What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Collected একটি নাম বিহীন গল্প - 7 (1 Viewer)

Pegasus

Member
Joined
Mar 8, 2018
Threads
103
Messages
171
Credits
28,977
উফফ!!! সবাই কি রকম লিখতেছে, আমার পেপারটা
স্যারের কাছে ৷ রাগটা এবার মাথায় উঠে যাচ্ছে,
তওসীপ্পা শয়তান ছেলে একটা, আগে ক্লাস
থেকে বের হই পরে বুঝাবো মজা ৷ আমি কি ওর
কাছে কাগজ চাইছি, আর কাগজটি মারলো ঠিক হল
সুপারের সামনে ৷ বদ স্যারের ভাবনা, আমি কাগজটি
চাইছি তাই আমার কাছে মারলো ৷ এই দিকে দশ মিনিট
পার হয়ে গেলো, এই পরিক্ষায় নির্ঘাত ডাব্বা
মারবো ৷ মায়ের মুখ খানা সামনে ভেসে উঠলো,
খুন্তি হাতে মা কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে
বলতেছে ৷
— সারাবছর ফোন টিপছিস কিছু বলি নি, এবার যদি পরিক্ষা
খারাপ হয় তো এই বিয়ে ক্যান্সেল ৷
ইশশ!! কত দিন পর একটি মনের মতো ছেলে
খুজে পাইছে ৷ সেটা কিছুতেই হাত ছাড়া করা যাবে না

স্যারকে বললাম,
— স্যার আমি কেনো দোষ করি নি পেপারটা দিন ৷
— না, তোমার পেপার দেওয়া হবে না ৷
— স্যার পেপার দিবেন কিনা বলেন?
— বসো তুমি, আমার সময় হলে পেপার দিবো ৷
— স্যার আপনি আমাকে বিয়ে করবেন?
কথাটা শোনার পর, স্যার সাথে সাথে ঘুরে তাঁকাল
আর ক্লাসের সবাই লেখা বন্ধ করে দিলো ৷ বেশ
হইছে, আমার পেপার স্যারের কাছে আর ওরা কি
সুন্দর লিখছিলো ৷ ঠিক তখনি স্যার বলল,
— এই কি বললে তুমি? (স্যার)
— হ্যাঁ স্যার, যদি এই পরিক্ষা খারাপ হয় তো মা বলে
দিছে, বিয়ে ক্যান্সেল ! তো বুঝতে পারছেন?
পেপার না দিলে আমাকে বিয়ে করতে হবে ৷
কোনটা করবেন? বিয়ে করবেন নাকি পেপার
দিবেন?
এবার স্যারের মুখখানা দেখার মতো হয়েছে,
হয়তো স্যারের বউয়ের কথা মনে পরছে ৷ কথা
না বাড়িয়ে পেপার দিয়ে চলে গেলেন স্যার ৷
এদিকে কেউ কেউ বলছে, আয়না তুই পারিসও
বটে, আবার কেউ বলছে, স্যারে আয়নাকে
এখনো চিনে উঠতে পারে নি ৷ বলেই হো হো
করে হেসে দিলো ৷
পরিক্ষা শেষ করে যখন বের হলাম, ঠিক তখনি
তওসীফ এসে বলল,
— আয়না আজ যা হলো, হল সুপার আর কখনো
তোর খাতা নিবে না ৷
— কুত্তা ছেলে আজ তোর একদিন কি আমার
একদিন ৷
— আরে দোস্ত দাড়া, তোরে কত্তো ভালবাসি
আমি, আর যখন দেখলাম তুই না লিখে কলম খাচ্ছিস ৷
তাই কাগজটি দিলাম তোকে ৷ বিশ্বাস কর হল সুপারকে
খেয়াল করি নি ৷
— মাইর খাওয়ার আগে বিদায় হো এখান থেকে ৷
— দোস্ত আরেকটা কথা বলতাম তোকে ৷
— কি বলবি? তাড়াতাড়ি বল, এক জায়গায় যাবো ৷
— না মানে, সামনে ফেব্রুয়ারি মাস ৷
— তো, সে আমি জানি ৷
— না মানে সামিয়াকে নিয়ে ঘুরতে যাইতাম ৷
— যা তা আমাকে বলছিস কেনো?
— তোকে একটা জিনিস দিবো
— কি?
— এই নে বাঁশি, যখনি পার্কে যাবি তখন এই বাঁশি বাজাবি ৷
বলেই দৌড়..
