দক্ষিণ কোরিয়া ৬৫ মিনিটের ভুলটার জন্য কপাল চাপড়াতে পারে। বিশ্বকাপে এশিয়ার সফল দেশটি সুইডেনকে পেনাল্টি উপহার না দিলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারতো। অন্যরকম বলতে, হারের স্বাদ নিতে হতো না স্ক্যান্ডিনেভিয়ান 'জায়ান্ট কিলার' সুইডেনের কাছে। সোমবার নভোগরদে 'এফ' গ্রুপের এই ম্যাচে ৬৬ মিনিটে গ্রান্ডকুইভিস্টের নেওয়া পেনাল্টি থেকে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সুইডেন।
ম্যাচটি অবশ্য এক তরফা বলা যেতে পারে। মাত্র দুটি আক্রমণ করতে পেরেছে দক্ষিণ কোরিয়া; তাও গোলের লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। অন্যদিকে সুইডেন নিয়েছে নয়টি শট। এরমধ্যে চারটি গোলমুখে দারুণ ভীতির সঞ্চার করে। যদিও গোল হয়নি।
তবে আক্রমণ তুলতে না পারলেও দক্ষিণ কোরিয়া বলের দখলে বেশ সচল ছিল। ম্যাচে তারা নিজেদের পায়ে বল রাখে ৪৪ শতাংশ। সফল পাসিংয়েও সুইডেনের প্রায় কাছাকাছি দ্য তাইগুক ওয়ারিয়র্স। কিন্তু আক্রমণভাগের দুর্বলতায় তারা প্রতিপক্ষের গোলে বল পাঠাতে ব্যর্থ হয়।
ম্যাচের ২০ মিনিটে সুইডেন গোল করার সহজ এক সুযোগ পায়। সামনে ছিলেন শুধু গোলরক্ষক। দক্ষিণ কোরিয়া ডিফেন্ডার বলটি সাইড লাইন থেকে নিরাপদ করতে পারেননি। বল ধরে শট নেয় সুইডেন। কিন্তু গোল করতে পারেনি। ২৯ মিনিটে আবার সুইডেন কর্নার থেকে গোল করার ভালো এক সুযোগ পায়। কিন্তু সেটিও লক্ষ্যে থাকেনি। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দারুণ এক ক্রস থেকে গোল করার সুযোগ পায় সুইডেন। কিন্তু ব্লু ইয়োলোদের নেওয়া হেড সামান্যের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
ম্যাচের ৫১ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে। বক্সে ভালো একটি ক্রস দেয় কু'কে। কিন্তু তিনি তা কাজে লাগাতে পারেননি।
এরপর সুইডেন ৫৭ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে এবং ৫৯ মিনিটে বক্সের মধ্যে আবার গোল করার সুযোগ পায়। কিন্তু হতাশায় শেষ হয় তাদের আক্রমণ। অবশেষে ৬৬ মিনিটে তারা পেনাল্টি থেকে কাঙ্খিত গোলের দেখা পান।
বাকি সময়েও আক্রমণ করে গেছে সুইডেন। ম্যাচের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করার শেষ সুযোগটি পায় সুইডেন। কিন্তু ব্যাক পোস্ট দিয়ে বল চলে যায় বাইরে। ক্রস ধরে আর ব্যবধান বাড়ানো হয়নি সুইডিশদের।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতে 'এফ' গ্রুপে একধাপ এগিয়ে গেল সুইডেন। প্রথম ম্যাচে জার্মানির হার এবং সুইডেনের জয় গ্রুপটাকে জমিয়ে তুলেছে।গ্রুপের বাকি ম্যাচগুলো জমজমাট হবে বলেই মনে হচ্ছে।
