বাস থেকে নেমে ঘামতে ঘামতে ছুটে চল্লেন সাজ্জাদ হোসেন । যেন ছুটতে ছুটতেই পৌঁছে যাবেন তার স্বপ্নের কাছে। কফি শপটার কাছে এসেই মনে পরলো মেয়েটার ছবিতো সাথে করে আনা হলো না, এখন চিনবেন কি করে ?
মেজাজটাই বিগড়ে গেল নিজের উপর। এমন কেন সে ! এখন যদি মেয়েটা তাকে না চেনে ? কি হবে তখন ?
কফি শপে ঢুকে এদিক সেদিক তাকালেন । নাহ্ , কাউকেই তেমন পরিচিত মনে হচ্ছে না। অথচ গত দশ দিনে এই মেয়ের ছবি না হলেও একশতবার দেখেছেন উনি।
পেছন থেকে মিষ্টি কন্ঠের ডাক এলো , সাজ্জাদ হোসেন ?
ফিরে তাকালেন । মানুষ এত সুন্দর হয় ! মূগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ।
আপনি বসুন। দাঁড়িয়ে কি ভাবছেন ?
আপনি ছবির চাইতেও বেশী সুন্দর !
হুমম। আমার ক্যামেরা ফেস খুব বাজে। আমি জানি সেটা।
না না আমি তো সেটা বলি নি। আপনার ছবিও খুব সুন্দর। আমি একশত বার দেখেছি আপনার ছবি টা।
তাই ! তবুও তো চিনতে পারলেন না আমাকে। অথচ দেখুন আপনার ছবি মাত্র একবার দেখেই কেমন চিনে ফেল্লাম আপনাকে।
সাজ্জাদ হোসেন একটু লজ্জা পেলেন। আসলে বয়স হয়েছে তো।
কত বয়স আপনার ?
আটান্ন হবে এ মাসের সতেরো তারিখে।
বায়োডাটায় কিন্তু বাহান্ন লিখেছেন।
সে তো ছয় বছর আগের তৈরী বায়ো।
বয়স টা বাড়াবেন না তাই বলে ?
ঘটক সাহেব নিষেধ করলেন , তাই।
তাহলে আজ সত্যি বয়স টা বল্লেন কেন আমাকে ?
জানি না , মিথ্যে বের হলো না মুখ থেকে।
অন্য সময় হয় এমন ?
কি ?
মিথ্যে বলা ?
অফিসে দেরী হলে মাঝে মাঝে চলে ।
মেয়েটা খুব মিষ্টি করে হাসলো। বলুন তো আমার নাম কি ?
রুনু
যাক , অতটা বয়স হয়নি তাহলে ।
দুজনই বেশ শব্দ করে হাসলেন।
রুনু
বলুন
আমাকে কি আপনার পছন্দ হয়েছে ? আপনি এত সুন্দর। বায়োতে কি বয়স বাড়িয়ে দিয়েছেন ?
কেন ? আমাকে কি কম বয়সি মেয়ে মনে হচ্ছে ?
হুমম। আটচল্লিশ মনে হচ্ছে না। তার চাইতেও দশ বছর কম মনে হচ্ছে।
তাই বলছি আমার মতো বুড়ো পাত্রের সাথে দেখাই বা করতে চাইলেন কেন ?
আমরা বয়স নিয়ে এত কথা না বলি ? আসুন গল্প করি। আপনি কি খেতে ভালোবাসেন ?
ভাত
আর ?
গরুর মাংস
আপনি ?
আইসক্রিম। এটাই আমার সবচাইতে পছন্দের খাবার।
আমি রান্না করতে খুব ভালোবাসি। একা মানুষ। অনেক রকম রান্না করে সময় কাটাই ছুটির দিনগুলোতে।
তারপর সেই রান্না গুলো কি করেন ? সব একাই খান ?
