নাসিরুদ্দিন হোজ্জার জন্ম তুরস্কে ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে। নানা চরিত্রে ও পেশায় তাঁকে তাঁর কয়েক শ গল্পে হাজির হতে দেখা যায়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, হোজ্জা এখন আর তুরস্কের নন, সারা বিশ্বের। ইউনেসকো তাঁর গল্পগুলোকে বিশ্বসাহিত্যিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে। হোজ্জা অবশ্য একেক অঞ্চলে একেক নামে অভিহিত। যেমন উজবেকিস্তান ও চীনে তিনি আফেন্দি বা এফেন্দি। তাঁর গল্প কখনো নির্মল হাস্যকৌতুকে, কখনো বুদ্ধির ঝলকে, কখনো বা নৈতিক শিক্ষার দ্যুতিতে উজ্জ্বল। কখনো নিজেকে নিজেই ব্যঙ্গ করেছেন।
রোগটা আসলে চোখে
মোল্লা নাসিরুদ্দিন তখন চিকিৎসার কাজ করতেন। একদিন একটা লোক তাঁর বাড়ির কাছে এসে চিৎকার করতে লাগল, 'বাবা গো, মা গো, মরে গেলাম গো!'
মোল্লা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, 'কী হয়েছে, চেঁচাচ্ছ কেন?
'পেটের যন্ত্রণায় মরে গেলাম।'
'খেয়েছিলে কী,' জিগ্যেস করলেন নাসিরুদ্দিন।
'খেয়েছিলাম একটু পচা পিঠা', জবাব দেয় লোকটা।
মোল্লা এ কথা শুনে লোকটার চোখে ওষুধ দিতে গেলেন। লোকটা বলল, 'করছেন কী? আমার চোখে তো কিছু হয়নি, পেটে ব্যথা। চোখে ওষুধ দিচ্ছেন কেন?'
মোল্লা বললেন, 'আসল রোগটা তোমার চোখে। চোখ খারাপ না হলে কেউ কি পচা পিঠা খায়!'
তার চেয়ে ছেলেদের দারোয়ানি শেখান
একবার মোল্লা নাসিরুদ্দিনের বাড়িতে টাকাপয়সার খুব টানাটানি চলছিল। একদিন গিন্নির তাড়া খেয়ে নাসিরুদ্দিন তাঁর স্বল্পবিদ্যা ভাঙিয়ে শিক্ষকতা করার জন্য হাজির হলেন এক ধনীর বাড়িতে।
গৃহকর্তারও তখন তাঁর ছোট ছেলেদের পড়ানোর জন্য একজন শিক্ষকের খুব প্রয়োজন ছিল। তিনি বললেন, 'ঠিক আছে, কাল থেকেই ওদের পড়ানো শুরু করুন।'
'মাইনে কত দিতে পারবেন', মোল্লা প্রশ্ন করেন।
'কত আর দেব! আগের শিক্ষকের মাইনে ছিল মাসে পঞ্চাশ টাকা। আপনিও তা-ই পাবেন।'
'কিন্তু এত কম মাইনে দিলে চলে কী করে?'
'বেশ, তাহলে পঁচাত্তর টাকাই পাবেন।'
কথাবার্তা যখন চলছে, সেই সময় বাড়ির দারোয়ান কী একটা খবর দিতে ঢুকল।
দারোয়ানকে দেখিয়ে নাসিরুদ্দিন গৃহকর্তাকে জিজ্ঞেস করলেন, 'আচ্ছা, এর মাইনে কত?'
'ওকে দিই মাসে তিন শ টাকা।'
'বেশ তো, তাহলে এক কাজ করুন, এবার থেকে এই দারোয়ানের কাছে ছেলেদের দারোয়ানি শেখান। দারোয়ানি শিখলেই তো আপনার ছেলে শিক্ষকের চেয়েও ভালো আয়-উপার্জন করতে পারবে।'
* প্রথমা প্রকাশনের নাসিরুদ্দিন হোজ্জার ১০০ গল্প বই থেকে
রোগটা আসলে চোখে
মোল্লা নাসিরুদ্দিন তখন চিকিৎসার কাজ করতেন। একদিন একটা লোক তাঁর বাড়ির কাছে এসে চিৎকার করতে লাগল, 'বাবা গো, মা গো, মরে গেলাম গো!'
মোল্লা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, 'কী হয়েছে, চেঁচাচ্ছ কেন?
'পেটের যন্ত্রণায় মরে গেলাম।'
'খেয়েছিলে কী,' জিগ্যেস করলেন নাসিরুদ্দিন।
'খেয়েছিলাম একটু পচা পিঠা', জবাব দেয় লোকটা।
মোল্লা এ কথা শুনে লোকটার চোখে ওষুধ দিতে গেলেন। লোকটা বলল, 'করছেন কী? আমার চোখে তো কিছু হয়নি, পেটে ব্যথা। চোখে ওষুধ দিচ্ছেন কেন?'
মোল্লা বললেন, 'আসল রোগটা তোমার চোখে। চোখ খারাপ না হলে কেউ কি পচা পিঠা খায়!'
তার চেয়ে ছেলেদের দারোয়ানি শেখান
একবার মোল্লা নাসিরুদ্দিনের বাড়িতে টাকাপয়সার খুব টানাটানি চলছিল। একদিন গিন্নির তাড়া খেয়ে নাসিরুদ্দিন তাঁর স্বল্পবিদ্যা ভাঙিয়ে শিক্ষকতা করার জন্য হাজির হলেন এক ধনীর বাড়িতে।
গৃহকর্তারও তখন তাঁর ছোট ছেলেদের পড়ানোর জন্য একজন শিক্ষকের খুব প্রয়োজন ছিল। তিনি বললেন, 'ঠিক আছে, কাল থেকেই ওদের পড়ানো শুরু করুন।'
'মাইনে কত দিতে পারবেন', মোল্লা প্রশ্ন করেন।
'কত আর দেব! আগের শিক্ষকের মাইনে ছিল মাসে পঞ্চাশ টাকা। আপনিও তা-ই পাবেন।'
'কিন্তু এত কম মাইনে দিলে চলে কী করে?'
'বেশ, তাহলে পঁচাত্তর টাকাই পাবেন।'
কথাবার্তা যখন চলছে, সেই সময় বাড়ির দারোয়ান কী একটা খবর দিতে ঢুকল।
দারোয়ানকে দেখিয়ে নাসিরুদ্দিন গৃহকর্তাকে জিজ্ঞেস করলেন, 'আচ্ছা, এর মাইনে কত?'
'ওকে দিই মাসে তিন শ টাকা।'
'বেশ তো, তাহলে এক কাজ করুন, এবার থেকে এই দারোয়ানের কাছে ছেলেদের দারোয়ানি শেখান। দারোয়ানি শিখলেই তো আপনার ছেলে শিক্ষকের চেয়েও ভালো আয়-উপার্জন করতে পারবে।'
* প্রথমা প্রকাশনের নাসিরুদ্দিন হোজ্জার ১০০ গল্প বই থেকে