ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সার্চ ইঞ্জিন গুগল (Google) সম্পর্কে কম বেশি জানেন না তা তো হবার নয় ৷ হয়তো এই আর্টিকেলটি পড়তেও আপনি গুগল করেই এসেছেন ৷ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন পিএইচডি কোর্সের ছাত্র ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিনের হাতে তাঁদের গবেষণা প্রকল্প হিসেবে গুগলের যাত্রা শুরু হয়েছিল ৷ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল দুই প্রতিষ্ঠাতার অপর একজন বন্ধুর গ্যারেজ থেকে ৷ প্রতিনিয়ত এই সার্চ ইঞ্জিনটি ব্যবহার করে যাচ্ছি আমরা তথ্য খোঁজা থেকে শুরু করে নানা ধরনের কাজে ৷ আজকে আমরা জানব সেই গুগল সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য যেগুলোর বেশিরভাগ হয়তো আপনি ভাবতেও পারেননি কখনো ৷ তো চলুন একনজরে দেখে নেয়া যাক গুগল সম্পর্কে জানা-অজানা এবং মজার কিছু তথ্য :-
১. গুগল (Google) নামটির উৎপত্তি হয়েছে মূলত গাণিতিক শব্দ 'googol' থেকে যেটির মানে হচ্ছে টেন টু দি পাওয়ার একশো। অর্থাৎ ১ এর পেছনে ১০০ টি ০ থাকবে।
ব্যাপারটা এরকম - 10,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000
২. গুগল আপনাকে সঠিক তথ্যটি খুঁজে বের করতে সাহায্য করলেও গুগল (Google) শব্দটি নিজেই একটি ভুল শব্দ ৷ দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজ এবং সের্গেই ব্রিন তো বাইনারী কোড সম্বলিত googol ই রাখতে চেয়েছিলেন ৷ সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণের ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর গুগল ডট কম নামে একটি ডোমেইন নিবন্ধন করেন। তাঁরা যে ডোমেইনটি নিবন্ধন করতে চেয়েছিলেন সেটি না হয়ে ভুলবশত নিবন্ধিত হয় Google নামে। এ নিয়ে অবশ্য তখন তাঁরা খুবই মনোকষ্টে ভোগেন। পরবর্তীতে ভুল নাম নিয়েই এগিয়ে চলেন ৷
দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজ এবং সের্গেই ব্রিন
৩. 'googol' শব্দটির উদ্ভাবক ৯ বছর বয়সী মিলটন সিরোটা ৷ সে গণিতবিদ এডওয়ার্ড ক্যাসনার এর ভাইপো। সেই এটা কে বিখ্যাত করে তোলে তার বইয়ে এর কথা লিখে । তো এই নাম টি পছন্দ করার পেছনে গুগল ফাউন্ডারদের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে তাদের এই সার্চ ইঞ্জিন এর পেছনেও এরকম অনেক মানুষ থাকে।
৪. বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনটিকে আমরা গুগল নামে চিনলেও প্রথমে এর নাম দেয়া হয়েছিল ব্যাকরাব (backRub)৷ কারণ এই ব্যবস্থায় সাইটের ব্যাকলিংকগুলো যাচাই করা হত ঐ সাইট কত গুরুত্বপূর্ন তা নির্ধারণ করার জন্য । পরবর্তীতে ব্যাকরাব পরিবর্তন করে গুগল রাখা হয় ৷
৫. প্রথম দিকে গুগলের কর্মী দুই জন প্রতিষ্ঠাতাই ছিলেন কেবল । সেকারণে তারা লাঞ্চে যাওয়ার সময় হোমপেজে লিখে রেখে যেতেন, 'সের্গেই এবং ল্যারি এখন দুপুরের খাবার খাচ্ছে তাই কোন ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি সমাধান সম্ভব নয় । অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন ।'
৬. এমনকি শুরুতে গুগলের সাইটে কোন সার্চ বাটন ছিল না, যা সার্চ করবেন তা লিখে 'Enter' চাপতে হত । অদ্ভুত মনে হলেও সত্যি গুগল এর ফাউন্ডাররা সার্চ বাটন ডিজাইন করতে জানতেন না ।
৭. গুগলের হোমপেজ প্রথম থেকেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ; এতে খুব বেশি সেকশন/কনটেন্ট দেয়া হয়নি । কারণ তখন সাইটটির প্রতিষ্ঠাতারা এইচটিএমএল (ওয়েব ডিজাইন ল্যাংগুয়েজ) কোডিংয়ে অতটা দক্ষ না থাকায় তারা একে সাধারণভাবে রেখে দেন। পরবর্তীতে গুগল প্রসার লাভ করার পরেও এই পরিচ্ছন্ন সাধারণ চেহারাই রেখে দেয়া হয় ৷
