ব্র্যান্ড বলতেই আমাদের মাথায় প্রথমেই যে ধারণা আসে তা হল 'ভালো মানের পণ্য'। ভালো মানের পণ্য বা সেবা পেতেই ভোক্তারা প্রতিনিয়ত ছুটছে নামীদামী ব্র্যান্ডের পেছনে। আর ভোক্তাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হচ্ছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। একে অপরের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে বাড়িয়ে চলেছে বিনিয়োগ। বাড়াচ্ছে পণ্যের গুণগত মান। শীর্ষে থাকা এই ব্র্যান্ডগুলোকে আমরা এক নামেই চিনি। কিন্তু মজার ব্যাপার হল বিশ্বের এই খ্যাতিসম্পন্ন ব্র্যান্ডগুলোর পেছনে রয়েছে এমন কিছু গল্প যা আপনাকে সত্যিই অবাক করবে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক ১১টি ব্র্যান্ড সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।
ভেগাসে একটি উইকেন্ড – ই খুলে দিয়েছিল ফেডএক্স এর ভাগ্য :
দেশের বাইরে পণ্য প্রেরণ করতে গেলে ফেডএক্স এর কথাই প্রথমে মনে আসে। ফেডএক্স হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ওভার-নাইট ডেলিভারি কোম্পানি যা কিনা প্রতিবছর ২২০টি দেশে ১.২ বিলিয়নেরও বেশি প্যাকেজ কুরিয়ার করে থাকে। কিন্তু এর শুরুটা মোটেও এরকম ছিল না। আশির দশকের প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠার কিছু বছর পরেই খেই হারিয়ে ডুবতে বসেছিল এই কোম্পানি। বেশিদিন আগের কথা নয় যখন প্রতিমাসেই লোকসানের মাত্রা ছিল এক মিলিয়ন ডলার। মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল বিনিয়োগকারীরা। প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখাই প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। ফান্ডে ছিল মাত্র পাঁচ হাজার ডলার। প্রতিষ্ঠাতা ফ্রেড স্মিথ এই পাঁচ হাজার ডলার নিয়েই ছুট দিলেন লাস ভেগাসে। কোম্পানির নিঃশেষিত অর্থ দিয়েই ঝুঁকি নিলেন ব্ল্যাকজ্যাক বা টুয়েন্টি ওয়ান খেলার এবং জিতে গেলেন ২৭০০০ ডলার। পায়ের তলায় খুঁজে পেলেন মাটি। ভরাডুবির হাত থেকে রক্ষা পেল ফেডএক্স। এর পরের কাহিনী আমাদের সবারই জানা। ভেগাসের ওই দিনটিকে ফেডএক্স এর জন্য লাকি ট্রিপ বলা হয়।
ফ্রেডরিক ওয়ালেস স্মিথ
এনযো ফেরারির উপহাসের কারণেই ল্যাম্বরগিনি স্পোর্টস কারের গতি দেখতে পাচ্ছে সারা পৃথিবী :
অটোমোবিলি ল্যাম্বরগিনি এসপিএ একটি ইতালীয় বিলাসবহুল স্পোর্টসকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। মূলত এটি ছিল একটি ট্রাক্টর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। আর পাঁচটা মধ্যবয়স্ক লোকের মত প্রতিষ্ঠাতা ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনিরও ঝোঁক ছিল অটোমোবাইল, বিশেষ করে ফেরারির প্রতি। একদিন ফেরারি খারাপ হয়ে যাওয়ায় তিনি লক্ষ্য করলেন গাড়িটির ক্লাচ ভেঙে গেছে এবং যে ক্লাচ ব্যবহার করা হয়েছে তা ট্রাক্টরে ব্যবহৃত সাধারণ ক্লাচ। তিনি এনযো ফেরারির নিকট অভিযোগ করলেন এবং ভাল প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিলেন। কিন্তু এনযো একজন ট্রাক্টর উৎপাদকের পরামর্শ নিতে তো চাইলেনই না বরং তিরস্কার করলেন এই বলে যে একজন ট্রাক্টর উৎপাদনকারী রেসিং কার সম্পর্কে কিছুই জানেন না। জেদ চেপে বসে ল্যাম্বরগিনির মাথায়। মাত্র চার মাসের মধ্যেই তিনি উন্মোচন করেন ল্যাম্বরগিনি ৩৫০ জিটিভি। বর্তমানে এটিই হচ্ছে বিশ্বসেরা স্পোর্টস কার ব্র্যান্ড।
