What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রথম চাকরিতে সতর্কতা (1 Viewer)

MECHANIX

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Apr 12, 2018
Threads
695
Messages
11,929
Credits
228,361
Audio speakers
Cake Chocolate
Soccer Ball
Profile Music
Bikini
lWS5NCn.jpg


চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো 'হ্যাঁ' চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি। প্রথম চাকরি পাওয়ার এ অনুভ'তি সত্যি প্রথম প্রেমের ভালো লাগার মতোই। প্রথম প্রথম এই চাকরিটা ভালো লাগবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সাধু সাবধান। কারণ ক্যারিয়ারে প্রথম ধাপ আপনি পার করতে পেরেছেন, এটা খুবই আনন্দের বিষয়। তবে আপনার উপর যে দায়িত্বের বোঝা চেপে বসছে তা কি খেয়াল করেছেন। মনে রাখবেন, এখন মন চাইলে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে চট্টগ্রামের ট্রেনে চেপে বসতে পারবেন না। পারবেন না শাহবাগের আড্ডায় যেতে। প্রথম চাকরিতে ঢুকে জীবনের এমন অনেক কিছুই অস্বাভাবিক লাগবে। তবে সেগুলো মেনে নিয়ে যতটা সম্ভব মুখ বুজে কাজ করে যেতে হবে। কারণ প্রথম চাকরির সারভাইভাল স্ট্র্যাটেজিটাই এমন।

বুঝে চলুন বসকে : বাবা-মায়ের কাছে সন্তানের সাতখুনই মাফ। এতদিন বেকার ছিলেন। বাড়িতে সময় কাটিয়েছেন। নানা দোষ ত্রুটি থাকলেও বাড়ির লোক বা বাবা মার কাছে পার পেয়ে গেছেন। কিন্তু অফিসে গিয়ে আপনার জীবনে 'বস' নামক ব্যাপারটির অনুপ্রবেশ ঘটবে। আপনি যদি ভেবে থাকেন, এই 'বস' বাড়ির লোকের মতোই আপনার ভুলগুলো ক্ষমা করে দিবেন, তাহলে বড় ভুল করবেন। এমনটা যে হয় না, তাও কিন্তু না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমনটা হয়, কিন্তু সেটা ব্যতিক্রম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম চাকরিতে 'বস' এর কাছে লাগাতার বকা খেতে হবে। ডেটলাইনের চাপ আসবে। এটা আমার নতুন চাকরি বা আমাকে একটু অভ্যস্থ হতে দিন স্যার। এসব বলে বসের কাছে পার পাবেন না। আর পার যখন পাবেন না, তখন এসব বলবেনও না। একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, বসও মানুষ। তিনি 'পারফেক্ট' নন। তার জীবনেও নানা রকমের সমস্যা থাকতে পারে। আর সমস্যার কারণে বস যদি জর্জরিত থাকেন, তাহলে সেগুলোর 'এসকেপ রুট' হিসেবে অধস্তনদের ওপর চাপ বাড়তে পারে। তাছাড়া বসের ওপরেও বস থাকেন।

পরিশ্রম বৃথা নয় : নতুন চাকরি, নতুন অফিস, নতুন সহকর্মী। তাই হয়তো আপনার সিনিয়ররা একটু বেশিই খাটিয়ে নিচ্ছে। তা আপনি বুঝতেও পারছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আপনার করার কিছু নেই। মুখ বুঝে কাজ করছেন। কিন্তু কাজ করতে করতে এক সময় ভাবছেন এবার চাকরিটা ছেড়েই দিবেন। কিন্তু এটা ভুল সিদ্ধান্ত। একটা কথা ভাবুন, এটা প্রথম চাকরি। এখানে যে কাজগুলো আপনি করছেন, সেগুলো আগে করেননি। ফলে প্রত্যেকদিন আপনার নতুন-নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। নতুন কাজ শিখছেন। যে কাজগুলো শিখছেন, প্রতিদিন আবার সেগুলোর প্র্যাকটিস হচ্ছে। আপনার স্কিল বাড়ছে। আপনার কাঙিক্ষত ক্যারিয়ার গড়তে হলে এগুলো করতেই হত। সেটা কিছুদিন আগে আর পরে। একটু বেশি পরিশ্রম করে আগে ভাগেই যদি কাজের কাজটা সেরে ফেলতে পারেন তাতে ক্ষতি কি!

ফেসবুক বা টুইটারে বিরতি : বেকার জীবনে ফেসবুক বা টুইটারে অনেক আড্ডা দিয়েছেন কিন্তু আর না। অ্যানড্রয়েড ফোন বা উইন্ডোজ ফোনকেও একটু বিশ্রাম দিন। কারণ এসব ফোনে রয়েছে হাজার রকমের অ্যাপস। সঙ্গে ইন্টারনেট।

গোটা দুনিয়াটাই আপনার হাতে। আর ফেসবুক বা টুইটার অন করা থাকায়, আপনার বন্ধুবান্ধবীদের সঙ্গে সর্বদা কানেকটেড থাকবেন এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু অফিসে ঢুকার সঙ্গে-সঙ্গে নিজেকে বদলে ফেলা বেশ কঠিন। মানুষ অভ্যাসের দাস হলেও এ অভ্যাসকে ত্যাগ করতেই হবে। ধরুন বস আপনাকে নতুন কোনো প্রোজেক্ট বুঝিয়ে দিচ্ছেন, এমন সময় আপনার ইচ্ছে করছে বসের রুমের একটা সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করি। খবরদার এমনটি কোনোভাবেই করতে যাবেন না। প্রয়োজন হলে ঘণ্টাখানেক কাজ করে পাঁচ মিনিটের ব্রেক নিন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top