ফাজিল ছেলে, আমাকে ঘুষ দিলো ৷ সে যাই
হোক, এই বাঁশি কাজে লাগানো যাবে ৷ আগের
বাঁশিটা ঠিক মতো বাজছে না ৷
বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি,বদ ছেলের জন্য আর
কতক্ষণ যে অপেক্ষা করতে হবে কে জানে ৷
কত করে বললাম, হাত চুলকায়, কোন এক পার্কে
যেতে হবে ৷ তা এখনো আসার নাম নাই ৷ ওই দিকে
পেটের মধ্যে ইদুর বাবাজি কিচিরমিচির শুরু করছে ৷
সেই সকালে কি না কি খেয়েছি মনে আছে নাকি,
ইশশ!! মায়ের কথা মনে পড়তেই মায়ের পা দুখানা
চোখের সামনে চলে আসলো ৷ আজ শেষ
পরিক্ষা ছিলো, তাই আয়নার সামনে বসে সেইরকম
একটা সাঁজ দিলাম কিন্তু মনের মতো হচ্ছে না ৷ ঠিক
তখনি মা বলল,
— আয়না আর কতক্ষণ থাকবি আয়নার সামনে?
— হু হা হা হা, আয়না এখন আয়না দেখতে ব্যস্ত ৷
ওমনি মা রান্না ঘর থেকে খুন্তি হাতে তেড়ে
এসে, ওই অলক্ষুনে কথাটি বলল, যে পরিক্ষা খারাপ
হলে বিয়ে হবে না ৷ তখন মাকে বললাম,
— তোমার পা দুখানা সামনে আনো, সালাম করে যাই ৷
তার পর দেখবো কেমনে বিয়ে বন্ধ হয় ৷
আজ মায়ের পা ধরে সালাম করে আসাতে মনে হয়
পরিক্ষাটা ভাল হয়েছে ৷
কারো ডাকে ঘোর কাটলো ৷
— কি হলো একা একা হাসছো কেনো? (বিশ্ব)
— আপনার এখন আসার সময় হলো? সেই কতক্ষণ
ধরে অপেক্ষা করছি ৷
— আরে কাজের চাপে একটু দেরি হয়ে
গেলো ৷
— চলেন
— কোথায়?
— পার্কে...
— আবার? ( ভ্রুঁ কুঁচকে তাঁকিয়ে)
— হুম,
কিছু না বলেই আমার সাথে হাটা দিলো, এই
ছেলেটাকে অনেক জ্বালাই ৷ তার সাথে কয়েক
মাস আগেই পরিচয় ৷ একদিন পার্কে ঢুকতেই দেখি
একটা লোক হিসু করতেছে ৷ ফোনটা বের করে
ভিডিও করতেছিলাম ৷ ওমনি বদ ছেলেটা এসে বলল,
— আপনি এগুলো কি করছেন? একটা মেয়ে হয়
লোকের হিসু করা ভিডিও করছেন?
লোকটার দিকে তাঁকালাম, কিছু না বলেই আবার ভিডিও
করায় মনযোগী হলাম ৷
তবে লোকটা এমন ভাবে তাঁকিয়ে ছিলো যে,
তাকে না বলে থাকতে পারলাম না ৷ আস্তে করে
বললাম,
— চুপচাপ দেখে যান কথা বলবেন না ৷
ভিডিও করা শেষ করে হিসু করা লোকটার সামনে
গেলাম ৷
— এই যে আঙ্কেল পাঁচশত টাকা বের করেন ৷
— মানে তোমাকে টাকা দিতে যাবো কেনো?
— দিবেন না?
— এই মেয়ে, দেখে তো মনে হয় ভদ্র
ঘরের মেয়ে ৷ তোমার ধান্দা বুঝতে পারছি, তা
এইভাবে টাকা দিবো না ৷একদিন আমাকে খুশি করো,
শুধু পাঁচশ টাকা না আরো দিবো ৷
মেজাজটা চরম মাত্রায় উঠে গেছে, হাসি মুখ নিয়ে
বললাম,
— চাচা দেখছেন জুতো? একদম পুরানো হয়ে
গেছে ৷ বলেই জুতাটা খুলে হাতে নিলাম
— ব্যাটা লুইচ্চা এই জুতা দিয়ে পিটিয়ে তোর টাক
ফাটিয়ে দিবো ৷ দেখে তো মনে হচ্ছে বেশ
সম্মানি লোক, তা মন এতো নিচে কেনো? এক
হাজার টাকা বের কর না হলে এই ভিডিও ইন্টারনেটে
ছেড়ে দিবো৷
এবার লোকটা ভ্যাবাচেকা খেয়ে বলল,
— মানে?