এনযো ফেরারি
ভেগাসে একটি উইকেন্ড – ই খুলে দিয়েছিল ফেডএক্স এর ভাগ্য :
দেশের বাইরে পণ্য প্রেরণ করতে গেলে ফেডএক্স এর কথাই প্রথমে মনে আসে। ফেডএক্স হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ওভার-নাইট ডেলিভারি কোম্পানি যা কিনা প্রতিবছর ২২০টি দেশে ১.২ বিলিয়নেরও বেশি প্যাকেজ কুরিয়ার করে থাকে। কিন্তু এর শুরুটা মোটেও এরকম ছিল না। আশির দশকের প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠার কিছু বছর পরেই খেই হারিয়ে ডুবতে বসেছিল এই কোম্পানি। বেশিদিন আগের কথা নয় যখন প্রতিমাসেই লোকসানের মাত্রা ছিল এক মিলিয়ন ডলার। মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল বিনিয়োগকারীরা। প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখাই প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। ফান্ডে ছিল মাত্র পাঁচ হাজার ডলার। প্রতিষ্ঠাতা ফ্রেড স্মিথ এই পাঁচ হাজার ডলার নিয়েই ছুট দিলেন লাস ভেগাসে। কোম্পানির নিঃশেষিত অর্থ দিয়েই ঝুঁকি নিলেন ব্ল্যাকজ্যাক বা টুয়েন্টি ওয়ান খেলার এবং জিতে গেলেন ২৭০০০ ডলার। পায়ের তলায় খুঁজে পেলেন মাটি। ভরাডুবির হাত থেকে রক্ষা পেল ফেডএক্স। এর পরের কাহিনী আমাদের সবারই জানা। ভেগাসের ওই দিনটিকে ফেডএক্স এর জন্য লাকি ট্রিপ বলা হয়।
ফ্রেডরিক ওয়ালেস স্মিথ
এনযো ফেরারির উপহাসের কারণেই ল্যাম্বরগিনি স্পোর্টস কারের গতি দেখতে পাচ্ছে সারা পৃথিবী :
অটোমোবিলি ল্যাম্বরগিনি এসপিএ একটি ইতালীয় বিলাসবহুল স্পোর্টসকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। মূলত এটি ছিল একটি ট্রাক্টর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। আর পাঁচটা মধ্যবয়স্ক লোকের মত প্রতিষ্ঠাতা ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনিরও ঝোঁক ছিল অটোমোবাইল, বিশেষ করে ফেরারির প্রতি। একদিন ফেরারি খারাপ হয়ে যাওয়ায় তিনি লক্ষ্য করলেন গাড়িটির ক্লাচ ভেঙে গেছে এবং যে ক্লাচ ব্যবহার করা হয়েছে তা ট্রাক্টরে ব্যবহৃত সাধারণ ক্লাচ। তিনি এনযো ফেরারির নিকট অভিযোগ করলেন এবং ভাল প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিলেন। কিন্তু এনযো একজন ট্রাক্টর উৎপাদকের পরামর্শ নিতে তো চাইলেনই না বরং তিরস্কার করলেন এই বলে যে একজন ট্রাক্টর উৎপাদনকারী রেসিং কার সম্পর্কে কিছুই জানেন না। জেদ চেপে বসে ল্যাম্বরগিনির মাথায়। মাত্র চার মাসের মধ্যেই তিনি উন্মোচন করেন ল্যাম্বরগিনি ৩৫০ জিটিভি। বর্তমানে এটিই হচ্ছে বিশ্বসেরা স্পোর্টস কার ব্র্যান্ড।
এনযো ফেরারি