পলাশীর মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি ও আমাদের শিক্ষা
কোন জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য না থাকা যেমন দুঃখজনক, তেমনি ইতিহাস থাকার পরও যে জাতি আপন ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে অজ্ঞ সে জাতি নিঃসন্দেহে হতভাগ্য। কেননা ইতিহাস শুধু অতীতের ফেলে আসা হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার ঘটনাই প্রকাশ করে না; সাথে সাথে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎ চলার পথের প্রেরণার উৎস ও সঠিক দিশা দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস যেমন দীর্ঘ তেমনি গৌরবময়। অথচ বাঙালী মুসলমানরা আজ তাদের সে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বেমালুম ভুলতে বসেছে। ভারতবর্ষের বিচিত্র ইতিহাসের মধ্যে পলাশীর মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন মীর জাফর আর জগৎশেঠদের মত এদেশীয় কিছু ক্ষমতালিপ্সু স্বার্থান্বেষী বিশ্বাসঘাতকের চরম বিশ্বাসঘাতকতায় সুচতুর বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলার পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। সাথে সাথে এদেশের আকাশে নেমে আসে দুর্যোগের ঘনঘটা; বাংলার জমিনে নেমে আসে দুর্ভেদ্য অমানিশা; এদেশের মানুষের উপর চেপে বসে পরাধীনতার জগদ্দল পাথর। সেই থেকে সমগ্র ভারতবর্ষ ১৯০ বছর ধরে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিল। তাই প্রতি বছর জুন মাস আসলেই এদেশের স্বাধীনচেতা মানুষের অন্তরে জেগে উঠে পলাশীর আম্রকাননের বিভীষিকা। দুঃখজনক হ'লেও সত্য যে, শুরু থেকেই ভারতবর্ষের মুসলমানদের হেয় করার লক্ষ্যে এবং বাঙালী মুসলমান নেতাদের নামে কালিমা লেপনের উদ্দেশ্যে সুস্থ মস্তিষ্কে পলাশীর প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে সে চাপাপড়া ইতিহাস অনেকাংশে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই নতুন প্রজন্মকে প্রকৃতপক্ষে ইতিহাস সচেতন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই আলোচ্য নিবন্ধে ঐতিহাসিক পলাশীর ট্র্যাজেডি সংক্ষিপ্তাকারে আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
কোন জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য না থাকা যেমন দুঃখজনক, তেমনি ইতিহাস থাকার পরও যে জাতি আপন ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে অজ্ঞ সে জাতি নিঃসন্দেহে হতভাগ্য। কেননা ইতিহাস শুধু অতীতের ফেলে আসা হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার ঘটনাই প্রকাশ করে না; সাথে সাথে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎ চলার পথের প্রেরণার উৎস ও সঠিক দিশা দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস যেমন দীর্ঘ তেমনি গৌরবময়। অথচ বাঙালী মুসলমানরা আজ তাদের সে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বেমালুম ভুলতে বসেছে। ভারতবর্ষের বিচিত্র ইতিহাসের মধ্যে পলাশীর মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন মীর জাফর আর জগৎশেঠদের মত এদেশীয় কিছু ক্ষমতালিপ্সু স্বার্থান্বেষী বিশ্বাসঘাতকের চরম বিশ্বাসঘাতকতায় সুচতুর বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলার পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। সাথে সাথে এদেশের আকাশে নেমে আসে দুর্যোগের ঘনঘটা; বাংলার জমিনে নেমে আসে দুর্ভেদ্য অমানিশা; এদেশের মানুষের উপর চেপে বসে পরাধীনতার জগদ্দল পাথর। সেই থেকে সমগ্র ভারতবর্ষ ১৯০ বছর ধরে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিল। তাই প্রতি বছর জুন মাস আসলেই এদেশের স্বাধীনচেতা মানুষের অন্তরে জেগে উঠে পলাশীর আম্রকাননের বিভীষিকা। দুঃখজনক হ'লেও সত্য যে, শুরু থেকেই ভারতবর্ষের মুসলমানদের হেয় করার লক্ষ্যে এবং বাঙালী মুসলমান নেতাদের নামে কালিমা লেপনের উদ্দেশ্যে সুস্থ মস্তিষ্কে পলাশীর প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে সে চাপাপড়া ইতিহাস অনেকাংশে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই নতুন প্রজন্মকে প্রকৃতপক্ষে ইতিহাস সচেতন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই আলোচ্য নিবন্ধে ঐতিহাসিক পলাশীর ট্র্যাজেডি সংক্ষিপ্তাকারে আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে।