জানালাতে ছোট ছোট লতানো হাতে লাউএর ডোগা বেড়ে উঠেছে । একটু বড়ো হয়ে জানালা আটকে দিবে। আমার আকাশটাকে আটকে দিবে । ওকে জিজ্ঞেস করলাম এতো অভিমান কেন আমার উপর ? বলে তুমি প্রকৃতি ভালোবাসো , তাই প্রকৃতিতে জড়িয়ে জাপ্টে তোমার মরন ।
অলস চোখে দেখছি সোনালী রোদ লাউয়ের ডোগা গুলোকে ছুয়ে দিচ্ছে । শারিরীক অসুখের মধ্যেই আত্মিক সুখ । খুব ভালো লাগছে , গরম ঘন চায়ের কাপের মধ্যে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকতে । আহা , আরাম আর আরাম ।
দীর্ঘদিন স্বপ্ন দেখি না । স্বস্তিতে আছি । সুখের চেয়ে স্বস্তি ভালো । দুঃস্বপ্নও দেখি না । দুঃস্বপ্ন পড়ি ।
একটা তীব্র রমণীয় নিষিদ্ধ স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে । চুম্বনের আশ্লেষে ডুবিয়ে দিবে , শরীর দিয়ে আত্মার মিলন ঘটাবে । স্বপ্ন দেখার কোন সুইচ নেই । কোন ডিভাইসও নেই । ভাগ্যিস ।
আজকাল শহরে হিসেবী মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে । মানসাংক মতো সারাক্ষন এরা হিসাব কষতে থাকে । হিসাবে কষে কষে এরা শূন্য উড়ার চেষ্টা করে । কে এদের বোঝাবে অংক কষে কখনো শূন্য উড়া যায় না । শূন্যে উড়তে হয় লাউ এর ডোগায় ভর দিয়ে । এক পা লাউ এর ডোগার উপর রেখে জিমন্যাস্টের মতো উড়ে গেলেই সোজা শূন্যে ।
ইদানিং মাঝে মাঝে মৃত্যুচিন্তা হয় । পিঠের উপর গেড়ে বসে থাকে মৃত্যু অসহ্য ব্যথার মতো । গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসে । বয়স গোনে । জন্মদিনের দিন কেকের দিকে তাকিয়ে জিভ চাটে । আমি যদিও ভালো দাবা খেলি মৃত্যুকে দাবা খেলায় স্বাগত জানাই না । বরং ওর হাত মেলাই । ভরসা দেই ওকে। আমার প্রেমিকারা আমাকে না পেলেও মৃত্যু আমাকে ঠিকই পাবে । ওর অপেক্ষা যন্ত্রনার জন্য ওকে সহানূভুতি জানাই । মৃত্যু আমার নাপিতের মতোই আমার কাছে পরিচিত । মৃত্যুর ক্ষুরের নিচে গলা পেতে দিতে আমার ভয় হয় না । বরং আরাম লাগে।
অন্তর্গত রক্তের ভিতরের বিপুল বিস্ময়ের ক্লান্তি আমাকে পেয়ে বসেছে । ব্লাড টেস্ট করতে দিয়েছি ।
ডাক্তার স্ববিস্ময়ে বলেছে , রক্ত-এর ভিতর ক্লান্তি খেলা করতে দেখেনি সে ।
এবার চিন্তা করছি মনটাকেই ল্যাবরেটরীতে পাঠাবো । আমার বয়সী ভাবুক মনটা এতো দ্রুত ছুটতে পারছে না । সুখের কথা ব্লাডটেস্টে ভালোবাসাও ধরা পড়েনি । এই অসুখ থেকে আপাতত আমি মুক্ত ।
আজকাল অনেক অনেক লিখতে ইচ্ছে করে , দুহাত ভরে লিখতে ইচ্ছে করে । কতো কথা জমে আছে। কতো তথ্য আর যোগসুত্র জানানোর আছে । কতো কবিতা আর বিশৃঙ্খল ডায়েরী লেখার আছে । লেখা গুলো জমে জমে হাজার হাজার টন পানির মতো চেপে ধরে । আমি তলিয়ে যাই আর হাজার টনি চাপ আমার উপর বাড়তেই থাকে । দাতব্য সুত্রে মস্তিস্ক দান করে যাচ্ছি মানবজাতিকে আশা করি আমার লেখাগুলো আমার মগজ থেকে বের করে নিবে তারা ।
