এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের কিনারার একাডেমির ওভাল মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ তিন উইকেটে জয় তুলে নেয় ভারতের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ এদিন টস জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান করে। এই আসরে ভারতের বিপক্ষে আগের দেখায় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ প্রথম উইকেটের দেখা পায় রানআউটের মাধ্যমে। চতুর্থ ওভারে সালমা খাতুনের করা প্রথম বলে মিতালি থার্ডম্যানে পুশ করে দুই রান শেষ করেন। তৃতীয় রানের জন্য ছুটতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন স্মৃতি মন্ধনা (৭)।
বাংলাদেশি বোলাররা এদিন পাওয়ার প্লেতে ভারতকে আটকে রাখেন। প্রথম ৬ ওভারে ২১ রান তুলতে ১ উইকেট হারায় দলটি।
দ্বিতীয় উইকেট যায় সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে। জাহানারা আলমের গুড লেংথের বল মিডউইকেটে দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন দীপ্তি শর্মা (৪)।
ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মিতালি ফেরেন অষ্টম ওভারের প্রথম বলে। খাদিজার সাদামাটা এক বল অনসাইডে ঘোরাতে গিয়ে মিডঅফে ফারজানার হাতে ধরা পড়েন (১১)।
অঞ্জু পাতিল (৩) অবস্ট্রাকিং দ্য ফিল্ড হয়ে ফিরলে ভারত বেশি চাপে পড়ে যায়। রান নিতে গিয়ে অঞ্জু বলের স্বাভাবিক গতিকে পরিবর্তন করেন। মাঠের আম্পায়ার থার্ডআম্পায়ারের কাছে গেলে তিনি আউট ঘোষণা করেন।
এরপর দলীয় ৬২ রানে পথ ধরেন ভেদা কৃষ্ণমূর্তি। তাকে বোল্ড করেন সালমা খাতুন। সালমা এই ওভারে ফুল লেংথে বল করছিলেন। প্রথম বলে তাকে সুইপ করে দুই রান নেন হারমানপ্রীত। তৃতীয় বলটিও একই রকম ছিল। লেগস্টাম্পের ফুল লেংথ বল সুইপ করতে যান কৃষ্ণমূর্তি। তিনি বেশি অফসাইডে সরে গিয়েছিলেন। যার কারণে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন।
১৫তম ওভারে দলকে ৭২ রানে রেখে ফেরেন তানিয়া ভাটিয়া (৩)। রুমানা আহমেদের প্রথম শিকার হন তিনি। গুডলেংথের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন।
ওই ওভারের শেষ বলে রুমানা দ্বিতীয় উইকেট পান। কাট করতে গিয়ে টপস্পিনে ভড়কে যান শিখা পাণ্ডে। কানায় লেগে বল যায় উইকেটরক্ষক শামিমা সুলতানার হাতে।
ভারত রান বাড়িয়ে নেয় হারমানপ্রীত অর্ধশতকে। ৪২ বলে ৫৬ করেন তিনি।
রুমানা ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। খাদিজা ২ উইকেট নিতে ২৩ রান খরচ করেন। নাহিদা কোনো উইকেট না পেলেও মাত্র ১২ রান খরচ করেন। জাহানারা ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে একজনকে ফেরান। সালমা খাতুন ২৪ রান দিয়ে নেন এক উইকেট।