১.
মাকড়সা কিন্তু পতঙ্গ নয়। এর মূল কারণ দুটি। প্রথমত, ওদের পায়ের সংখ্যা ৮। দ্বিতীয়ত, ওদের দেহ দুই ভাগে বিভক্ত। মাকড়সার শরীরে কোনো অ্যানটেনা নেই, পাখাও নেই। ওরা অ্যারাকনিডা শ্রেণির অ্যারানি বর্গের সদস্য।
২.
মাকড়সার জাল টানলে অনেক লম্বা হয়, কিন্তু সহজে ছিঁড়ে না। এর প্রসারিত হওয়ার ক্ষমতা স্টিলের চেয়েও বেশি। পা এবং হাঁটার কৌশলের কারণে ওরা নিজেদের জালে নিজেরা আটকে যায় না। এ ছাড়া ওদের শরীরের এক বিশেষ রাসায়নিকও আরেকটি কারণ।
৩.
পৃথিবীতে প্রায় ৫০ হাজার প্রজাতির মাকড়সা আছে! ওরা কিন্তু দূরের কোনো কিছুই স্পষ্ট দেখতে পায় না। তাই দূর থেকে মাকড়সা দেখেই দৌড়ে পালানোর কিছু নেই। কারণ, মাকড়সা তোমাকে অতটা দূর থেকে দেখতেই পায় না!
৪.
অধিকাংশ প্রাণী চলাফেরার জন্য পেশি ব্যবহার করে, কিন্তু মাকড়সার পেশি নেই। তাহলে ওরা চলাফেরা করে কী করে? মাকড়সা চলাফেরা করে 'হাইড্রোলিক পাওয়ার' ব্যবহার করে। অর্থাৎ ওদের পাগুলো শরীরের ভেতরের এক বিশেষ তরলের মাধ্যমে চলে।
৫.
মাকড়সা কিন্তু উপকারী প্রাণী। ওরা অনেক পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। ওরা না খেলে পোকামাকড়গুলোর সংখ্যা খুব বেশি বেড়ে যেত। এ কারণে মাকড়সা আমাদের কাছ থেকে ধন্যবাদ পেতেই পারে।
লেখক: মিজানুর রহমান | সূত্র: সিবিসি