তাঁর নিজের জীবনের গল্পটা কিন্তু সিনেমার চেয়ে কম নয়...
আজ ১১ জুন, পিটার ডিঙ্কলেজের জন্মদিন। নামটা যাঁদের কাছে অপরিচিত ঠেকছে, তাঁদের জন্য জানিয়ে দিই—তিনি একজন মার্কিন অভিনেতা ও প্রযোজক। গেম অব থ্রোনস টিভি সিরিজে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কাজ করেছেন এক্সম্যান: ডেইজ অব ফিউচার পাস্ট, দ্য ক্রনিকলস অব নার্নিয়া: প্রিন্স ক্যাসপিয়ানের মতো চলচ্চিত্রে। জিতে নিয়েছেন গোল্ডেন গ্লোব, প্রাইমটাইম অ্যামি অ্যাওয়ার্ডসহ বহু পুরস্কার। তাঁর নিজের জীবনের গল্পটা কিন্তু সিনেমার চেয়ে কম নয়। ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বেনিংটন কলেজে এক বক্তৃতায় সেই গল্প বলেছিলেন তিনি। পড়ুন পিটার ডিঙ্কলেজের বক্তৃতার নির্বাচিত অংশের অনুবাদ।
আমার শুরুটা হয়েছিল এক বৃষ্টিস্নাত রাতে। সেটা ১৯৮৭ সালের কথা। আমি ছিলাম একজন সম্ভাবনাময় ছাত্র। সে রাতের ঝুমবৃষ্টিতে একজনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। বৃষ্টির বেগ এতটাই বেশি ছিল যে আমি মানুষটার মুখ ভালো করে দেখতেও পারিনি।
তখনো জানতাম না, এই মানুষটাই হবে আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। জানতাম না, ১৭ বছর পর এই মানুষটাই আমাকে একটা মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে, যে আবার ভবিষ্যতে আমার স্ত্রী হবে!
পিটার ডিঙ্কলেজ, ছবি: সংগৃহীত
কাল কী হবে?
আমার চোখে হাজারো স্বপ্ন ছিল। কোথায় যাব, কী হব, কী করব, সহপাঠীদের সঙ্গে কীভাবে একটা থিয়েটার চালু করব, কোন ছবিতে অভিনয় করব, কোন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করব, কী গল্প বলব...কত স্বপ্ন। ভাবতাম একটু হয়তো সময় লাগবে, কিন্তু এই সব স্বপ্ন একদিন না একদিন পূরণ হবে। ২২ বছর আগে তোমাদের আসনে বসে আমি সব ভাবতাম, শুধু ভাবতাম না—কাল কী হবে? কাল আমি কী করব?
স্নাতক শেষ হলো ১৯৯১ সালে, দারুণ একটা বছর। তখন আমার টাকা ছিল না, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না, ক্রেডিট কার্ড ছিল না, অ্যাপার্টমেন্ট ছিল না। ছিল শুধু ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা।
নয়টা-পাঁচটা চাকরি আমি চাইনি। আমি ছিলাম একজন অভিনয়শিল্পী, একজন লেখক। বেনিংটনের স্নাতক। তবু আমাকে একটা চাকরিতে ঢুকতে হয়েছে। পাঁচ মাস একটা পিয়ানোর দোকানে পিয়ানোর ওপর থেকে ধুলা ঝেড়েছি। একজন শেক্সপিয়ার বিশেষজ্ঞের সম্পদের দেখভাল করেছি। কিছুদিন বেকারও ছিলাম। নানা রকম কাজের পর অবশেষে প্রফেশনাল এক্সামিনেশন সার্ভিস নামে একটা প্রতিষ্ঠানে ঢুকলাম 'ডেটা এন্টারার' হিসেবে। সেখানেই ছিলাম টানা ছয় বছর। ছয় বছর! বেনিংটনে যতটা সময় কাটিয়েছি, তার চেয়েও বেশি!