নাহ। অতো খাব কি করে ? সব ফ্লাটে ফ্লাটে বিলাই। কাজের ছেলেটাকে দিই। আমার রান্নার সবচাইতে বড় ফ্যান ও।
বেশ ভাল।
জানেন আমি সসও বানাতে পারি। এমন কি টোস্ট বিস্কিট টাও নিজে বানিয়ে খাই সকালে চায়ের সাথে।
হুমম। কথোপোকথন উল্টো রথে বইছে।
মানে ?
সাধারণত পাত্রির রান্নার গুণ আছে কি না সেটা যাচাই হয়। আমাদের ক্ষেত্রে উল্টোটা হচ্ছে।
আমি তো জানি রাঁধতে। তাহলে আপনার না জানলেও চলবে।
রুনু চোখ তুলে তাকালো ।
সাজ্জাদ সাহেব আবারো লজ্জা পেলেন।
আপনি এতদিন বিয়ে করেন নি কেন ?
মা মারা গেলেন এরপর বাবা। ছোট ভাই বোন দের দেখতে দেখতে কখন যে নিজের বিয়ের বয়স পার হয়ে গেল বুঝতেই পারি নি।
আপনি কেন করেন নি ?
মেয়েরা বিয়ে করে না। আমাদের সমাজে মেয়েদের বিয়ে হয়। আমারো হয়েছিল । টেকে নি। কেন আপনি জানেন না সেটা ?
না। বায়ো তে আবিবাহিতা লেখা ছিল ।
ছি:ছি: । কতবার বলেছি সত্য যেন জানানো হয়। এটা নিশ্চয়ই ঘটকের কাজ।বায়ো বদলে দিয়েছে লোকটা।
তাতে কি ? আমার কোনো আপত্তি নেই।
কেন নেই ?
তা জানি না। আসলে গত দশদিন যাবত আপনি আমার সাথে আছেন তো তাই হয়তো একধরণের ভালোলাগা তৈরী হয়েছে।
মানে কি ?
ওহ্ দু;খিত। মানে আপনার ছবিটার কথা বলছিলাম।
ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন তো একদম। ভাবলাম। পাত্র পাগল কি না । রুনু মুচকি হাসলো।
আপনার হাসি খুব সুন্দর।
ধন্যবাদ। আমার প্রশ্নের উত্তর পুরোটা পাইনি এখনও।
হুমম বলছি।
ছয় বছর আগে একবার দুবার পাত্রি দেখেছিলাম । ওরা আমার ছবি দেখেই পছন্দ করে নি। তাই বিয়ের ইচ্ছাটাও শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমার বোনের মেয়েটার জিদের কারণেই আবার পাত্রি দেখতে রাজী হলাম। যখন শুনলাম আমার ছবি দেখার পরও আপনি আমার সাথে সামনা সামনি দেখা করতে চেয়েছেন, মনে মনে পণ করলাম মেয়ে যদি রাজি থাকে তো এই মেয়েকেই বিয়ে করবো।
আর যদি মেয়ে রাজি না থাকে তবে ?
কফির বিলটা দিতে বলি ? সাজ্জাদ হোসেন দীর্ঘশ্বাস ফেল্লেন। এটাই তো স্বাভাবিক। ইউ ডিজার্ভ বেটার দ্যান মি।
বিল দেয়ার পর উঠে দাঁড়ালেন সাজ্জাদ হোসেন । ভাল থাকবেন রুনু । ছবি টা আনতে ভুলে গিয়েছি। নইলে ফেরত দিতাম আপনাকে।
কফি শপ থেকে বেরিয়ে রিক্সার জন্য দাঁড়ালেন। আকাশে মেঘ করেছে। আজ বাসে চড়বেন না । বরং রিক্সায় বসে ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগিয়ে বাড়ি ফিরবেন। পেছন থেকে আবার সেই মিষ্টি কন্ঠ শুনতে পেলেন- সাজ্জাদ হোসেন । একটা রিক্সা ডাকুন তো নীলক্ষেত যাব। আপনি যাবেন আমার সাথে ?