৮. বিশেষ বিশেষ দিবস উপলক্ষে গুগল তাদের লোগো পাল্টে ফেলে । আর এই পাল্টে ফেলা বিশেষ লোগোর নাম 'ডুডল'। ১৯৯৮ সালের ৩০ অগাস্ট প্রথম ডুডল প্রকাশ করা হয় ৷ মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রথম গুগল ডুডল কিন্তু কোনো বিশেষ দিনের জন্য ছিলো না, এটি দেয়া হয়েছিলো একটি 'Out Of Office' মেসেজ হিসেবে । প্রতিষ্ঠাতা দুইজন 'বার্নিং ম্যান ফেস্টিভ্যাল'- উপলক্ষে নেভাদাতে বেড়াতে গেলে ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে "বার্নিং ম্যান ডুডলটি" ডিজাইন করে ওয়েবসাইটে দিয়ে যান এটা বোঝাতে যে; তাঁরা অফিসের বাইরে আছেন, এ সময় কারিগরি কোনো ত্রুটির সমাধান সম্ভব হবে না ৷ তবে বর্তমানে ডুডল ডিজাইন করার জন্য গুগলের একটি বিশেষ টিম রয়েছে , এই টিমের সদস্যদের ডাকা হয় ডুডলার নামে।
১. গুগল (Google) নামটির উৎপত্তি হয়েছে মূলত গাণিতিক শব্দ 'googol' থেকে যেটির মানে হচ্ছে টেন টু দি পাওয়ার একশো। অর্থাৎ ১ এর পেছনে ১০০ টি ০ থাকবে।
ব্যাপারটা এরকম - 10,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000
২. গুগল আপনাকে সঠিক তথ্যটি খুঁজে বের করতে সাহায্য করলেও গুগল (Google) শব্দটি নিজেই একটি ভুল শব্দ ৷ দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজ এবং সের্গেই ব্রিন তো বাইনারী কোড সম্বলিত googol ই রাখতে চেয়েছিলেন ৷ সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণের ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর গুগল ডট কম নামে একটি ডোমেইন নিবন্ধন করেন। তাঁরা যে ডোমেইনটি নিবন্ধন করতে চেয়েছিলেন সেটি না হয়ে ভুলবশত নিবন্ধিত হয় Google নামে। এ নিয়ে অবশ্য তখন তাঁরা খুবই মনোকষ্টে ভোগেন। পরবর্তীতে ভুল নাম নিয়েই এগিয়ে চলেন ৷
দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজ এবং সের্গেই ব্রিন
৩. 'googol' শব্দটির উদ্ভাবক ৯ বছর বয়সী মিলটন সিরোটা ৷ সে গণিতবিদ এডওয়ার্ড ক্যাসনার এর ভাইপো। সেই এটা কে বিখ্যাত করে তোলে তার বইয়ে এর কথা লিখে । তো এই নাম টি পছন্দ করার পেছনে গুগল ফাউন্ডারদের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে তাদের এই সার্চ ইঞ্জিন এর পেছনেও এরকম অনেক মানুষ থাকে।
৪. বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনটিকে আমরা গুগল নামে চিনলেও প্রথমে এর নাম দেয়া হয়েছিল ব্যাকরাব (backRub)৷ কারণ এই ব্যবস্থায় সাইটের ব্যাকলিংকগুলো যাচাই করা হত ঐ সাইট কত গুরুত্বপূর্ন তা নির্ধারণ করার জন্য । পরবর্তীতে ব্যাকরাব পরিবর্তন করে গুগল রাখা হয় ৷
৫. প্রথম দিকে গুগলের কর্মী দুই জন প্রতিষ্ঠাতাই ছিলেন কেবল । সেকারণে তারা লাঞ্চে যাওয়ার সময় হোমপেজে লিখে রেখে যেতেন, 'সের্গেই এবং ল্যারি এখন দুপুরের খাবার খাচ্ছে তাই কোন ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি সমাধান সম্ভব নয় । অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন ।'
৬. এমনকি শুরুতে গুগলের সাইটে কোন সার্চ বাটন ছিল না, যা সার্চ করবেন তা লিখে 'Enter' চাপতে হত । অদ্ভুত মনে হলেও সত্যি গুগল এর ফাউন্ডাররা সার্চ বাটন ডিজাইন করতে জানতেন না ।
৭. গুগলের হোমপেজ প্রথম থেকেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ; এতে খুব বেশি সেকশন/কনটেন্ট দেয়া হয়নি । কারণ তখন সাইটটির প্রতিষ্ঠাতারা এইচটিএমএল (ওয়েব ডিজাইন ল্যাংগুয়েজ) কোডিংয়ে অতটা দক্ষ না থাকায় তারা একে সাধারণভাবে রেখে দেন। পরবর্তীতে গুগল প্রসার লাভ করার পরেও এই পরিচ্ছন্ন সাধারণ চেহারাই রেখে দেয়া হয় ৷
৮. বিশেষ বিশেষ দিবস উপলক্ষে গুগল তাদের লোগো পাল্টে ফেলে । আর এই পাল্টে ফেলা বিশেষ লোগোর নাম 'ডুডল'। ১৯৯৮ সালের ৩০ অগাস্ট প্রথম ডুডল প্রকাশ করা হয় ৷ মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রথম গুগল ডুডল কিন্তু কোনো বিশেষ দিনের জন্য ছিলো না, এটি দেয়া হয়েছিলো একটি 'Out Of Office' মেসেজ হিসেবে । প্রতিষ্ঠাতা দুইজন 'বার্নিং ম্যান ফেস্টিভ্যাল'- উপলক্ষে নেভাদাতে বেড়াতে গেলে ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে "বার্নিং ম্যান ডুডলটি" ডিজাইন করে ওয়েবসাইটে দিয়ে যান এটা বোঝাতে যে; তাঁরা অফিসের বাইরে আছেন, এ সময় কারিগরি কোনো ত্রুটির সমাধান সম্ভব হবে না ৷ তবে বর্তমানে ডুডল ডিজাইন করার জন্য গুগলের একটি বিশেষ টিম রয়েছে , এই টিমের সদস্যদের ডাকা হয় ডুডলার নামে।