আমার আর ব্রায়ানের দুনিয়া
২৩ থেকে ২৯ বছর বয়স পর্যন্ত কেটেছে সেখানে। তারা আমাকে পছন্দ করত। মজার মানুষ ছিলাম। প্রায় প্রতি শুক্রবারেই অসুস্থ হয়ে পড়তাম, কারণ আগের দিন আমাকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হতো। কাজটা আমি ভীষণ অপছন্দ করতাম। তবু সেই চাকরিটাই আঁকড়ে ধরে ছিলাম। কারণ, এই চাকরি আমাকে একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েছিল। ব্রুকলিনের একটা কারখানার চিলেকোঠায় ছোট্ট একটা ঘরে থাকতাম।
রাস্তার ওপারেই ছিল একটা আগুন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান। সেখানে এমন সব রাসায়নিক দ্রব্য তৈরি হতো, যেগুলো রাসায়নিক থেকে সৃষ্ট আগুন নেভাতে সক্ষম। বাতাসে ভেসে বেড়াত রাসায়নিক দ্রব্যের কণা, তাতে আমার খুব একটা সমস্যা হতো না। কারণ, রাস্তার পাশে একটা মসলার কারখানা ছিল। সেখান থেকে ভেসে আসা জিরার ঘ্রাণে অন্য সব গন্ধ চাপা পড়ে যেত। ঘরে ইঁদুর ছিল, তাতেও আমার সমস্যা ছিল না। কারণ, আমার একটা বিড়ালও ছিল। বিড়ালটার নাম ব্রায়ান।
একটাই জানালা ছিল ঘরে। জানালার উচ্চতা আমার চেয়ে বেশি বলে উঁকি দিয়ে বাইরের পৃথিবীটা দেখতে পেতাম না। ব্রায়ানই আমাকে বাইরের পৃথিবীর গল্প বলত। সেখানে আমি ১০ বছর ছিলাম। না না, করুণার চোখে তাকিয়ো না। গল্পের শেষটা আনন্দের।
স্টাইলিশ অভিনেতা পিটার ডিঙ্কলেজ, ছবি: ইনস্টাগ্রাম
অভিনয়ের আনন্দ
২৯ বছর বয়সে ঠিক করলাম, সামনে যেখানেই অভিনয়ের কাজ পাব, লুফে নেব। টাকার অঙ্ক যতই হোক না কেন। ভালো হোক, খারাপ হোক, আমি অভিনেতাই হব। অতএব আমি প্রফেশনাল এক্সামিনেশন সার্ভিসকে বিদায় জানালাম। আমার বন্ধুরা এ ব্যাপারে খুব একটা খুশি ছিল না। কারণ, যত দিন আমি চাকরি করতাম, তত দিন আমাকে খুঁজে পাওয়া খুব সহজ ছিল। কাজের জায়গায় এলেই পাওয়া যেত।
ইমপারফেক্ট লাভ নামে একটা মঞ্চনাটকে কাজ করার সুযোগ পেলাম। পরে এই গল্প থেকে চলচ্চিত্র হলো, নাম থার্টিন মুনস। এক চরিত্র থেকে আরেক চরিত্র, আরেক চরিত্র থেকে আরেক চরিত্রে অভিনয় করতে থাকলাম।
আমি কিন্তু জানতাম না, এমনটা হবে। ২৯ বছর বয়সে যখন 'ডেটা প্রসেসিং'য়ের কাজ ছেড়ে আসছিলাম, খুব ভীত ছিলাম। ১০ বছর একটা খুপরির ভেতর থেকেছি, ছয় বছরে এক চাকরি করে গেছি। আমি হয়তো পরিবর্তনকে ভয় পাচ্ছিলাম। তোমরাও পাও, তাই না?
নিজের আয়
আমার মা-বাবার অত টাকা ছিল না। কিন্তু আমাকে সেরা স্কুলে পাঠাতে তাঁরা ভীষণ কষ্ট করেছেন। স্নাতকেরা, তোমাদের হয়তো কথাটা শুনতে ভালো লাগবে না, স্নাতক শেষ করার পর আমার দায়িত্ব আমিই নিয়েছিলাম। নিজের আয়ে নিজে চলতাম।
আমি দেখতে পাচ্ছি, অভিভাবকেরা হাততালি দিচ্ছেন, স্নাতকেরা দিচ্ছে না। কিন্তু সত্যি বলছি, আমি একটুও আলসেমি করিনি। এখন আমি অলস হতে পারি, তখন ছিলাম না।
বাকি জীবনটা এমনভাবে গড়ে তোলো যেন সেই তোমার সঙ্গে তোমার দেখা হয়, যেমনটা তুমি হতে চাও। একটা মোক্ষম সময় আসবে, সেই অপেক্ষায় থেকো না। অপেক্ষায় থাকলে সেই মুহূর্তটা আর কখনোই আসবে না।