আপনি চাইলে যাব। আমার এখন কোনো কাজ নেই।
কাজ থাকলে যেতেন না ?
না। যেতাম না।
বেশ। রাগ আছে তাহলে।
রাগ কেন হবে ? এটাই তো যুক্তি , তাই না ?
হুমম ।
রিক্সা নীলক্ষেত চল্লো। দুজন পাশাপাশি বসে আছে। সাজ্জাদ সাহেব নীরবতা ভাঙ্গলেন। আসলে কোনো কথা খুঁজে পাচ্ছি না। তাই জানতে চাইছি নীলক্ষেতে কি কাজ আপনার ? মানে ওদিকটায় কেন যেতে চাইলেন ?যদি কোনো আপত্তি থাকে তবে বলার প্রয়োজন নেই।
বই কিনবো। হরেকরকমের আইসক্রিম এর রেসিপির বই। একজনকে গিফট করবো। সারাজীবন কেনা আইসক্রীম খেয়েছি। বিয়ের পর নতুন জীবনে প্রবেশ করে ঘরে বানানো আইসক্রীম খেতে চাই বাকী জীবন।
সাজ্জাদ হোসেন চুপ করে থাকলেন। গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না। গলা শুকিয়ে কাঠ।
ফিস ফিস করে কোনোরকমে ডাকলেন রুনু ।
পানি খাবেন ?
হুমম
হাত ধরবেন ?
মাথাটা হাল্কা ঘুরাচ্ছে। ধরলে মন্দ হয় না।
স্বাভাবিক বয়স হয়েছে তো !
জীবনে পোড় খাওয়া স্বপ্ন দেখা দুজন ভাল মানুষ একসাথে শব্দ করে হেসে উঠলো। কোথা থেকে মিষ্টি গন্ধের এক হিমেল বাতাস এসে ভিজিয়ে দিল তাদের। সঙ্গী নির্বাচনে সবসময় সঠিক বায়োর প্রয়োজন হয় না । ভুলভাল বায়োতেও সঠিক মানুষদের মিলিয়ে দেন বিধাতা স্বয়ং।
(সমাপ্ত)
মেজাজটাই বিগড়ে গেল নিজের উপর। এমন কেন সে ! এখন যদি মেয়েটা তাকে না চেনে ? কি হবে তখন ?
কফি শপে ঢুকে এদিক সেদিক তাকালেন । নাহ্ , কাউকেই তেমন পরিচিত মনে হচ্ছে না। অথচ গত দশ দিনে এই মেয়ের ছবি না হলেও একশতবার দেখেছেন উনি।
পেছন থেকে মিষ্টি কন্ঠের ডাক এলো , সাজ্জাদ হোসেন ?
ফিরে তাকালেন । মানুষ এত সুন্দর হয় ! মূগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ।
আপনি বসুন। দাঁড়িয়ে কি ভাবছেন ?
আপনি ছবির চাইতেও বেশী সুন্দর !
হুমম। আমার ক্যামেরা ফেস খুব বাজে। আমি জানি সেটা।
না না আমি তো সেটা বলি নি। আপনার ছবিও খুব সুন্দর। আমি একশত বার দেখেছি আপনার ছবি টা।
তাই ! তবুও তো চিনতে পারলেন না আমাকে। অথচ দেখুন আপনার ছবি মাত্র একবার দেখেই কেমন চিনে ফেল্লাম আপনাকে।
সাজ্জাদ হোসেন একটু লজ্জা পেলেন। আসলে বয়স হয়েছে তো।
কত বয়স আপনার ?
আটান্ন হবে এ মাসের সতেরো তারিখে।
বায়োডাটায় কিন্তু বাহান্ন লিখেছেন।
সে তো ছয় বছর আগের তৈরী বায়ো।
বয়স টা বাড়াবেন না তাই বলে ?