গতরাতের বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে কিছু হরিণ আর শকুন মারা গেছে । আবহাওয়া দপ্তর হরিণ আর শকুনদের বৃষ্টির সময় বের হতে মানা করে দিয়েছে ।
পাতলা মিহি শিশির পড়ছে লাউ-এর পাতার উপর । কান পাতলে তার শব্দ শোনা যায় ।
হিম হিম রাতে আমার তোমার কথা মনে পড়ে , তোমার নগ্ন নির্জন হাত ছুতে ইচ্ছে করে ।
তুমি যে আমাকে ভাবো , এটা আমি ভাবি ।
তুমি আমার কথা ভাবলেই আমার বুকে কবিতা জমে , বিশৃঙ্খল ডায়েরীর শব্দ গুলো শিশিরের মতো ঝরে পড়ে । তুমি যে আমাকে ভাবো , এটা ভেবে আমি তোমাকে আমার কথা ভাবতে দেখি। এটা আমার প্রিয় অলস দিনের কল্পনা ।
আজকাল একা একা থাকা অভ্যাস হয়ে গেছে । মানুষ সামাজিক প্রাণী সবাই বলে, কেউ বলে না মানুষ ভিড়ের মধ্যে একা থাকার প্রাণী , কেউ বলে না মানুষ নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকার প্রাণী , কেউ বলে না সামাজিকতার ভড়ং ধরতে পেরে আর মানুষের ভন্ডামী দেখে গা গুলিয়ে উঠা মানুষ একটা অসামাজিক প্রাণী ।
তুমি কী একা থাকো ? তোমার জানালায়ও কী লাউএর ডোগা বেরে উঠছে ? তুমি কী আমার প্রিয় বই গুলো পড়ছো ? তুমি কি আমার লোনলীনেসের উপর ব্যান্ড এইড হবে ? আমি তোমাকে খুব সুখী মানুষ হিসাবে ভাবি।ভাবি ভালোবাসা তোমাকে জাপ্টে রাখছে অক্সিজেনের মতো সবসময়। ভাবি তোমার সুখ বেড়ে উঠছে লাউ-এর ডোগার মতো তরতরিয়ে , রাতের অন্ধকারে ।
আমি ? আমি একা শূন্য ভাসি । সুখী আমি নই, হবো না কখনো । দুঃখের মধ্যাকর্ষনহীন শূন্যে ভাসাই আমার নিয়তি ।
সুখী মানুষরা আমাকে একা ফেলে চলে গেছে তাদের আলোক উজ্জল দিনগুলোতে ।
অলস চোখে দেখছি সোনালী রোদ লাউয়ের ডোগা গুলোকে ছুয়ে দিচ্ছে । শারিরীক অসুখের মধ্যেই আত্মিক সুখ । খুব ভালো লাগছে , গরম ঘন চায়ের কাপের মধ্যে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকতে । আহা , আরাম আর আরাম ।
দীর্ঘদিন স্বপ্ন দেখি না । স্বস্তিতে আছি । সুখের চেয়ে স্বস্তি ভালো । দুঃস্বপ্নও দেখি না । দুঃস্বপ্ন পড়ি ।
একটা তীব্র রমণীয় নিষিদ্ধ স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে । চুম্বনের আশ্লেষে ডুবিয়ে দিবে , শরীর দিয়ে আত্মার মিলন ঘটাবে । স্বপ্ন দেখার কোন সুইচ নেই । কোন ডিভাইসও নেই । ভাগ্যিস ।
আজকাল শহরে হিসেবী মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে । মানসাংক মতো সারাক্ষন এরা হিসাব কষতে থাকে । হিসাবে কষে কষে এরা শূন্য উড়ার চেষ্টা করে । কে এদের বোঝাবে অংক কষে কখনো শূন্য উড়া যায় না । শূন্যে উড়তে হয় লাউ এর ডোগায় ভর দিয়ে । এক পা লাউ এর ডোগার উপর রেখে জিমন্যাস্টের মতো উড়ে গেলেই সোজা শূন্যে ।
