What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

তাজমহল বিক্রেতা "মিস্টার নটবরলাল" - সেরা জালিয়াতি (1 Viewer)

BRICK

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Dec 12, 2019
Threads
355
Messages
10,073
Credits
81,757
T-Shirt
Glasses sunglasses
Calculator
Watermelon
Pistol
Pistol
তাজমহলের দিকে অপলকে তাকিয়ে রয়েছেন এক বিদেশী ব্যবসায়ী। তিনি ভারত ভ্রমণে এসেছেন। প্রেমের প্রতীক, আধুনিক সপ্তম আশ্চর্য্যের অন্যতম, ভারতের গর্ব তাজ...বিদেশীর চোখের পলক যেন আর পড়ছেই না। এমন সময় বিদেশী ব্যবসায়ী ভদ্রলোকের চোখ পড়লো পাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্যুট বুট পরিহিত এক ভারতীয়'র উপর। তাজের উপর চোখ রেখে ভারতীয়টি বিড়বিড় করে বলছেন, "ইশশশ… এই জিনিস কিনা বেচে দেবে!"

তাজ বেচে দেবে?? চোখ কপালে উঠলো বিদেশীর। কে বেচবে? কাকে বেচবে? কেন বেচবে? আপনি জানলেন কি করে যে তাজ বিক্রি করা হচ্ছে? প্রশ্নের পসরা নিয়ে ভারতীয়টির সামনে দাঁড়িয়ে গেলেন বিদেশী ব্যবসায়ী। দুঃখী দুঃখী মুখ নিয়ে ভারতীয় উত্তর দিলেন, "আমি ভারতীয় রাষ্ট্রপতির পি এ। আমার উপরেই দ্বায়িত্ব তাজের জন্য উপযুক্ত খরিদ্দার খুঁজে বের করার। সময় মাত্র সাতদিন। এর মধ্যে খরিদ্দার না পেলে নিলামে চড়ানো হবে তাজকে। ব্যপারটা অত্যন্ত গোপনীয়"।

ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন বিদেশী। জিজ্ঞাসা করলেন, "তাজমহল বিক্রি করবার জন্য প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রপতির সই করা অধ্যাদেশ আছে আপনার কাছে?" ভারতীয় উত্তর দিলেন, "অবশ্যই। আপনি দেখতে চান?"

খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সেই অধ্যাদেশ পরীক্ষা করলেন বিদেশী। অশোকস্তম্ভ মার্কা কাগজের নীচে লেখা অধ্যাদেশ। তার নীচে রাষ্ট্রপতির সই। সঙ্গে তাজমহলের দলিল এবং পর্চা। দিল্লীতে অবস্থিত নিজের দেশের দূতাবাসের আধিকারিক বন্ধুদের দিয়ে মূল ব্যাপারটা গোপন রেখে সেই সই, দলিল এবং পর্চা পরীক্ষা করালেন বিদেশী ব্যবসায়ীটি। ফল...হান্ড্রেড পার্সেন্ট ম্যাচ...কোনো সন্দেহ নেই যে এটা ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সই! কাগজপত্র সব আসল। ঝটপট টাকা জোগাড় করে রাষ্ট্রপতির পি এ কে দিয়ে দিলেন সেই ব্যবসায়ী। হাতে চলে এলো তাজমহলের মালিকানা। মুঘল সম্রাট এবং ভারত সরকারের পরে তাজমহলের মালিক হলেন এক বিদেশী ব্যবসায়ী।

পরদিন মালিকসুলভ মেজাজ নিয়ে নিজের সম্পত্তি তাজমহলের ভিতরে ঢুকতে গিয়ে প্রথমেই সিকিউরিটির কাছ থেকে ঘাড়ধাক্কা খেলেন তিনি। তিনি যতো বলেন যে তাজমহলকে তিনি ভারত সরকারের থেকে কিনেছেন...সিকিউরিটি ততোই তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করে। শেষে পুলিশকে খবর দেওয়া হলো। পুলিশ এসে পুরো ব্যাপারটা শুনে হেসেই খুন। খবর গেল মন্ত্রী লেভেলে। বিদেশীর সমস্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা গেল...রাষ্ট্রপতির সই, তাজমহলের দলিল, পর্চা ইত্যাদি জাল করা হয়েছে। কিন্তু সেই জালিয়াতি এতটাই নিপুণ হাতের কাজ যে দেখে বোঝার উপায় নেই!