— পার্কে ঢোকার সময় সতর্কবাণী পড়ে
ঢোকেন নি? কি কি করা যাবে না? কথা না বাড়িয়ে টাকা
দিন ৷
লোকটি আর কথা না বাড়িয়ে টাকা দিয়ে চলে
গেলো ৷ এবার বাঁশিটা হাতে নিলাম, বাজানোর সাথে
সাথে বাচ্চাগুলো দৌড়ে এসে বলল,
— বুবু তুমি এসে গেছো?
— হ্যাঁ, এই নে এক হাজার টাকা, তোরা ভাগ করে নিস ৷
ওরা চলে গেলো, বেঞ্চে গিয়ে বসলাম ৷ ওমনি
সেই ছেলেটা বলল,
— আপনি পারেনো বটে, আমি কত উল্টা পাল্টা কথা
ভাবলাম ৷
— না ঠিক আছে, প্রথমে সবাই এরকম ভাবে ৷
ছেলেটির সাথে কথা বলে জানতে পারলাম, ওর নাম
বিশ্ব, কোন একটি কোম্পানিতে জব করে ৷ আর
এইখানে আসছে মন ভালো করতে ৷ সেই
থেকে ছেলেটির সাথে পরিচয় ৷ মাঝে মাঝে
তাকে নিয়ে পার্কে যাই, যখন আমার হাত চুলকায় ৷
আর হাত চুলকায় মানে, হাতে টাকা আসে ৷
আজও তাকে নিয়ে পার্কে আসলাম ৷ শেষ পরিক্ষা
বলে আজ একটু বেশি ঘুরবো ৷
— এই আয়না তুমি মানুষকে এইভাবে বিরক্ত করো
কেনো?
— কি করবো তাইলে, আমাদের সমাজে
মানুষগুলো বড্ড স্বার্থপর ৷ নিজের ক্ষনিকের কিছু
সুখের জন্য কত টাকা খরচ করে ৷ কিন্তু এই যে
পথের কত মানুষ না খেয়ে থাকে, তাদের দিকে
ফিরিয়েও তাঁকায় না ৷ তাই এই পথ বেঁছে নিলাম, ওরা
যখন টাকা খরচ করে ক্ষনিকের সুখ খুজে নেয় ৷
তার থেকে যদি কিছু ভাগ ওই অনাথ বাচ্চাদের দেওয়া
হয় তাতে কি বেশি অন্যায় হয়?
— হুম বুঝলাম
— চলেন ওই ঝোপের ওই দিকে যাই ৷
— এই না না, ওই দিকে যাওয়ার কোনো দরকার নেই
৷(বিশ্ব)
— আরে চলেন তো
আস্তে আস্তে ভিতরে চলে গেলাম, উফফ!!
ছেলে মেয়ে গুলো এতো নিচে নেমে
গেছে, কি বলবো ভিডিও করতেও বিরক্ত লাগছে
৷ বিশ্বর দিকে তাঁকালাম, চোখের উপর চোখ
পড়তেই অন্য দিকে তাঁকালাম ৷ এই প্রথম ভিডিও
করতে লজ্জা লাগছে ৷ নাহ আজ আর ভিডিও করা
যাবে না ৷ যখনি চলে আসতে যাবো তখনি দেখি,
ইয়েন যাকে কিনা আমি পাগলের মতো ভালবাসতাম ৷
বড় লোক বাপের একমাত্র ছেলে, যখন বন্ধুত্ব
ছিলো ওর সাথে ৷ তখন ওর জন্মদিনে দুই হাজার টাকা
খরচ করে উপহার দিতে হয়েছে ৷ একদিন ভালবাসার
কথা জানাই তখন উত্তরে বলেছিলো,
— তোমার সাথে হেসে হেসে কথা বলি বলে
এই নয় যে ভালবাসতে হবে ৷ আর তোমার মতো
কত মেয়ে আমাকে প্রপোজ করেছে
জানো? কারন আমার বাবার অনেক টাকা আছে ৷
বলেই চলে গেলো, তারপর থেকে কোন দিন
ওই ছেলের সামনে যাই নি ৷
"
এবার পাইছি তোরে, তোর বাপের অনেক টাকা তাই
না? ওর সামনে গিয়ে বললাম,
— এই যে মশাই কি করতেছেন এই পাবলিক
প্লেসে?
— না মানে, আয়না তুমি?
— জ্বী পাঁচ হাজার টাকা বের করেন ৷
— মানে?
