মিয়া খলিফা আজ অবধি খ্যতনামা পর্ন তারকাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যদিও অনেকেরই ধারণা, মুসলিম পরিবার থেকে তিনি পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেছেন। আর এ কারণেই সে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত ! মিয়া খলিফা সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য নিয়ে আজকের এই পোস্ট। চলুন জেনে নেয়া যাক…
- আমেরিকান এই পর্নতারকা প্রকৃতপক্ষে একজন লেবানিজ। ১৯৯৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি লেবাননের বেইরুটে জন্মগ্রহণ করলেও ২০০০ সালে স্বপরিবারে আমেরিকার ম্যারিল্যান্ডে চলে আসেন।
- বিশ্বাস করুন আর না করুন, মিয়া খলিফা খুবই উচ্চশিক্ষিত একজন নারী। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস থেকে ব্যাচেলর ইন আর্ট ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
- মিয়া খলিফা Mia Callista মিয়া ক্যালিস্টা নামে পরিচিত।
- মিয়া খলিফাকে যারা চেনে, কমবেশি সবাই তার বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। ২০১১ সালে আঠারো বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেন এক আমেরিকান নাগরিককে !
- পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের পূর্বে তিনি মায়ামী শহরের 'Whataburger' নামের একটি বার্গার জয়েন্টে কাজ করেছেন। এবং এই বার্গার জয়েন্টেই এক কাস্টোমারের প্রস্তাবে তিনি পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে যোগদান করেন।
- ২০১৪ এর ডিসেম্বরের ২৮ তারিখে মিয়া খলিফা পর্নহাবের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সমালোচিত পর্নস্টার হিসেবে ঘোষিত হয়েছেন।
- মুসলিম পরিবারে জন্মানোর পরও পরবর্তীতে খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহন করে মিয়া খলিফা, যা তার পরিবারের সাথে তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার অন্যতম কারণ।
- মিয়া খলিফার আইডল হচ্ছেন কিম কার্দেশিয়ান (Kim Kardishain) এবং সোফিয়া ভারগেরা (Sofia Vergara)। যা তার ভ্রু দেখেই ধারণা করা যায় !
- ব্যাংব্রোস এর সাথে তার হিজাব পরিহিত পর্নোভিডিও বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়। এই ভিডিওটির কারণে সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে তাকে জীবন নাশের হুমকিও দেয়া হয়েছে। এমনকি তার পরিবারকেও বেশ কয়েকবার হত্যার জন্য লক্ষ্য করা হয়েছে।
- মিয়া খলিফা একটি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।
- মিয়া খলিফার দুটি ট্যাটুও রয়েছে। একটি লেবানিজ জাতীয় সঙ্গীতের এবং অপরটি লবানিজ সৈন্যদের প্রতীক। সে লেবানিজ সৈন্যদের দৃঢ় সমর্থক।
- মিয়া খলিফা রাগবি ফ্যান। আরো জানা গেছে তিনি Seminoles -এর ফ্যান। এমনকি তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও অন্য খেলোয়াড়দের Seminoles -এ যোগদান করাতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
(বিঃদ্রঃ পর্ন মানসিক অসুস্থতার কারণ। পর্নোগ্রাফী মানবমস্তিস্কের বিকৃতি ঘটায়। পর্ন দেখা থেকে বিরত থাকুন। অবসর সময়কে ভালো কোনো কাজে লাগান। প্রিয়জনদের সময় দিন)