What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

টবে চাষ করুন বেল পেপার বা ক্যাপসিকাম (1 Viewer)

Welcome! You have been invited by lamiaantara to join our community. Please click here to register.
Vsxnsln.jpg


আমাদের দেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বেল পেপার। এ নামে অবশ্য খুব বেশি মানুষ এটিকে চিনবে না। কিন্তু যদি ক্যাপসিকাম বা সিমলা মরিচ বলা হয় তাহলে সবাই চিনবেন। মরিচ নাম হলেও একটি আসলে একটি সবজি। মাছ, মাংস, সবজি, সালাদ—সবকিছুতেই এর ব্যবহার রয়েছে। সবুজ, লাল ও হলুদ রঙ সহ বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম এখন কিনতে পাওয়া যায় কাঁচাবাজার ও সুপারশপগুলোয়। তবে একটু চেষ্টা করলে বারান্দা কিংবা ছাদের টবে খুব সহজেই বেল পেপার বা ক্যাপসিকাম চাষ করা যায়।

ejrL4Ef.jpg


লাল ও হলুদ রঙের বেল পেপার বা ক্যাপসিকাম

ক্যাপসিকামের কয়েকটি উন্নত মানের জাত হলো ক্যালিফোর্নিয়া ওয়ান্ডার, ইয়েলো ওয়ান্ডার এবং হাইব্রিডের মধ্যে মধ্যে রয়েছে ম্যানহাটন, অনুপম ভারত, রতন, মহাভারত, মানহেম-৩০১৯, মানহেম–৩০২০ প্রভৃতি।

চাষপদ্ধতি

ঝুরঝুরে বেলে দোআঁশ মাটি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযুক্ত। যদিও সব মৌসুমেই ক্যাপসিকাম চাষ সম্ভব, তবে ভাদ্র ও মাঘ মাসে বীজ বপন করলে ভালো ফলনের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

HSsrX12.jpg


বেল পেপার বা ক্যাপসিকাম গাছ

বীজ বা চারা সংগ্রহ করে নিচের দিকে ছিদ্রযুক্ত একটি টব বাছাই করতে হবে, যেন অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনে সুবিধা হয়। টবের মাটির সঙ্গে এক-তৃতীয়াংশ জৈব সার মেশাতে হবে। মোটামুটি এক মাস বয়সী চারা রোপণের জন্য উপযুক্ত। ক্যাপসিকাম চাষের জন্য আলো, বাতাস ও প্রখর তাপহীন রোদ উপকারী। কারণ, তীব্র রোদে চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই তাপ কম থাকা অবস্থায় চারা রোপণ করা উচিত। চারা রোপণের কমপক্ষে ২০ দিন পর থেকে এক চামচ করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত পরিমিত পানি দিতে হবে যেন মাটি শুকিয়ে না যায়।

চারা একটু বড় হলে শক্ত খুঁটি দিতে হবে যাতে হেলে না পড়ে যায়। এ ছাড়া গাছের গোড়ার আগাছা থাকলে সেগুলো সাবধানে তুলে ফেলতে হবে। চারা বসানোর প্রায় দুই মাস পর থেকে অর্থাৎ চারা গাছ তিন মাস হলেই ফল দিতে শুরু করে, যা পরবর্তী এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত ফল দিতে থাকবে।

রোগবালাই

খেয়াল রাখতে হবে, ক্যাপসিকামের পাতায় যেন রোগের উপদ্রব না হয়। সাধারণত, দুই ধরনের রোগ দেখা যায় ক্যাপসিকামে। এর একটি হলো পাতা কুঁকড়ে যাওয়া আর অন্যটি হলো পাতায় কালো দাগ হওয়া। জাব পোকা দলবদ্ধভাবে পাতার রস চুষে খায়, এ কারণে পাতা কুঁকড়ে যায়। এ থেকে রক্ষা পেতে নিম বীজের দ্রবণ অথবা সাবান–পানি স্প্রে করা যেতে করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০লিটার পানিতে দুই চা–চামচ গুঁড়ো সাবান গুলিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

57V6ZEm.jpg


গাছে ঝুলছে বেল পেপার বা ক্যাপসিকাম, ছবি: উইকিপিডিয়া

পাতার কালো দাগ ক্যাপসিকামের ফলন কমিয়ে দেয়, এমনকি গাছও মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে এক লিটার পানিতে দুই গ্রাম ব্যাভিস্টিন গুলিয়ে ১৫ দিন পরপর স্প্রে করতে হবে।

যাঁদের বাগান করার শখ আছে বা বাগান করছেন ইতিমধ্যে, তাঁরা বাড়িতেই ক্যাপসিকাম চাষ করতে পারেন। এতে একই সঙ্গে বাগানের আবেশে পরিবর্তন আসবে এবং তাজা ক্যাপসিকাম খাওয়াও হবে।
 
চাষ করার পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
 

Users who are viewing this thread

Back
Top