What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আয়েশ করে ঘরের মেঝেতে (1 Viewer)

5Lbsa1Q.jpg


মেঝের ওপর করা যায় জমজমাট আড্ডার ব্যবস্থা।

কাঁচা ঘরের মেঝেতে আয়েশ করে কারও শুয়ে থাকার চিত্র আমরা দেখেছি উপন্যাসের পাতায়। সেই মাটির মানুষ উঠেছে মাটি থেকে অনেক ওপরে। তৈরি করেছে আকাশছোঁয়া বহুতল ভবন, উড়ছে আকাশে, মহাকাশে। প্রযুক্তি এ বিশ্বকে যেখানেই নিয়ে যাক, নিজের ঘরেই বোধ হয় শান্তি খোঁজেন সবাই। জাঁকজমকপূর্ণ অন্য কোনো জায়গার চেয়ে নিজের ঘরের বিছানাই পছন্দ অধিকাংশ মানুষের কাছে। আবার এ ঘর যত উঁচুতেই হোক, কেউ হয়তো ঘরের নিষ্প্রাণ মেঝেতেই খুঁজে পান প্রাণের পরশ। ভূমির ছোঁয়া নাই–বা হলো পাওয়া, ঘরের মেঝেতেই হতে পারে শান্তির বিশ্রাম।

ছোট ঘর, ছোট পরিসরে সামান্য একটু বসার জায়গা হতে পারে মেঝেতেই। ছোট্ট সংসারে ঝামেলাবিহীন এ আয়োজনই হতে পারে দৃষ্টিনন্দন ও আরামদায়ক। প্রয়োজনে ছোট্ট একটা শোয়ার জায়গাও হতে পারে মেঝেতে। বড় আকারের আলিশান আসবাব যেখানে আঁটানোই মুশকিল, সেখানে সাধারণ উপকরণ নিয়ে বসার একটি সুন্দর জায়গা তৈরি করে আনা যায় নান্দনিকতার ছোঁয়া। এম অ্যান্ড এস ইন্টেরিয়র সলিউশনের অন্দরসজ্জাবিষয়ক পরামর্শক মুমানা ইসলাম জানালেন নানা উপায়।

প্রাথমিক আয়োজন

ঘরের মেঝেতে শীতলপাটি কিংবা শতরঞ্জি বিছিয়ে দিতে পারেন। এর ওপর একটি পাশজুড়ে রাখতে পারেন ম্যাট্রেস, ফোম কিংবা ফ্লোর কুশন। এভাবে শীতলপাটি কিংবা শতরঞ্জির ওপর কিছু বিছিয়ে বসার আয়োজন চোখের জন্যও আরামদায়ক, মেঝেটাও ঢাকা থাকছে। বিভিন্ন আকারের ফ্লোর কুশন কিনতে পাওয়া যায়, চাইলে ফরমায়েশ দিয়ে বানিয়েও নিতে পারেন। শোয়ার ব্যবস্থা করতে হলে অবশ্য ম্যাট্রেস বেছে নিতে হবে, তা সরাসরি মেঝের ওপর হোক কিংবা হোক শতরঞ্জি বা শীতলপাটির ওপর। বসার আয়োজনে কিছু কুশন, ছোট পাশবালিশ যোগ করে দিন। বসা অবস্থায় হাতের বিশ্রামের জন্য দুই পাশের পাশবালিশ দুটিই কাজে আসবে। এর পেছন দিকে সাজিয়ে রাখা থাক কুশনগুলো। সোফা না থাকলেও সোফার মতো আমেজ পাবেন।

g6lPp9I.jpg


ব্যবহারিক জীবনে

পারিবারিক ঘরের মেঝেতে একটি পাশে অনায়াসেই এভাবে বসতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। অতিথিদের সঙ্গে প্রাণোচ্ছ্বল আড্ডাও হতে পারে বসার ঘরে।

একই ঘরের বিভিন্ন দেয়ালের পাশে একাধিক ফ্লোর কুশনেও হতে পারে বসার আয়োজন। যখন প্রয়োজন নেই, তখন সেগুলো একটির ওপর একটি তুলে রাখা যায়।

তবে নিচে বসতে হলে হাঁটু ভেঙে বসতে হয়, যা কারও কারও ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যার কারণে পীড়াদায়ক হতে পারে। তাঁদের জন্য একপাশে উঁচু টুল কিংবা চেয়ার রাখা উচিত।

নান্দনিক অন্দরসাজ

ঘরের মেঝেজুড়ে রাখা শীতলপাটির মাঝে এনামেল রং দিয়ে স্থায়ী আলপনা করতে পারেন।

বসার জায়গার পাশেই ঐতিহ্যবাহী ধাঁচের ফুলদানি বা টব রাখতে পারেন। মাটির টব (কাচ বসানো, আলপনা করা কিংবা রঙিন শোলা দিয়ে সাজানো টব হতে পারে) রাখতে পারেন বেশ কম খরচেই। অন্দরের উপযোগী গাছ রাখতে পারেন। বড় ফুলদানির মুখের ওপর ছোট বাটি বা প্লেট বসিয়ে তার ওপর মানানসই ছোট টব বসিয়ে রাখতে পারেন গাছ। লতানো গাছ হলে লতাগুলো নুইয়ে আসতে পারে বড় ফুলদানিটার পাশ দিয়ে।

ফুলদানি বা টবকে ভিত্তি করে ল্যাম্পশেড রেখে ঘরের ওই কোণজুড়ে আলোছায়ার খেলাও হতে পারে।

বসার ঘরের আয়োজনে ভেলভেট কিংবা অন্য কোনো জাঁকজমকপূর্ণ কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। পুরোনো শাড়ির (যেমন কাতান) পাড় কেটে কুশনে বসানো যায়। পাথর বসিয়ে নিতে পারেন দু–একটি কুশনে। এমন নানা বুদ্ধি করে রাজকীয়ভাবে সাজিয়ে তুলতে পারেন বসার জায়গা।

3aZIccj.jpg


মাটিতে বসার চমতকার আয়োজন
 

Users who are viewing this thread

Back
Top