স্নাতকের পরের সময়টা খুব কঠিন। অন্তত আমার ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বাস করো, খুব দ্রুতই তুমি একটা ছন্দে চলে আসবে। একটু সময় লাগবে। শুধু আমার মতো ২৯ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা কোরো না। আমি জানি তোমাদের এত সময় লাগবে না।
* ইংরেজি থেকে অনুদিত। সূত্র: স্পিকোলা
আজ ১১ জুন, পিটার ডিঙ্কলেজের জন্মদিন। নামটা যাঁদের কাছে অপরিচিত ঠেকছে, তাঁদের জন্য জানিয়ে দিই—তিনি একজন মার্কিন অভিনেতা ও প্রযোজক। গেম অব থ্রোনস টিভি সিরিজে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কাজ করেছেন এক্সম্যান: ডেইজ অব ফিউচার পাস্ট, দ্য ক্রনিকলস অব নার্নিয়া: প্রিন্স ক্যাসপিয়ানের মতো চলচ্চিত্রে। জিতে নিয়েছেন গোল্ডেন গ্লোব, প্রাইমটাইম অ্যামি অ্যাওয়ার্ডসহ বহু পুরস্কার। তাঁর নিজের জীবনের গল্পটা কিন্তু সিনেমার চেয়ে কম নয়। ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বেনিংটন কলেজে এক বক্তৃতায় সেই গল্প বলেছিলেন তিনি। পড়ুন পিটার ডিঙ্কলেজের বক্তৃতার নির্বাচিত অংশের অনুবাদ।
আমার শুরুটা হয়েছিল এক বৃষ্টিস্নাত রাতে। সেটা ১৯৮৭ সালের কথা। আমি ছিলাম একজন সম্ভাবনাময় ছাত্র। সে রাতের ঝুমবৃষ্টিতে একজনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। বৃষ্টির বেগ এতটাই বেশি ছিল যে আমি মানুষটার মুখ ভালো করে দেখতেও পারিনি।
তখনো জানতাম না, এই মানুষটাই হবে আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। জানতাম না, ১৭ বছর পর এই মানুষটাই আমাকে একটা মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে, যে আবার ভবিষ্যতে আমার স্ত্রী হবে!
পিটার ডিঙ্কলেজ, ছবি: সংগৃহীত
কাল কী হবে?
আমার চোখে হাজারো স্বপ্ন ছিল। কোথায় যাব, কী হব, কী করব, সহপাঠীদের সঙ্গে কীভাবে একটা থিয়েটার চালু করব, কোন ছবিতে অভিনয় করব, কোন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করব, কী গল্প বলব...কত স্বপ্ন। ভাবতাম একটু হয়তো সময় লাগবে, কিন্তু এই সব স্বপ্ন একদিন না একদিন পূরণ হবে। ২২ বছর আগে তোমাদের আসনে বসে আমি সব ভাবতাম, শুধু ভাবতাম না—কাল কী হবে? কাল আমি কী করব?
স্নাতক শেষ হলো ১৯৯১ সালে, দারুণ একটা বছর। তখন আমার টাকা ছিল না, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না, ক্রেডিট কার্ড ছিল না, অ্যাপার্টমেন্ট ছিল না। ছিল শুধু ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা।
নয়টা-পাঁচটা চাকরি আমি চাইনি। আমি ছিলাম একজন অভিনয়শিল্পী, একজন লেখক। বেনিংটনের স্নাতক। তবু আমাকে একটা চাকরিতে ঢুকতে হয়েছে। পাঁচ মাস একটা পিয়ানোর দোকানে পিয়ানোর ওপর থেকে ধুলা ঝেড়েছি। একজন শেক্সপিয়ার বিশেষজ্ঞের সম্পদের দেখভাল করেছি। কিছুদিন বেকারও ছিলাম। নানা রকম কাজের পর অবশেষে প্রফেশনাল এক্সামিনেশন সার্ভিস নামে একটা প্রতিষ্ঠানে ঢুকলাম 'ডেটা এন্টারার' হিসেবে। সেখানেই ছিলাম টানা ছয় বছর। ছয় বছর! বেনিংটনে যতটা সময় কাটিয়েছি, তার চেয়েও বেশি!
