কর্মক্ষেত্রে ক্রাশ হওয়া স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। আপনি নিজের কর্মক্ষেত্রে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টারও বেশি সময় ব্যয় করেছেন। এসময়টুকুতে নিজের অনুভূতিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং তাকে উপেক্ষা করা কঠিন হতে পারে কারণ আপনার তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এমন অবস্থায় কি করবেন? আজকে আমরা আপনাদের জানাবো অফিস ক্রাশ মোকাবেলা বা অফিস সহকর্মীর প্রতি দূর্বলতা এড়ানোর জন্য ৭টি উপায় সম্পর্কে!
অফিস সহকর্মীর প্রতি দূর্বলতা এড়ানোর উপায় !
সিংগেল কিনা জেনে নিন
সবার আগে জেনে নিন আপনার অফিস ক্রাশ সিংগেল কিনা। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার আশীর্বাদে এটা জানা খুবই সহজ। তবে সবসময় সোশ্যাল মিডিয়া আপনাকে এক্ষেত্রে সাহায্য নাও করতে পারে। তখন অন্য কোন উপায়ে জানার চেষ্টা করুন। যদি তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন আপনাকে দূরে থাকতে হবে। তিনি যদি অবিবাহিত হন তাহলে আপনি আপনার ভাগ্য পরীক্ষা করতে পারেন। কিন্তু কারো সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে থাকলে তার থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
অনুভূতিগুলোকে প্রশ্রয় না দেয়া
কাউকে পছন্দ করা পুরোপুরি ঠিক আছে, বিশেষত ওয়ার্কস্পেসের মতো একটি সেটআপের কারণে আপনি প্রতিদিন ভিত্তিতে একে অপরের সাথে দেখা করছেন এবং একসাথে দীর্ঘ সময় ব্যয় করছেন। তবে কাউকে পছন্দ করার অর্থ এই নয় যে আপনার অনুভূতিগুলোকে প্রশ্রয় দিবেন। আপনি কাওকে পছন্দ করলে তাকেও আপনাকে পছন্দ করতে হবে তা কিন্তু নয়। তাই যতটুকু পারেন নিজের অনুভূতিগুলোকে প্রশ্রয় দিবেন না।
বন্ধুত্ব করুন
আপনার অফিস ক্রাশের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারেন। অনেক সময় বন্ধুত্ব করার ফলে অনুভূতিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করা করা সহজ হতে পারে। আপনি চাইলে বন্ধুত্বের সম্পর্কের মাধ্যমে নিজের অনুভূতিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন।
সহকর্মিদের শেয়ার করবেন না
আপনার সহকর্মিদের সাথে আপনার অফিস ক্রাশ সম্পর্কে কিছুই শেয়ার করবেন না। এতে করে পুরো অফিসে আপনি হাসির পাত্র হতে পারেন। তাই সহকর্মিদের কাছে এইসব ব্যাপারগুলো লুকিয়ে রাখাই শ্রেয়।
একা না গিয়ে গ্রুপে ঘুরতে যান
আপনার অফিস ক্রাশের সাথে একা কোথাও ঘুরতে গেলে হয়তো আপনি আপনার অনুভূতিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন না। তাই একা না যাওয়াই ভালো। সবসময় গ্রুপের সাথে ঘুরতে যাবেন এতে করে আপনার অনুভূতি বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হবে।
অপরাধবোধ থেকে দূরে থাকুন
আপনার অফিসে কলিগের প্রতি আপনি কিছু ফিল করছেন তা নিয়ে যদি আপনি অপরাধবোধ করে থাকেন তাহলে তা অবশ্যই দূর করুন। একসাথে কাজ করতে গিয়ে কাওকে পছন্দ হতেই পারে। এতে অপরাধবোধ করার কিছুই নেই।
কফি কিংবা লাঞ্চ ইগনোর করুন
অফিস ক্রাশের সাথে একা কোথাও লাঞ্চ কিংবা কফি খেতে যাবেন না। যদি কোথাও যেতে হয় তাহলে অবশ্যই গ্রুপের সাথে যাবেন। এতে করে অনুভুতিগুলো কন্ট্রোল করা সম্ভব হবে।
অফিসে কোনো সহকর্মীকে ভালো লাগতেই পারে। এতে বিব্রতবোধ করার কিছুই নেই। কেবলমাত্র কিছু উপায় অবলম্বন করে আপনি এই সমস্যার মোকাবেলা করতে পারেন। তো বিব্রতবোধ না করে কেবলমাত্র ৭টি উপায় অবলম্বন করে আপনার অনুভূতিগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করুন এবং অফিস ক্রাশ মোকাবেলা করুন।