What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বায়ার্নকে হারিয়ে টানা তৃতীয় ফাইনালে রিয়াল (1 Viewer)

Nirjonmela

Administrator
Staff member
Administrator
Joined
Mar 1, 2018
Threads
2,763
Messages
23,285
Credits
825,369
Pistol
Crown
Thread Title Style (One)
Profile Music
yuu.jpg


গোলরক্ষকের মারাত্মক এক ভুলের মূল্য দিতে হলো বায়ার্ন মিউনিখকে। জার্মান চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিল বায়ার্ন। ফাইনালে উঠতে হলে মঙ্গলবার রাতে ফিরতি লিগে রিয়ালের মাঠে তাদের জিততেই হতো। কিন্তু ম্যাচ ড্র হয়েছে ২-২ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় কিয়েভের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে রিয়াল।

গত ২০ বছরে প্রথম কোচ হিসেবে টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠলেন জিনেদিন জিদান। সবশেষ ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত এই কীর্তি গড়েছিলেন জুভেন্টাসের প্রাক্তন কোচ মার্সেলো লিপ্পি।

আর বায়ার্ন টানা পঞ্চম মৌসুমে স্প্যানিশ দলের বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্ব থেকে বিদায় নিল। এর মধ্যে তিনবারই তাদের প্রতিপক্ষ ছিল রিয়াল!

অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় হারের পর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বায়ার্নের দরকার ছিল দ্রুত একটা গোল। সেটি পেতে তাদের বেশিক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয়নি। প্রথম লেগে বায়ার্নকে এগিয়ে দিয়েছিলেন জশুয়া কিমিচ। ফিরতি লেগেও তিনি একই কাজ করলেন।

তৃতীয় মিনিটে ডান দিক থেকে আসা ক্রস ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস। বল চলে যায় ছয় গজ বক্সের কাছে কিমিচের পায়ে। সেখান থেকে গোল করে অতিথিদের এগিয়ে দেন জার্মান রাইটব্যাক।

বায়ার্নের এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তিটা যদিও আট মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়নি। ১১ মিনিটেই সমতায় ফেরে রিয়াল। বাঁ দিক থেকে দুর্দান্ত ক্রস করেছিলেন মার্সেলো। সেই ক্রসে অসাধারণ হেডে বল বায়ার্নের জালে জড়ান ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।

প্রথমার্ধে দুই দলই আরো একাধিক সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু স্কোরলাইনে পরিবর্তন আসেনি। ৩৪ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন হামেস রদ্রিগেজ। ৩৯ মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শট ঠেকিয়ে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক উলরেইখ।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কিমিচের শট ডি বক্সের ভেতর মার্সেলোর হাতে লাগলে পেনাল্টির আবেদন জানিয়েছিল বায়ার্নের খেলোয়াড়রা। কিন্তু রেফারি সেই ডাকে সাড়া দেননি। ফলে কিছুটা অসন্তোষও ছড়িয়ে পড়ে বায়ার্নের ডাগআউটে।

দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র ২১ সেকেন্ডের মাথায় মারাত্মক সেই ভুলটা করে বসেন বায়ার্ন গোলরক্ষক উলরেইখ। বলা যায় রিয়ালকে গোল উপহার দেন তিনি! তোলিসোর ব্যাকপাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে পা পিছলে নিয়ন্ত্রণ হারান উলরেইখ। গোলমুখের সামনে থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করতে কোনো সমস্যাই হয়নি বেনজেমার। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এক ম্যাচে দুই গোল করলেন ফরাসি স্ট্রাইকার।

পিছিয়ে পড়েও আক্রমণে ধার কমেনি বায়ার্নের। ৬৩ মিনিটে ম্যাচে সমতা টানেন হামেস রদ্রিগেজ। নিকোলাস সুলের ক্রস থেকে রদ্রিগেজের শট প্রথম চেষ্টায় আটকে দিয়েছিলেন রিয়াল গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। তবে ফিরতি বল পেয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই মৌসুমেই রিয়াল থেকে ধারে বায়ার্নে খেলতে যাওয়া কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সপ্তম খেলোয়াড় হিসেবে রিয়ালের হয়ে এবং বিপক্ষে তিনি গোল করলেন।

রদ্রিগেজের ওই গোলে সমতায় ফেরার পর শেষ দিকে রিয়ালের রক্ষণে বেশ চাপ তৈরি করেছিল বায়ার্ন। কিন্তু গোলের দেখা আর পায়নি অতিথিরা। গত মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনালের পর এবার সেমিফাইনালেও রিয়ালের কাছে হেরে ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হলো বায়ার্নকে।

বুধবার রাতে আরেক সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে রোমা ও লিভারপুল। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৫-২ গোলে জিতেছিল ইংলিশ ক্লাবটি। আগামী ২৫ মে কিয়েভের ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ কে হবে, সেটা জানা যাবে এদিন রাতে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top