দাওয়াত ও তাবলীগে নারীদের ভূমিকা
যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্ম ও সভ্যতায় নারী জাতি নানাভাবে উপেক্ষিত, নিগৃহীত ও লাঞ্ছিত হয়ে এসেছে। পুরুষরা নারীকে বাদ দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ও বাস্তবায়ন করেছে। চাই সমাজে শান্তি আসুক বা না আসুক। সতেরশ শতাব্দীতে রোম শহরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যে বৈঠকের নাম ছিল Council of the wise 'জ্ঞানীদের অধিবেশন'। উক্ত অধিবেশনে জ্ঞানীরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, Women has no soul 'নারীদের আত্মা নেই'। নারীদের ব্যাপারে যখন রোমের জ্ঞানীদের এই ধারণা, তখন বোঝাই যায় সাধারণ মানুষ তাদের সাথে কি আচরণ করত! ইহুদী ধর্মে নারীকে 'পুরুষের প্রতারক' বলা হয়েছে। ইউরোপীয়রা নারীকে 'শয়তানের অঙ্গ' মনে করত। গ্রীক সমাজের প্রাণপুরুষ বিশ্বখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিসও মনে করতেন- Women is the greatest source of chaose and disruption in the world 'পৃথিবীতে বিশৃংখলা ও বিভেদের সর্ববৃহৎ উৎস হ'ল নারী'।
কিন্তু ইসলাম সম্পূর্ণ এর বিপরীত। ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যা কিনা পুরুষের সাথে সব কাজেই নারীকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। আল্লাহ বলেন,وَالْمُؤْمِنُوْنَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ يَأْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ 'মুমিন ও মুমিনা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎকাজের আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে বাধা দেয়' (তওবা ৭১)। ওমর (রাঃ) বলেন, كُنَّا فِى الْجَاهِلِيَّةِ لاَ نَعُدُّ النِّسَاءَ شَيْئًا، فَلَمَّا جَاءَ الْإِسْلاَمُ وَذَكَرَهُنَّ اللهُ، رَأَيْنَا لَهُنَّ بِذَلِكَ عَلَيْنَا حَقًّا- 'আমরা জাহেলী যুগে নারীদেরকে কোন হিসাবেই ধরতাম না। অতঃপর যখন ইসলাম আসল এবং (কুরআনে) আল্লাহ তাদের (মর্যাদার) কথা উল্লেখ করলেন, তাতে আমরা দেখলাম যে, আমাদের উপর তাদের হক আছে'। (বুখারী হা/৫৮৪৩।) শরী'আতের সব বিধানেই নারী শামিল রয়েছে। দাওয়াত ও তাবলীগের ক্ষেত্রেও নারীরা পুরুষদের থেকে বিচ্ছিনণ নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে এক্ষেত্রে নারীদের উল্লেখযোগ্য পদচারণা ছিল। নিম্নে এ প্রসঙ্গে আলোচনা উপস্থাপন করা হ'ল।
যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্ম ও সভ্যতায় নারী জাতি নানাভাবে উপেক্ষিত, নিগৃহীত ও লাঞ্ছিত হয়ে এসেছে। পুরুষরা নারীকে বাদ দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ও বাস্তবায়ন করেছে। চাই সমাজে শান্তি আসুক বা না আসুক। সতেরশ শতাব্দীতে রোম শহরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যে বৈঠকের নাম ছিল Council of the wise 'জ্ঞানীদের অধিবেশন'। উক্ত অধিবেশনে জ্ঞানীরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, Women has no soul 'নারীদের আত্মা নেই'। নারীদের ব্যাপারে যখন রোমের জ্ঞানীদের এই ধারণা, তখন বোঝাই যায় সাধারণ মানুষ তাদের সাথে কি আচরণ করত! ইহুদী ধর্মে নারীকে 'পুরুষের প্রতারক' বলা হয়েছে। ইউরোপীয়রা নারীকে 'শয়তানের অঙ্গ' মনে করত। গ্রীক সমাজের প্রাণপুরুষ বিশ্বখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিসও মনে করতেন- Women is the greatest source of chaose and disruption in the world 'পৃথিবীতে বিশৃংখলা ও বিভেদের সর্ববৃহৎ উৎস হ'ল নারী'।
কিন্তু ইসলাম সম্পূর্ণ এর বিপরীত। ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যা কিনা পুরুষের সাথে সব কাজেই নারীকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। আল্লাহ বলেন,وَالْمُؤْمِنُوْنَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ يَأْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ 'মুমিন ও মুমিনা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎকাজের আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজে বাধা দেয়' (তওবা ৭১)। ওমর (রাঃ) বলেন, كُنَّا فِى الْجَاهِلِيَّةِ لاَ نَعُدُّ النِّسَاءَ شَيْئًا، فَلَمَّا جَاءَ الْإِسْلاَمُ وَذَكَرَهُنَّ اللهُ، رَأَيْنَا لَهُنَّ بِذَلِكَ عَلَيْنَا حَقًّا- 'আমরা জাহেলী যুগে নারীদেরকে কোন হিসাবেই ধরতাম না। অতঃপর যখন ইসলাম আসল এবং (কুরআনে) আল্লাহ তাদের (মর্যাদার) কথা উল্লেখ করলেন, তাতে আমরা দেখলাম যে, আমাদের উপর তাদের হক আছে'। (বুখারী হা/৫৮৪৩।) শরী'আতের সব বিধানেই নারী শামিল রয়েছে। দাওয়াত ও তাবলীগের ক্ষেত্রেও নারীরা পুরুষদের থেকে বিচ্ছিনণ নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে এক্ষেত্রে নারীদের উল্লেখযোগ্য পদচারণা ছিল। নিম্নে এ প্রসঙ্গে আলোচনা উপস্থাপন করা হ'ল।