ঘটক সাহেব নিষেধ করলেন , তাই।
তাহলে আজ সত্যি বয়স টা বল্লেন কেন আমাকে ?
জানি না , মিথ্যে বের হলো না মুখ থেকে।
অন্য সময় হয় এমন ?
কি ?
মিথ্যে বলা ?
অফিসে দেরী হলে মাঝে মাঝে চলে ।
মেয়েটা খুব মিষ্টি করে হাসলো। বলুন তো আমার নাম কি ?
রুনু
যাক , অতটা বয়স হয়নি তাহলে ।
দুজনই বেশ শব্দ করে হাসলেন।
রুনু
বলুন
আমাকে কি আপনার পছন্দ হয়েছে ? আপনি এত সুন্দর। বায়োতে কি বয়স বাড়িয়ে দিয়েছেন ?
কেন ? আমাকে কি কম বয়সি মেয়ে মনে হচ্ছে ?
হুমম। আটচল্লিশ মনে হচ্ছে না। তার চাইতেও দশ বছর কম মনে হচ্ছে।
তাই বলছি আমার মতো বুড়ো পাত্রের সাথে দেখাই বা করতে চাইলেন কেন ?
আমরা বয়স নিয়ে এত কথা না বলি ? আসুন গল্প করি। আপনি কি খেতে ভালোবাসেন ?
ভাত
আর ?
গরুর মাংস
আপনি ?
আইসক্রিম। এটাই আমার সবচাইতে পছন্দের খাবার।
আমি রান্না করতে খুব ভালোবাসি। একা মানুষ। অনেক রকম রান্না করে সময় কাটাই ছুটির দিনগুলোতে।
তারপর সেই রান্না গুলো কি করেন ? সব একাই খান ?
নাহ। অতো খাব কি করে ? সব ফ্লাটে ফ্লাটে বিলাই। কাজের ছেলেটাকে দিই। আমার রান্নার সবচাইতে বড় ফ্যান ও।
বেশ ভাল।
জানেন আমি সসও বানাতে পারি। এমন কি টোস্ট বিস্কিট টাও নিজে বানিয়ে খাই সকালে চায়ের সাথে।
হুমম। কথোপোকথন উল্টো রথে বইছে।
মানে ?
সাধারণত পাত্রির রান্নার গুণ আছে কি না সেটা যাচাই হয়। আমাদের ক্ষেত্রে উল্টোটা হচ্ছে।
আমি তো জানি রাঁধতে। তাহলে আপনার না জানলেও চলবে।
রুনু চোখ তুলে তাকালো ।
সাজ্জাদ সাহেব আবারো লজ্জা পেলেন।
আপনি এতদিন বিয়ে করেন নি কেন ?
মা মারা গেলেন এরপর বাবা। ছোট ভাই বোন দের দেখতে দেখতে কখন যে নিজের বিয়ের বয়স পার হয়ে গেল বুঝতেই পারি নি।
আপনি কেন করেন নি ?
মেয়েরা বিয়ে করে না। আমাদের সমাজে মেয়েদের বিয়ে হয়। আমারো হয়েছিল । টেকে নি। কেন আপনি জানেন না সেটা ?
না। বায়ো তে আবিবাহিতা লেখা ছিল ।
ছি:ছি: । কতবার বলেছি সত্য যেন জানানো হয়। এটা নিশ্চয়ই ঘটকের কাজ।বায়ো বদলে দিয়েছে লোকটা।
তাতে কি ? আমার কোনো আপত্তি নেই।
কেন নেই ?
তা জানি না। আসলে গত দশদিন যাবত আপনি আমার সাথে আছেন তো তাই হয়তো একধরণের ভালোলাগা তৈরী হয়েছে।
মানে কি ?