পাঠকবন্ধু… এটা কোনো সিনেমার স্ক্রিপ্ট নয়। পঞ্চাশের দশকে এই ঘটনা সত্যিই ঘটেছিল। এই জালিয়াতির নায়ক অর্থাত "রাষ্ট্রপতির পি এ"র নাম ছিল মিথিলেশ শ্রীবাস্তব ওরফে "নটবরলাল", যিনি নিজের জালিয়াতির কেরিয়ারে তাজমহল তিনবার, লালকেল্লা দু'বার, রাষ্ট্রপতি ভবন একবার এবং পার্লামেন্ট হাউস একবার মোটা টাকার বিনিময়ে বেচে দিয়েছিলেন! প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, যে মুহূর্তে নটবরলাল পার্লামেন্ট বিক্রি করেছিলেন, সেই মুহূর্তে পার্লামেন্টে অধিবেশন চলছিল! আজকাল সরকার ভাঙাগড়ার খেলায় সাংসদ কেনাবেচার নজির হামেশাই পাওয়া যায়। কিন্তু সংসদ চলাকালীন প্রায় সাড়ে পাঁচশো সাংসদ সমেত গোটা সাংসদ ভবনটিকেই বেচে দেওয়ার নজির পৃথিবীতে সম্ভবত এই একটিই আছে!

কেবলমাত্র বিদেশিরাই নয়, নটবরলালের শিকার হয়েছিলেন টাটা, বিড়লা এবং ধীরুভাই আম্বানির মতো ব্যবসায়ীরাও! এইসব ব্যবসায়ীদের নটবরলাল চুনা লাগিয়ে দিয়েছিলেন কখনও ব্যবসায়ী সেজে, কখনও সরকারি আধিকারিক সেজে, কখনও বা সোশ্যাল ওয়ার্কার সেজে!

রাজনীতিবিদরাও নটবরলালের কবল থেকে নিষ্কৃতি পাননি। একবার নটবরলাল দিল্লীর এক বিখ্যাত ঘড়ির দোকানে গিয়ে বলেন, "আমি কংগ্রেস মন্ত্রী এন ডি তেওয়ারীর পি এ। মন্ত্রী একটি স্পেশাল মিটিং ডেকেছেন যেখানে উপস্থিত প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটি করে দামী ঘড়ি উপহার দিতে চান। আপনি তিরানব্বইটা দামী ঘড়ি প্যাক করে আমাকে দিন। আপনার দু'জন কর্মচারীকে আমার সঙ্গে পাঠান। মন্ত্রীর অফিস থেকে ঘড়ির দাম ড্রাফটের মাধ্যমে দেওয়া হবে"। দোকানের মালিক তিরানব্বইটি ঘড়ি প্যাক করে নটবরলালকে দিয়ে দেন এবং দু'জন কর্মচারীকে নটবরলালের সঙ্গে পাঠান। নটবরলাল তাদের নিয়ে নর্থ ব্লকে আসেন। নর্থ ব্লকের ভিতর থেকে একটি ড্রাফট এনে তাদের হাতে দেন এবং ঘড়ি নিয়ে চলে যান। দু'দিন পরে জানা যায় যে ড্রাফটি জাল!

এই একই ঘটনা ঘটে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভি পি সিংহের সঙ্গেও। ব্যতিক্রম...মিটিংয়ের স্থানে ছিল ভি পি সিংয়ের মেয়ের বিয়ে এবং ঘড়ির দোকানের স্থানে ছিল গয়নার দোকান!

