আমার এক চোখে দৃষ্টি না থেকে
যদি সে থাকতো।
হয়তো এক চোখেই দেখতে হত এ পৃথিবী
তবু আমি মানুষ চিনতে পারতাম। সব মানুষ সব মানুষে কষ্ট, বর যাত্রী থেকে শব যাত্রী;
বড় লোক ছোট লোক; কোনটা লোক দেখানো আর কোনটা মহৎ চোখ -সব বুঝতাম।
তবু যদি সে থাকতো।
আমার যদি একটি কিডনি না থেকে
সে থাকতো।
হয়তো শারীরিক ভাবে একটু দুর্বল
থাকতাম, সমাজের অন্য সব অঙ্গহীন মনুষের মত আমিও না হয় এক অঙ্গহীন হতাম।
তবু যদি সে থাকতো।
আমার একটা হাত না থেকে
যদি সে থাকতো।
হয়তো এক হাতেই লড়তে হত গুপ্ত সে সব
প্রতারকদের বিরুদ্ধে। আমার সংসার, ঘরে
কোয়েল পাখির খাবার, ছোট্ট স্কুটার আমার
এক হাতেই চালাতে হত। তবুও'তো সুষম বন্টন হতো, কষ্টের দিন শেষে সুখী রাত আসতো, কেউ এক জন না খেয়ে আমি ফিরবার অপেক্ষায় থাকতো।
তবু যদি সে থাকতো।
আমার একটি পা না থেকে
যদি সে থাকতো।
হয়তো খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতাম, মানুষ যেখানো দৌড়ায় আমি সেখানে হাটতাম;
কেও কেও আমার পাশে দাড়াতে চাইতো না, আমাকে কাছের মানুষ বলে পরিচয় দিতো না, ঘনিষ্ঠরা পাশ কাটিয়ে যেতো;
তবু আমি সামনে এগুতাম,
চোখে বুকে হাতে আমার এক পায়ের শরীরে আনন্দ লেগে থাকতো।
একটি প্রিয় মানুষের একটি সত্যিকারের মানুষে জন্য, তার সততার সৌন্দর্যের জন্য
তার অভাবের দিনে দৃঢ়তার জন্য
তার মানুষের জন্য মায়ার জন্য
তার ত্যাগের জন্য
তার মানুষ না ঠকাবার জন্য
তার জন্য শ্রমিকের মত ঘাম ঝড়িয়ে
শরীর জুড়ে ক্লান্তি আর মুখে তৃপ্তির হাসি নিয়ে
আমি আমার এক পায়েই বাড়ি ফিরতাম।
আমার যাই হত,
তবু যদি সে থাকতো।
যদি সে থাকতো
হয়তো বুকে বিরাট ব্যধী থাকতো, গায়ে একশ আট ডিগ্রী জ্বর থাকতো,
সামান্য কিছু রিন থাকতো,
অভীমান করার কারণ থাকতো,
তাকে দেখানো অযথা জীদ থাকতো,
যদি সে থাকতো
হয়তো এই জীবনের অন্য একটা মানে থাকতো।
প্রতিটি ভোরে ঘুম ভাংবার কারণ থাকতো।
অসুখ করলে সুস্থ্য হবার চেষ্টা থাকতো।
সোবার সময় মাথার কাছে আরো একটা বালিস থাকতো।
পিপাসায় পানি দেবার মেহেদী দেয়া কারো দু'টি হাত থাকতো।
অনিয়ম করলে মিষ্টি শাষণ থাকতো।
সকালে বিশেষ কিছু না থাকলেও হয়তো পান্তা ভাতে এক জোড়া মরিচ থাকতো।
যদি সে থাকতো
সে যেমনি থাকতো আমাকে স্বাধীন রাখতো।
আমার মৌলিক সুখ থাকতো।
বিবেকের বিচারালয় থাকতো।
বিদ্রহী তেজ থাকতো।
সংগ্রাম থাকতো।
বিরাট মনবল থাকতো।
হেরে গিয়েও আশা থাকতো।