ওহ্ দু;খিত। মানে আপনার ছবিটার কথা বলছিলাম।
ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন তো একদম। ভাবলাম। পাত্র পাগল কি না । রুনু মুচকি হাসলো।
আপনার হাসি খুব সুন্দর।
ধন্যবাদ। আমার প্রশ্নের উত্তর পুরোটা পাইনি এখনও।
হুমম বলছি।
ছয় বছর আগে একবার দুবার পাত্রি দেখেছিলাম । ওরা আমার ছবি দেখেই পছন্দ করে নি। তাই বিয়ের ইচ্ছাটাও শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমার বোনের মেয়েটার জিদের কারণেই আবার পাত্রি দেখতে রাজী হলাম। যখন শুনলাম আমার ছবি দেখার পরও আপনি আমার সাথে সামনা সামনি দেখা করতে চেয়েছেন, মনে মনে পণ করলাম মেয়ে যদি রাজি থাকে তো এই মেয়েকেই বিয়ে করবো।
আর যদি মেয়ে রাজি না থাকে তবে ?
কফির বিলটা দিতে বলি ? সাজ্জাদ হোসেন দীর্ঘশ্বাস ফেল্লেন। এটাই তো স্বাভাবিক। ইউ ডিজার্ভ বেটার দ্যান মি।
বিল দেয়ার পর উঠে দাঁড়ালেন সাজ্জাদ হোসেন । ভাল থাকবেন রুনু । ছবি টা আনতে ভুলে গিয়েছি। নইলে ফেরত দিতাম আপনাকে।
কফি শপ থেকে বেরিয়ে রিক্সার জন্য দাঁড়ালেন। আকাশে মেঘ করেছে। আজ বাসে চড়বেন না । বরং রিক্সায় বসে ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগিয়ে বাড়ি ফিরবেন। পেছন থেকে আবার সেই মিষ্টি কন্ঠ শুনতে পেলেন- সাজ্জাদ হোসেন । একটা রিক্সা ডাকুন তো নীলক্ষেত যাব। আপনি যাবেন আমার সাথে ?
আপনি চাইলে যাব। আমার এখন কোনো কাজ নেই।
কাজ থাকলে যেতেন না ?
না। যেতাম না।
বেশ। রাগ আছে তাহলে।
রাগ কেন হবে ? এটাই তো যুক্তি , তাই না ?
হুমম ।
রিক্সা নীলক্ষেত চল্লো। দুজন পাশাপাশি বসে আছে। সাজ্জাদ সাহেব নীরবতা ভাঙ্গলেন। আসলে কোনো কথা খুঁজে পাচ্ছি না। তাই জানতে চাইছি নীলক্ষেতে কি কাজ আপনার ? মানে ওদিকটায় কেন যেতে চাইলেন ?যদি কোনো আপত্তি থাকে তবে বলার প্রয়োজন নেই।
বই কিনবো। হরেকরকমের আইসক্রিম এর রেসিপির বই। একজনকে গিফট করবো। সারাজীবন কেনা আইসক্রীম খেয়েছি। বিয়ের পর নতুন জীবনে প্রবেশ করে ঘরে বানানো আইসক্রীম খেতে চাই বাকী জীবন।
সাজ্জাদ হোসেন চুপ করে থাকলেন। গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না। গলা শুকিয়ে কাঠ।
ফিস ফিস করে কোনোরকমে ডাকলেন রুনু ।
পানি খাবেন ?
হুমম
হাত ধরবেন ?
মাথাটা হাল্কা ঘুরাচ্ছে। ধরলে মন্দ হয় না।
স্বাভাবিক বয়স হয়েছে তো !
জীবনে পোড় খাওয়া স্বপ্ন দেখা দুজন ভাল মানুষ একসাথে শব্দ করে হেসে উঠলো। কোথা থেকে মিষ্টি গন্ধের এক হিমেল বাতাস এসে ভিজিয়ে দিল তাদের। সঙ্গী নির্বাচনে সবসময় সঠিক বায়োর প্রয়োজন হয় না । ভুলভাল বায়োতেও সঠিক মানুষদের মিলিয়ে দেন বিধাতা স্বয়ং।
(সমাপ্ত)