স্বাক্ষরকারী প্রথম ১০টি দেশের অন্যতম হ'ল বাংলাদেশ। এই সিডো-কে বলা হয় কুরআন ও ইসলামী পরিবার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি 'নীরব টাইম বোমা'। ফলে বিগত কোন সরকারই এ সনদ বাস্তবায়নে সাহসী হয়নি। অথচ গত ৭ই মার্চ '১১ মন্ত্রীসভা এটি হুবহু অনুমোদন করে। পরদিন সরকারী সংবাদ সংস্থা (বাসস) পরিবেশিত খবরে বলা হয় যে, ভূমি সহ সম্পদ, সম্পত্তি ও উত্তরাধিকারে নারীর সমানাধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১-এর খসড়া মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত হয়েছে। এতে আলেম সমাজ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে তিনদিন ধরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বসে ঘষা-মাজা করে অবশেষে ২৫ (২) ধারায় বলা হয়, 'উপার্জন, উত্তরাধিকার, ঋণ, ভূমি এবং বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের ক্ষেত্রে নারীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রদান করা'। ২৩ (৫) ধারায় বলা হয়, সম্পদ, কর্মসংস্থান, বাজার ও ব্যবসায় নারীকে সমান সুযোগ ও অংশীদারিত্ব দেওয়া। ১৭ (৫) ধারায় বলা হয়, স্থানীয় বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কোন ধর্মের, কোন অনুশাসনের ভুল ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারী স্বার্থের পরিপন্থী এবং প্রচলিত আইন বিরোধী কোন বক্তব্য প্রদান বা অনুরূপ কাজ বা কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করা। ১৭(৩) ধারায় বলা হয়, নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন সংশোধন ও প্রয়োজনীয় নতুন আইন প্রণয়ন করা'। অতঃপর ১৭ (২) ধারায় গিয়ে আসল কথা ফাঁস করে দিয়ে বলা হয়, 'নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডো)-এর প্রচার ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণকরা'। ফলে জাতিসংঘ ঘোষিত এই 'সিডো' বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে দেশের সংবিধান, আইন ও রাষ্ট্রীয় নীতি সবই বদল হ'তে পারে। একই সময় ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মারিয়ার্টি সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করার তাকীদ দিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন (১৫ মার্চ/১১ ইনকিলাব ১/৪ কলাম)।
১৯৭৫ সালে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ১ম বিশ্ব নারী সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পা রাখে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে গৃহীত নারী নীতি সমূহে জোরালো সমর্থন ও ভূমিকা রাখতে শুরু করে। অতঃপর ডিসেম্বর ১৯৭৯-তে জাতিসংঘে 'নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ 'সিডো' (CEDAW) গৃহীত হয়। এ সনদে স্বাক্ষরকারী প্রথম ১০টি দেশের অন্যতম হ'ল বাংলাদেশ। এই সিডো-কে বলা হয় কুরআন ও ইসলামী পরিবার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি 'নীরব টাইম বোমা'। ফলে বিগত কোন সরকারই এ সনদ বাস্তবায়নে সাহসী হয়নি। অথচ গত ৭ই মার্চ '১১ মন্ত্রীসভা এটি হুবহু অনুমোদন করে। পরদিন সরকারী সংবাদ সংস্থা (বাসস) পরিবেশিত খবরে বলা হয় যে, ভূমি সহ সম্পদ, সম্পত্তি ও উত্তরাধিকারে নারীর সমানাধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১-এর খসড়া মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত হয়েছে। এতে আলেম সমাজ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে তিনদিন ধরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বসে ঘষা-মাজা করে অবশেষে ২৫ (২) ধারায় বলা হয়, 'উপার্জন, উত্তরাধিকার, ঋণ, ভূমি এবং বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের ক্ষেত্রে নারীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রদান করা'। ২৩ (৫) ধারায় বলা হয়, সম্পদ, কর্মসংস্থান, বাজার ও ব্যবসায় নারীকে সমান সুযোগ ও অংশীদারিত্ব দেওয়া। ১৭ (৫) ধারায় বলা হয়, স্থানীয় বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কোন ধর্মের, কোন অনুশাসনের ভুল ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারী স্বার্থের পরিপন্থী এবং প্রচলিত আইন বিরোধী কোন বক্তব্য প্রদান বা অনুরূপ কাজ বা কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করা। ১৭(৩) ধারায় বলা হয়, নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন সংশোধন ও প্রয়োজনীয় নতুন আইন প্রণয়ন করা'। অতঃপর ১৭ (২) ধারায় গিয়ে আসল কথা ফাঁস করে দিয়ে বলা হয়, 'নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডো)-এর প্রচার ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণকরা'। ফলে জাতিসংঘ ঘোষিত এই 'সিডো' বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে দেশের সংবিধান, আইন ও রাষ্ট্রীয় নীতি সবই বদল হ'তে পারে। একই সময় ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মারিয়ার্টি সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করার তাকীদ দিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন (১৫ মার্চ/১১ ইনকিলাব ১/৪ কলাম)।