আমার আর ব্রায়ানের দুনিয়া
২৩ থেকে ২৯ বছর বয়স পর্যন্ত কেটেছে সেখানে। তারা আমাকে পছন্দ করত। মজার মানুষ ছিলাম। প্রায় প্রতি শুক্রবারেই অসুস্থ হয়ে পড়তাম, কারণ আগের দিন আমাকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হতো। কাজটা আমি ভীষণ অপছন্দ করতাম। তবু সেই চাকরিটাই আঁকড়ে ধরে ছিলাম। কারণ, এই চাকরি আমাকে একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েছিল। ব্রুকলিনের একটা কারখানার চিলেকোঠায় ছোট্ট একটা ঘরে থাকতাম।
রাস্তার ওপারেই ছিল একটা আগুন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান। সেখানে এমন সব রাসায়নিক দ্রব্য তৈরি হতো, যেগুলো রাসায়নিক থেকে সৃষ্ট আগুন নেভাতে সক্ষম। বাতাসে ভেসে বেড়াত রাসায়নিক দ্রব্যের কণা, তাতে আমার খুব একটা সমস্যা হতো না। কারণ, রাস্তার পাশে একটা মসলার কারখানা ছিল। সেখান থেকে ভেসে আসা জিরার ঘ্রাণে অন্য সব গন্ধ চাপা পড়ে যেত। ঘরে ইঁদুর ছিল, তাতেও আমার সমস্যা ছিল না। কারণ, আমার একটা বিড়ালও ছিল। বিড়ালটার নাম ব্রায়ান।
একটাই জানালা ছিল ঘরে। জানালার উচ্চতা আমার চেয়ে বেশি বলে উঁকি দিয়ে বাইরের পৃথিবীটা দেখতে পেতাম না। ব্রায়ানই আমাকে বাইরের পৃথিবীর গল্প বলত। সেখানে আমি ১০ বছর ছিলাম। না না, করুণার চোখে তাকিয়ো না। গল্পের শেষটা আনন্দের।
স্টাইলিশ অভিনেতা পিটার ডিঙ্কলেজ, ছবি: ইনস্টাগ্রাম
অভিনয়ের আনন্দ
২৯ বছর বয়সে ঠিক করলাম, সামনে যেখানেই অভিনয়ের কাজ পাব, লুফে নেব। টাকার অঙ্ক যতই হোক না কেন। ভালো হোক, খারাপ হোক, আমি অভিনেতাই হব। অতএব আমি প্রফেশনাল এক্সামিনেশন সার্ভিসকে বিদায় জানালাম। আমার বন্ধুরা এ ব্যাপারে খুব একটা খুশি ছিল না। কারণ, যত দিন আমি চাকরি করতাম, তত দিন আমাকে খুঁজে পাওয়া খুব সহজ ছিল। কাজের জায়গায় এলেই পাওয়া যেত।
ইমপারফেক্ট লাভ নামে একটা মঞ্চনাটকে কাজ করার সুযোগ পেলাম। পরে এই গল্প থেকে চলচ্চিত্র হলো, নাম থার্টিন মুনস। এক চরিত্র থেকে আরেক চরিত্র, আরেক চরিত্র থেকে আরেক চরিত্রে অভিনয় করতে থাকলাম।
আমি কিন্তু জানতাম না, এমনটা হবে। ২৯ বছর বয়সে যখন 'ডেটা প্রসেসিং'য়ের কাজ ছেড়ে আসছিলাম, খুব ভীত ছিলাম। ১০ বছর একটা খুপরির ভেতর থেকেছি, ছয় বছরে এক চাকরি করে গেছি। আমি হয়তো পরিবর্তনকে ভয় পাচ্ছিলাম। তোমরাও পাও, তাই না?
নিজের আয়
আমার মা-বাবার অত টাকা ছিল না। কিন্তু আমাকে সেরা স্কুলে পাঠাতে তাঁরা ভীষণ কষ্ট করেছেন। স্নাতকেরা, তোমাদের হয়তো কথাটা শুনতে ভালো লাগবে না, স্নাতক শেষ করার পর আমার দায়িত্ব আমিই নিয়েছিলাম। নিজের আয়ে নিজে চলতাম।
আমি দেখতে পাচ্ছি, অভিভাবকেরা হাততালি দিচ্ছেন, স্নাতকেরা দিচ্ছে না। কিন্তু সত্যি বলছি, আমি একটুও আলসেমি করিনি। এখন আমি অলস হতে পারি, তখন ছিলাম না।
বাকি জীবনটা এমনভাবে গড়ে তোলো যেন সেই তোমার সঙ্গে তোমার দেখা হয়, যেমনটা তুমি হতে চাও। একটা মোক্ষম সময় আসবে, সেই অপেক্ষায় থেকো না। অপেক্ষায় থাকলে সেই মুহূর্তটা আর কখনোই আসবে না।
স্নাতকের পরের সময়টা খুব কঠিন। অন্তত আমার ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বাস করো, খুব দ্রুতই তুমি একটা ছন্দে চলে আসবে। একটু সময় লাগবে। শুধু আমার মতো ২৯ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা কোরো না। আমি জানি তোমাদের এত সময় লাগবে না।
* ইংরেজি থেকে অনুদিত। সূত্র: স্পিকোলা