— না হলে এই ভিডিও চলে যাবে আপনার বাবা সহ
অন্যান্য জায়গায় ৷
— এতো টাকা আমার কাছে নাই ৷(ইয়েন)
— এতো কিছু আমি জানি নাকি?
— ছি! ছি! আয়না আমি জানতাম তোমরা গরিব, তাই বলে
এইভাবে টাকা নিচ্ছো?
— আপনার সাথে কথা বলতে আমার বিরক্তি লাগছে ৷
টাকাটা দেবেন কিনা বলেন?
পরে দেখলাম দুইজনের কাছ থেকে সব মিলিয়ে
চার হাজার পাঁচশ টাকা দিছে ৷
— আর পাঁচশ টাকা কই?
— দেখো আয়না, আমাদের কাছে আর নেই ৷
— আচ্ছা, মাফ করে দিলাম ৷
ওরা চলে যাওয়ার পর বিশ্ব বলল,
— কি হলো ওকে তুমি চিনো?
— হুম, ভালবাসতাম খুব ৷
বিশ্ব মাথা নিচু করে আছে,
— ভালবাসেন আমাকে তাই না ?
— না মানে
— দেখেন এটা কখনো সম্ভব না ৷ আমি আপনাকে
বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু ভাবি নি ৷
বলেই হাটা ধরলাম বাড়ির দিকে, বাড়িতে ঢোকা মাত্রই
মায়ের ঝাঁঝালো বকুনি ৷ বিয়েটা নাকি ভেঙে
গেছে আমার জন্য ৷ মায়ের রুমে গিয়ে শুয়ে
পরলাম মায়ের কোলে ৷
— কি হয়েছে তোর (মা)
— এই নাও টাকা
— কিসের টাকা?
— একজনের কাছে থেকে মেরে দিলাম চার
হাজার পাঁচশ টাকা ৷ দুই হাজার পাঁচশ টাকা আলেয়া ভাবিকে
দিয়ে আসলাম ৷ তার ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে
পারছিলো না ৷
— দুই হাজার টাকা রাখলি কেনো?
— ওটা আমার তাই
— ওই সবে আর যাইস না মা, তুই একা মেয়ে হয়ে
ঝামেলায় কেনো যাচ্ছিস? (মা)
— আমি একা না তো বিশ্ব আছে তো
বলেই থেমে গেলাম, হয়তো বিশ্ব আর আমার
সাথে থাকবে না ৷ তা না হলে এতোক্ষণে একটা
ফোন দেওয়ার কথা, কিন্তু বিকেল থেকে
কোনো ফোন আসে নি ৷ তার দুই দিন পরে
বিশ্বর ফোন...
— আয়না কাল দেখা করতে পারবে?
— কেনো কোনো পার্কে যেতে হবে নাকি?
— না, কাল চারটায় আমার অফিসের সামনের কফিশপে
চলে আসবে ৷
বলেই ফোনটা কেটে দিলো ৷ এই দুই দিনে
অনেক মিস করেছি, ছেলেটা সত্যি আমার অভ্যাস
হয়ে গেছে ৷
"
কফিশপে বসে আছি, ওমনি বিশ্ব এসে বলল,
— তোমার জন্য সুখবর আছে ৷
— কি?
— এই নাও আমার বিয়ের কার্ড ৷ আগামী ১৪
ফেব্রুয়ারি বিয়ে, এসো কিন্তু
— হুম, আসবো
বিশ্ব তাঁকিয়ে আছে, হয়তো কিছু শুনতে চাচ্ছে ৷
বুঝতে পারছি না এতো খারাপ লাগছে কেনো? কথা
না বলেই চলে আসলাম ৷ পিছন থেকে বিশ্ব
ডাকছে, কিন্তু কেনো এতো অভিমান ওর উপর?
