প্রশ্নঃ শয়তান নাকি মানুষকে কুমন্ত্রণা দিয়ে পথভ্রষ্ট করে। স্রষ্টা কেন তাহলে নিজ সৃষ্ট জীব মানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্য শয়তানকে সৃষ্টি করলেন? এটা একজন স্রষ্টার জন্য কতটুকু নৈতিক?
উত্তরঃ শয়তানকে বলা হয়েছে আমাদের প্রকাশ্য শত্রু। যার কারণে বহু আদম সন্তানের পদস্খলন ঘটেছে। বনী ইস্রাঈলের বিখ্যাত আবেদ বারসিসার কথা কে না জানে? যাকে শয়তান এক মেয়ের সাথে কথা বলতে প্ররোচিত করেছিল। তারপর জিনা, খুন, শিরক- কী করায়নি শয়তান বারসিসাকে দিয়ে? [1] শুধু বারসিসা নয় এ পৃথিবীর বহু মানুষকে শয়তান পথভ্রষ্ট করেছে। কাজেই সংশয়ী মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, শয়তানকে কেন সৃষ্টি করা হলো? আল্লাহ তা'আলা কেন এমন একজনকে সৃষ্টি করলেন যার দ্বারা তাঁর বান্দারা জাহান্নামে পৌঁছে যাবে? উত্তরটা জানার আগে শয়তান সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা যাক-
আরবি 'শয়তান' (شيطان) শব্দটির অর্থঃ বিদ্রোহী বা অবাধ্য (rebellious)। [2]
আল্লাহ বলেনঃ
وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا شَيَاطِينَ الْإِنسِ وَالْجِنِّ يُوحِي بَعْضُهُمْ إِلَىٰ بَعْضٍ زُخْرُفَ الْقَوْلِ غُرُورًا ۚ وَلَوْ شَاءَ رَبُّكَ مَا فَعَلُوهُ ۖ فَذَرْهُمْ وَمَا يَفْتَرُونَ
অর্থঃ আর এভাবেই আমি প্রত্যেক নবীর শত্রু করেছি মানুষ ও জিনের মধ্য থেকে শয়তানদেরকে, তারা প্রতারণার উদ্দেশ্যে একে অপরকে চাকচিক্যপূর্ণ কথার কুমন্ত্রণা দেয় এবং তোমার রব যদি চাইতেন, তবে তারা তা করত না। সুতরাং তুমি তাদেরকে ও তারা যে মিথ্যা রটায়, তা ত্যাগ কর। [3]
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসির ইবন কাসিরে উল্লেখ আছে,
কাতাদা (র.) বলেন, "জিনদের মধ্যেও শয়তান আছে এবং মানুষের মধ্যেও শয়তান রয়েছে।" [4]
উত্তরঃ শয়তানকে বলা হয়েছে আমাদের প্রকাশ্য শত্রু। যার কারণে বহু আদম সন্তানের পদস্খলন ঘটেছে। বনী ইস্রাঈলের বিখ্যাত আবেদ বারসিসার কথা কে না জানে? যাকে শয়তান এক মেয়ের সাথে কথা বলতে প্ররোচিত করেছিল। তারপর জিনা, খুন, শিরক- কী করায়নি শয়তান বারসিসাকে দিয়ে? [1] শুধু বারসিসা নয় এ পৃথিবীর বহু মানুষকে শয়তান পথভ্রষ্ট করেছে। কাজেই সংশয়ী মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, শয়তানকে কেন সৃষ্টি করা হলো? আল্লাহ তা'আলা কেন এমন একজনকে সৃষ্টি করলেন যার দ্বারা তাঁর বান্দারা জাহান্নামে পৌঁছে যাবে? উত্তরটা জানার আগে শয়তান সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা যাক-
আরবি 'শয়তান' (شيطان) শব্দটির অর্থঃ বিদ্রোহী বা অবাধ্য (rebellious)। [2]
আল্লাহ বলেনঃ
وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا شَيَاطِينَ الْإِنسِ وَالْجِنِّ يُوحِي بَعْضُهُمْ إِلَىٰ بَعْضٍ زُخْرُفَ الْقَوْلِ غُرُورًا ۚ وَلَوْ شَاءَ رَبُّكَ مَا فَعَلُوهُ ۖ فَذَرْهُمْ وَمَا يَفْتَرُونَ
অর্থঃ আর এভাবেই আমি প্রত্যেক নবীর শত্রু করেছি মানুষ ও জিনের মধ্য থেকে শয়তানদেরকে, তারা প্রতারণার উদ্দেশ্যে একে অপরকে চাকচিক্যপূর্ণ কথার কুমন্ত্রণা দেয় এবং তোমার রব যদি চাইতেন, তবে তারা তা করত না। সুতরাং তুমি তাদেরকে ও তারা যে মিথ্যা রটায়, তা ত্যাগ কর। [3]
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসির ইবন কাসিরে উল্লেখ আছে,
কাতাদা (র.) বলেন, "জিনদের মধ্যেও শয়তান আছে এবং মানুষের মধ্যেও শয়তান রয়েছে।" [4]