নব নির্মানের প্রয়াস থাকতো।
যদি সে থাকতো।
হয়তো এক চোখেই দেখতে হত এ পৃথিবী
তবু আমি মানুষ চিনতে পারতাম। সব মানুষ সব মানুষে কষ্ট, বর যাত্রী থেকে শব যাত্রী;
বড় লোক ছোট লোক; কোনটা লোক দেখানো আর কোনটা মহৎ চোখ -সব বুঝতাম।
তবু যদি সে থাকতো।
আমার যদি একটি কিডনি না থেকে
সে থাকতো।
হয়তো শারীরিক ভাবে একটু দুর্বল
থাকতাম, সমাজের অন্য সব অঙ্গহীন মনুষের মত আমিও না হয় এক অঙ্গহীন হতাম।
তবু যদি সে থাকতো।
আমার একটা হাত না থেকে
যদি সে থাকতো।
হয়তো এক হাতেই লড়তে হত গুপ্ত সে সব
প্রতারকদের বিরুদ্ধে। আমার সংসার, ঘরে
কোয়েল পাখির খাবার, ছোট্ট স্কুটার আমার
এক হাতেই চালাতে হত। তবুও'তো সুষম বন্টন হতো, কষ্টের দিন শেষে সুখী রাত আসতো, কেউ এক জন না খেয়ে আমি ফিরবার অপেক্ষায় থাকতো।
তবু যদি সে থাকতো।
আমার একটি পা না থেকে
যদি সে থাকতো।
হয়তো খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতাম, মানুষ যেখানো দৌড়ায় আমি সেখানে হাটতাম;
কেও কেও আমার পাশে দাড়াতে চাইতো না, আমাকে কাছের মানুষ বলে পরিচয় দিতো না, ঘনিষ্ঠরা পাশ কাটিয়ে যেতো;
তবু আমি সামনে এগুতাম,
চোখে বুকে হাতে আমার এক পায়ের শরীরে আনন্দ লেগে থাকতো।
একটি প্রিয় মানুষের একটি সত্যিকারের মানুষে জন্য, তার সততার সৌন্দর্যের জন্য
তার অভাবের দিনে দৃঢ়তার জন্য
তার মানুষের জন্য মায়ার জন্য
তার ত্যাগের জন্য
তার মানুষ না ঠকাবার জন্য
তার জন্য শ্রমিকের মত ঘাম ঝড়িয়ে
শরীর জুড়ে ক্লান্তি আর মুখে তৃপ্তির হাসি নিয়ে
আমি আমার এক পায়েই বাড়ি ফিরতাম।
আমার যাই হত,
তবু যদি সে থাকতো।
যদি সে থাকতো
হয়তো বুকে বিরাট ব্যধী থাকতো, গায়ে একশ আট ডিগ্রী জ্বর থাকতো,
সামান্য কিছু রিন থাকতো,
অভীমান করার কারণ থাকতো,
তাকে দেখানো অযথা জীদ থাকতো,
যদি সে থাকতো
হয়তো এই জীবনের অন্য একটা মানে থাকতো।
প্রতিটি ভোরে ঘুম ভাংবার কারণ থাকতো।
অসুখ করলে সুস্থ্য হবার চেষ্টা থাকতো।
সোবার সময় মাথার কাছে আরো একটা বালিস থাকতো।
পিপাসায় পানি দেবার মেহেদী দেয়া কারো দু'টি হাত থাকতো।
অনিয়ম করলে মিষ্টি শাষণ থাকতো।
সকালে বিশেষ কিছু না থাকলেও হয়তো পান্তা ভাতে এক জোড়া মরিচ থাকতো।
যদি সে থাকতো
সে যেমনি থাকতো আমাকে স্বাধীন রাখতো।
আমার মৌলিক সুখ থাকতো।
বিবেকের বিচারালয় থাকতো।
বিদ্রহী তেজ থাকতো।
সংগ্রাম থাকতো।
বিরাট মনবল থাকতো।
হেরে গিয়েও আশা থাকতো।
নব নির্মানের প্রয়াস থাকতো।