What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Kaptan Jacksparoow

Community Team
Elite Leader
Joined
Apr 6, 2019
Threads
328
Messages
5,981
Credits
45,360
T-Shirt
Profile Music
Recipe sushi
Rocket
Euro Banknote
Butterfly
সংগৃহিত চটি। লেখকের নাম জানা নেই। আশাকরি ভালো লাগবে।
383_10004989a48540122dd6.jpg


প্রধান শিক্ষকের কামরায় বসে নিজের অতীত-বর্তমানের তুলনামূলক হিসাব কষছিলেন আফসার সাহেব। কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে বলে একটা কথা আছে, সম্ভবত আফসার সাহেব তার জলজ্ব্যান্ত উদাহরন। পড়ালেখা করানোর সামর্থ্য বাবার ছিলনা, আখের মিলে কাজ করে সাতজনের সংসার চালানো চাট্টিখানি কথা নয়। বড় দুই ভাইয়ের পড়ালেখা হয়নি সংসারে বাড়তি অর্থ যোগান দিতে গিয়ে। ছোট ভাইকে পড়ানোর ব্যাপারে ভাইদের আগ্রহের কারণেই তিনি আজ দেশের অন্যতম নাম ডাক ওয়ালা স্কুলের হেডমাস্টার হতে পেরেছেন। নাম-ধাম পয়সা সবই করতে পেরেছেন অতি অল্প সময়ে। সংসারে প্রতিদানও ভালই দিয়েছেন। বোনদের সুপাত্রস্থ করেছেনে, ভাইদের যথাসম্ভব আর্থিক সহায়তা করেছেন এবং করছেন। জীবনে অতৃপ্তি বলতে বৈবাহিক জীবনের কথাই শুধু মাথায় আসে। আর এসব চিন্তা করলেই শায়লার মুখটা ভেসে উঠে চোখের সামনে। প্রাক্তন হেডমাস্টার আমজাদ আলীর বড় মেয়ে শায়লা। কাজ হাসিলে পটু আফসার প্রথম থেকেই দীর্ঘদিনের হেডমাস্টার আমজাদকে তোষামোদ করে চলতেন। হয়তো তাই মাত্র দশ বছরেই সর্বোচ্চ পদটা তিনি পেয়ে গেছেন। যদিও বাইরে থেকে সবাই হিসেবটা খুব সোজা মনে করে, আসলে আফসার সাহেবের কাছে অভিজ্ঞতাটা অনেক বেশি তিক্ত। মাত্র পচিশ বছর বয়সে স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন, তখন জীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাকে। ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে খুব দ্রুত সুনাম করেছেন, পয়সাওয়ালাদের স্কুলে প্রাইভেট জুটতেও দেরি হয়নি তার। কলেজ জীবনের প্রেমিকা নীলাকে নিয়ে ঘর বাঁধতে সেই রোজগারই যথেষ্ট ছিল। তবু তার পোষাচ্ছিলনা। বাবা অসুস্থ, বোনদের বিয়ে দিতে হবে, এতদিন ভাইয়েরা অনেক করেছে। এখন এত ভাল জায়গায় চাকরি পাওয়ার পরেও যদি বাবার কোন কাজে না লাগে তবে এর চে নিচু স্বার্থপরতা হয়না। তখন তো আর আজকালের মত গলাকাটা ফিস পাওয়া যেতনা, তাই দুই সংসার একসাথে চালানো অলীক স্বপ্নই ছিল। বারবার চেষ্টা করেও আফসারের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে ইঞ্জিনিয়ার পাত্রের সাথে বিয়ের পিড়িঁতে বসে পড়ল নীলা। এত বছরের ভালবাসা, স্বপ্ন, রুম ডেটিংয়ে নিজের উদ্দাম শীৎকার কিভাবে ভুলে গেল নীলা? মাঝে মাঝে এখনো গভীর রাতে ঘুম ভেঙে গেলে নীলার দেহায়বব কল্পনা করেন তিনি। নীলার বুকের মাপ, নিশ্বাসের গন্ধ, পাজামার মাপ সবই যেন আজো মস্তিষ্কে ঢেউ খেলে যায়। নীলুর বাম নিতম্বের দুই তিল, স্ত্রীঅঙ্গের জন্মদাগ – সবই যেন আজো তরতাজা, দৃশ্যমান।
নীলুর বিয়ের কিছুদিন পরেই আমজাদ সাহেব প্রস্তাবটা দিলেন, তার বড় মেয়ে শায়লাকে বিয়ে করতে হবে। সুন্দরী, বদমেজাজী এই ধনীর দুলালীকে নিয়ে পনের বছর কেটে গেছে তার। স্লিম ফিগারের এই মহিলা এখন হস্তিসদৃশ হয়েছে। যদিও কোনকালেই শায়লার সাথে তার বনেনি। পাপের পয়সায় বখে যাওয়া মেয়েকে নিজের শাসনের মধ্যে রাখতেই আমজাদ আলী তাকে আফসারের গলায় ঝুলিয়ে দেয়। বিয়ের সময় লোকে বলাবলি করেছে, শায়লা কোন এক পার্টিতে গিয়ে নষ্টামো করে এসে পেট বাঁধিয়েছিল তাই কুকথা ছড়াবার আগেই তড়িঘড়ি অসহায় এক ছেলের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে তার বাবা। শুনেও শুনতে পায়নি আফসার। যত বিতৃষ্ণাই থাক তবুও হানিমুনে গিয়ে কক্সবাজারের হোটেলে যখন পারফেক্ট ফিগারের স্ত্রীকে নগ্ন করে, তার আর কোন অনিচ্ছা কাজ করেনা। সেই আগ্রহ ফুরাতেও সময় লাগেনা শায়লার বিদঘুটে মেজাজের কারণে, তাছাড়া পাঁচ বছরের সম্পর্কে নীলুর সাথে যতবার যৌনতার আদিম খেলায় মেতেছে, সমান আনন্দে দুজনেই বারবার হারিয়ে গেছে। অথচ প্রথমবারেই শায়লার অতিব্যবহৃত যোনি হতাশ করেছে তাকে । যৌনজীবনটাও শায়লার সাথে ভাল কাটেনি কখনো তার।
বছর দশেক আগে আমজাদ সাহেব যখন প্যারালাইজড হয়ে শয্যাশায়ী, তখন থেকেই স্কুলের দায়িত্ব আফসারের হাতে চলে আসে। সবাই যেন একটু সমীহ করে চলে তাকে। অল্পবয়স্ক দেমাগী সুন্দরী ম্যাডামগুলো যখন ন্যাকামো করে তার সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করে,অতৃপ্ত যৌবন মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। যা পাওয়ার ছিল তা তিনি সবই পেয়েছেন। দিন দুনিয়ার সর্ব বিষয়ে উদাসীন শায়লাকে আর ভয় করেন না। কোন স্ক্যান্ডালের তোয়াক্কাও করেননা। আজীবন সব পারফেক্ট ভাবে করে এসে মাঝ বয়সে সচেতনভাবে ভীমরতির ডাকে সাড়া দিতে প্রবল উৎসাহ বোধ করেন।
 
Last edited:

Users who are viewing this thread

Back
Top