ঘোড়া চক্কর
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : সুতাহারা, গোরাচাঁপা, সাপ-মনসা, গোড়াচক্র, মুর্বা, মুর্ভা, মুর্গা।
Common Name : Snake plant, Mother-in-law's tongue, Viper's bowstring hemp
Scientific Name : Dracaena trifasciata
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : সুতাহারা, গোরাচাঁপা, সাপ-মনসা, গোড়াচক্র, মুর্বা, মুর্ভা, মুর্গা।
Common Name : Snake plant, Mother-in-law's tongue, Viper's bowstring hemp
Scientific Name : Dracaena trifasciata
ঘোড়া চক্কর বা Snake Plant একটি ইনডোর প্লান্ট। এটি রুমের ভিতরে এয়ার ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে, সেই সাথে শ্রীবৃদ্বিও ঘটায়। এরা মূলত আফ্রিকার স্থানীয় প্রজাতী হলেও পৃথিবীর নানান দেশেই এদের দেখতে পাওয়া যায়। উত্তর অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশে এটি আগাছা হিসেবে বিবেচিত হয়।
ঘোরাচক্কর একটি চিরহরিৎ বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এদের শক্ত ও লম্বা পাতাগুলি তরোয়াল আকৃতির, সোজা উপরের দিকে বৃদ্ধি পায়। পাতাগুলি সাধারণত ২ থেকে ৩ ফুট লম্বা ও ২ থেকে আড়াই ইঞ্চি প্রশস্ত হয়। এদের সর্বাধীক উচ্চতা ৬ ফুটের মত হতে দেখা গেছে। পরিপক্ক পাতাগুলি হালকা ধূসর-সবুজ হয়ে যায়। পাতাগুলির দুপাশে হলুদ রংঙের বর্ডার থাকে। এদের পাতায় শক্তিশালী উদ্ভিদ ফাইবার থাকে যা একসময় ধনুক তৈরিতে ব্যবহৃত হত।
ঘোরাচক্কর এখন প্রধানত একটি আলংকারিক উদ্ভিদ হিসাবে বাড়ির ভিতরে বা বাগানেও দেখা যায়। তবে শীত প্রধান দেশগুলিতে এটি বাড়ির ভিতরের গাছ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এরা কম আলো বা অনিয়মিত জল পেলেও টিকে থাকতে পারে বলেই ইনডোর প্লান্ট নিসেবে সারা দুনিয়ায় এর সুনাম আছে। মাসে একবার জল পেলেই এর জলের প্রয়োজন মিটে যায়। বেশি পানি দিলে বা পানি জমে থাকলে এটি মরে যেতে পারে। এরা প্রচন্ড কষ্ট সহিংসুক উদ্ভিদ। প্রচন্ড খরাও এরা সহ করে নিতে পারে।
ঘোড়াচক্কর উদ্ভিদটি তাঁদের রাইজোমের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। এর রাইজোম ভাগ করে লাগিয়ে দিয়ে নতুন চারা তৈরি করা যায়। বছরের যেকোন সময় রাইজোম বিভাজনের মাধ্যমে তাদের এই বংশবিস্তার করা যায়।
ঘোড়া চক্কর উদ্ভিদটি কুকুর এবং বিড়ালের জন্য হালকা বিষাক্ত।
প্রায় সকলেই ঘোড়াচক্কর উদ্ভিদটিকে পাতাবাহার টাইপ উদ্ভিদ মনে করে। এদেরযে ফুল হয় তাই অনেকে যানেন না। অবশ্য সহসাই এর ফল দেখতে মেলে না। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি অনেক বছর পরে এই গাছে ফুল আসে।
প্রায় এক থেকে দেড় ফুট পুষ্পমঞ্জরি বের হয় গাছের গোড়া থেকে। সেখানে অনেকগুলি ছোট ছোট সবুজাভ সাদা ফুল ফুটে। সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এদের ফুল ফুটে। ফুলে ঘ্রাণ আছে কিনা এই মূহুর্তে মনে করতে পারছি না।