ইদানিং মাঝে মাঝে মৃত্যুচিন্তা হয় । পিঠের উপর গেড়ে বসে থাকে মৃত্যু অসহ্য ব্যথার মতো । গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসে । বয়স গোনে । জন্মদিনের দিন কেকের দিকে তাকিয়ে জিভ চাটে । আমি যদিও ভালো দাবা খেলি মৃত্যুকে দাবা খেলায় স্বাগত জানাই না । বরং ওর হাত মেলাই । ভরসা দেই ওকে। আমার প্রেমিকারা আমাকে না পেলেও মৃত্যু আমাকে ঠিকই পাবে । ওর অপেক্ষা যন্ত্রনার জন্য ওকে সহানূভুতি জানাই । মৃত্যু আমার নাপিতের মতোই আমার কাছে পরিচিত । মৃত্যুর ক্ষুরের নিচে গলা পেতে দিতে আমার ভয় হয় না । বরং আরাম লাগে।
অন্তর্গত রক্তের ভিতরের বিপুল বিস্ময়ের ক্লান্তি আমাকে পেয়ে বসেছে । ব্লাড টেস্ট করতে দিয়েছি ।
ডাক্তার স্ববিস্ময়ে বলেছে , রক্ত-এর ভিতর ক্লান্তি খেলা করতে দেখেনি সে ।
এবার চিন্তা করছি মনটাকেই ল্যাবরেটরীতে পাঠাবো । আমার বয়সী ভাবুক মনটা এতো দ্রুত ছুটতে পারছে না । সুখের কথা ব্লাডটেস্টে ভালোবাসাও ধরা পড়েনি । এই অসুখ থেকে আপাতত আমি মুক্ত ।
আজকাল অনেক অনেক লিখতে ইচ্ছে করে , দুহাত ভরে লিখতে ইচ্ছে করে । কতো কথা জমে আছে। কতো তথ্য আর যোগসুত্র জানানোর আছে । কতো কবিতা আর বিশৃঙ্খল ডায়েরী লেখার আছে । লেখা গুলো জমে জমে হাজার হাজার টন পানির মতো চেপে ধরে । আমি তলিয়ে যাই আর হাজার টনি চাপ আমার উপর বাড়তেই থাকে । দাতব্য সুত্রে মস্তিস্ক দান করে যাচ্ছি মানবজাতিকে আশা করি আমার লেখাগুলো আমার মগজ থেকে বের করে নিবে তারা ।
গতরাতের বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে কিছু হরিণ আর শকুন মারা গেছে । আবহাওয়া দপ্তর হরিণ আর শকুনদের বৃষ্টির সময় বের হতে মানা করে দিয়েছে ।
পাতলা মিহি শিশির পড়ছে লাউ-এর পাতার উপর । কান পাতলে তার শব্দ শোনা যায় ।
হিম হিম রাতে আমার তোমার কথা মনে পড়ে , তোমার নগ্ন নির্জন হাত ছুতে ইচ্ছে করে ।
তুমি যে আমাকে ভাবো , এটা আমি ভাবি ।
তুমি আমার কথা ভাবলেই আমার বুকে কবিতা জমে , বিশৃঙ্খল ডায়েরীর শব্দ গুলো শিশিরের মতো ঝরে পড়ে । তুমি যে আমাকে ভাবো , এটা ভেবে আমি তোমাকে আমার কথা ভাবতে দেখি। এটা আমার প্রিয় অলস দিনের কল্পনা ।
আজকাল একা একা থাকা অভ্যাস হয়ে গেছে । মানুষ সামাজিক প্রাণী সবাই বলে, কেউ বলে না মানুষ ভিড়ের মধ্যে একা থাকার প্রাণী , কেউ বলে না মানুষ নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকার প্রাণী , কেউ বলে না সামাজিকতার ভড়ং ধরতে পেরে আর মানুষের ভন্ডামী দেখে গা গুলিয়ে উঠা মানুষ একটা অসামাজিক প্রাণী ।
তুমি কী একা থাকো ? তোমার জানালায়ও কী লাউএর ডোগা বেরে উঠছে ? তুমি কী আমার প্রিয় বই গুলো পড়ছো ? তুমি কি আমার লোনলীনেসের উপর ব্যান্ড এইড হবে ? আমি তোমাকে খুব সুখী মানুষ হিসাবে ভাবি।ভাবি ভালোবাসা তোমাকে জাপ্টে রাখছে অক্সিজেনের মতো সবসময়। ভাবি তোমার সুখ বেড়ে উঠছে লাউ-এর ডোগার মতো তরতরিয়ে , রাতের অন্ধকারে ।
আমি ? আমি একা শূন্য ভাসি । সুখী আমি নই, হবো না কখনো । দুঃখের মধ্যাকর্ষনহীন শূন্যে ভাসাই আমার নিয়তি ।
সুখী মানুষরা আমাকে একা ফেলে চলে গেছে তাদের আলোক উজ্জল দিনগুলোতে ।