"
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, আজ বিশ্বর বিয়ে ৷ আয়নার
সামনে দাঁড়ালাম, বিশ্বর দেওয়া কালো শাড়িটা বের
করলাম ৷ অনেক বার বলেছিলো, এই শাড়িটা পরে
আসতে ৷ শুধু বসেছিলাম, ধুর এসব পরে হাঁটা যায় নাকি ৷
আজ শাড়িটি পরলাম, সাথে কালো চুরি, কানে ঝুমকা
আর কালো টিপ ৷ মাঝে মাঝে মন খারাপ থাকলেই
সাজি কিন্তু আজ কিছুতেই মন ভালো হচ্ছে না ৷
ফোনটা নিয়ে বেড়িয়ে পরলাম পার্কের দিকে ৷
বড্ড একা লাগছে পাশে বিশ্ব থাকলে বেশ ভালো
লাগতো ৷ ফোন দিলাম বিশ্বকে কিন্তু রিসিভ
করলো না হয়তো ব্যস্ত খুব ৷ আজ কোন
কাপলকে বিরক্ত করতে ইচ্ছে হলো না ৷ কিছু দুর
যাওয়ার পর দেখলাম, তওসীফ বসে আছে আর
সামিয়া ওর কাঁধে মাথা দিয়ে হাতে হাত রেখে কথা
বলছে ৷
ওর দেওয়া বাঁশিতে ফু দিলাম, সাথে সাথেই ঘুরে
তাঁকালো তওসীফ ৷ আমাকে দেখেই রিমির হাতটি
ছেড়ে দিয়ে মাথা চুলকাচ্ছে ৷ আমিও হাসি দিয়ে,
হাতের ইশারায় বললাম "অল দ্যা বেষ্ট"
চলে আসবো ঠিক তখনি তওসীফ দৌড়ে এসে
বলল,
— এই আয়না তোর কি হইছে?
— না রে কিছু না, আজ কেউকে বিরক্ত করবো না৷
— মন খারাপ?
— হুম
— কেনো বলবি কি ?
— না ৷
— দোস্ত তোরে বুঝানোর ক্ষমতা আমার নেই
৷ তবে মাথা ঠান্ডা করে ভাব সমাধান তুই নিজেই
করতে পারবি ৷ আমি গেলাম রে সামিয়া একা বসে
আছে ৷
— আচ্ছা
সমাধান আমি নিজে বের করবো কি করে? ঘরির
দিকে তাঁকালাম সময় আছে আর ১ ঘন্টা ৷ দুইটার সময়
বিয়ে ৷ না আর বসে থাকা যাবে না, যা করার সময়ের
মধ্যে করতে হবে ৷ দৌঁড়ে আসছি অনেকটা পথ,
কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এসে থামলাম ৷ কত
সুন্দর করে সাজানো হয়েছে ৷ চোখ দুটো
খুজে বেড়াচ্ছে বিশ্বকে ৷ ওই তো বিশ্ব বসে
আছে পাশে বউ সেজে বসে আছে একজন ৷
তার মানে বিয়েটা হয়ে গেলো? নাহ আর ভাবতে
পারছি না, কেউ একজন বলল,
— আর কতক্ষণ বিয়ের কাজটা শেষ করলে ভালো
হতো ৷
বসে থাকলে আর চলবে না, দৌঁড়ে বিশ্বর সামনে
দাঁড়ালাম ৷ বিশ্ব উঠে দাঁড়িয়ে এমন ভাবে তাঁকিয়ে
আছে মন হয় ভিনদেশে কোন প্রানী ৷
— কি দেখছেন ?
— কালো শাড়িতে বেশ লাগছে ৷
— কথা বলার সময় আরো পাবেন ৷ আমি একা একা
পার্কে ঘুরতে পারবো না ৷ আপনাকে আমার সাথে
থাকতে হবে ৷
— না আয়না তা হয় না, আমি বাবাকে অসম্মান করতে
পারবো না ৷ একটু পরে আমার বিয়ে ৷
এবার বউয়ের দিকে তাঁকালাম, মেয়েটিকে চেনা
চেনা লাগছে ৷ মেয়েটার সামনে যেতেই
মেয়েটি বলল,
— প্লিজ আপু ওই ভিডিওটি কেউকে দেখাবেন না ৷
সাথে সাথে মোবাইলে খুজতে থাকলাম ভিডিওটি৷
ওহ এই তো সেই মেয়ে, যে কিনা গাছের
আড়ালে রোমান্স করতেছিলো ৷ মেয়েটিকে
বললাম,
— আমি আমার বিশ্বকে নিয়ে গেলাম, বাকিটা তুমি
ম্যনেজ করবা ৷ সবার সামনে থেকে বিশ্বকে
নিয়ে যাচ্ছি ৷
— আমরা কোথায় যাচ্ছি? (বিশ্ব)
— পার্কে
— কে জানে আজ কার কপালে দুঃখ আছে ৷
বলে আমার দিকে তাঁকালো বিশ্ব ৷
— চলেন আগে দেখি পার্কের অবস্থা...
হেটে চলেছি পার্কের দিকে, হাতের তালু খুব
চুলকাচ্ছে....
:
------------------- সমাপ্ত -------------------

 

Users who are viewing this thread

Back
Top