নিজের জালিয়াতি জীবনে ন'বার ধরা পড়েছিলেন নটবরলাল। জালিয়াতির প্রায় শ' দেড়েক মামলায় সর্বমোট ১১৩ বছরের জেল হয়েছিল তাঁর...কিন্তু তিনি সর্বসাকুল্যে কুড়ি বছর জেল খেটে ছিলেন। প্রথমবার তাঁর জামিন হয়েছিল। বাকি আটবার তিনি জেল থেকে পালিয়ে ছিলেন...কখনও কোর্টে নিয়ে যাওয়ার পথে, কখনও পুলিশ অফিসার সেজে। পুলিশ অফিসার সাজার জন্যে প্রয়োজনীয় পুলিশ ইউনিফর্ম তিনি আনিয়ে ছিলেন কনস্টেবলদের পাঁচ লাখ থাকা ঘুষ দিয়ে। কনস্টেবলদের দুর্ভাগ্য...ঘুষের নোটের একদিকে প্রিন্ট ছিল...অন্যদিকটি ছিল সাদা! শেষবার তিনি জেল থেকে পালিয়ে ছিলেন ১৯৯৬ সালে, যখন তাঁর বয়স ৮৪ বছর! তখন তিনি পায়ের ব্যথায় ভুগছেন...হাঁটার ক্ষমতা নেই। এইমসে ডাক্তার দেখিয়ে দিল্লী স্টেশনের প্লাটফর্মে একটি বেঞ্চে নটবরলালকে শুইয়ে রেখে দু'জন হাবিলদার গিয়েছিলেন ট্রেনের টিকিট কাটতে...আরেকজন হাবিলদার গিয়েছিলেন "চলচ্ছক্তিহীন" বৃদ্ধ নটবরলালের জন্য প্লাটফর্ম থেকে এক কাপ চা কিনতে। তাঁরা ফিরে দেখেন বেঞ্চ শূন্য...নটবরলাল গায়েব! এরপর নটবরলালকে আর কেউ কখনও দেখেনি।

২০০৯ সালে নটবরলালের উকিল কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন। সেই পিটিশনে তিনি লেখেন, "নটবরলালের মৃত্যু হয়েছে। অতএব ওনার বিরুদ্ধে চলা সমস্ত মামলাকে এবারে ক্লোজ করা হোক"। কিন্তু যিনি তাজমহল বেচে দিতে পারেন, নিজের ডেথ সার্টিফিকেট বানানো তো তাঁর কাছে নস্যি। তদন্ত শুরু হয় এবং নটবরলালের মৃত্যু সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ হওয়ার পরে কোর্ট সমস্ত মামলা ক্লোজ করে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, ভারতের আটটি রাজ্য জুড়ে এই মামলাগুলি ছড়িয়ে ছিল এবং পশ্চিমবঙ্গের নামও এই আটটি রাজ্যের মধ্যে ছিল।

ভারতের সর্বকালের সেরা ঠগ নটবরলালের রসবোধ ছিল অসাধারণ। তিহার জেলে বন্দী থাকাকালীন নটবরলালের কাছে বিহার থেকে তাঁর স্ত্রীর লেখা চিঠি পৌছায়। চিঠিতে লেখা ছিল, "তুমি জেলে থাকায় আমরা খুবই অসুবিধার মধ্যে আছি। চাষের সময় হয়ে আসছে, কিন্তু ক্ষেতে হাল চালানোর পয়সাও আমাদের কাছে নেই"। জেলে ইনকামিং এবং আউট গোইং সমস্ত চিঠি সেন্সর হয়। এই চিঠি পড়ে দয়াপরবশ হয়ে জেলার সাহেব নটবরলালকে বললেন, "স্ত্রীকে ভরসা দিয়ে তুমি একটা চিঠি লেখো"। নটবরলাল লিখলেন…"ওই ক্ষেতে আমার শেষ জালিয়াতির গয়না একটা কলসিতে ভরে পুঁতে রেখেছি। সেটা তুলে গয়না বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে আপাতত নিজেদের ভরণপোষণ চালাও"। যথারীতি এই চিঠিও সেন্সর হলো। চিঠির আগে নটবরলালের বাড়ি পৌছে গেল পুলিশ বাহিনী। লুঠের মালের আশায় নটবরলালের গোটা ক্ষেত খুঁড়ে ফেললো তারা… কিন্তু কিছুই পাওয়া গেল না। এর কিছুদিন পরে আবার নটবরলালের স্ত্রীর চিঠি পেলেন জেলার সাহেব। চিঠিতে লেখা ছিল, "তুমি যে ক্ষেতমজুরগুলোকে পাঠিয়ে ছিলে, তারা খুব ভালো ভাবে গোটা ক্ষেত খুঁড়ে দিয়ে গেছে। আশা করি এবছর ভালোই ফসল হবে"।

আদালতে বিচার চলছে নটবরলালের। শুনানির শেষে জজসাহেব নটবরলালকে নিজের চেম্বারে ডাকলেন। নটবরলালকে সামনে বসিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, "সত্যি কথা বলুন তো...আপনি এই জালিয়াতিগুলো করেন কি করে?" নটবরলাল উত্তর দিলেন, "আপনার কাছে একটা এক টাকার কয়েন আছে? থাকলে আমাকে দিন"। জজসাহেব তড়িঘড়ি নিজের মানিব্যাগ থেকে এক টাকার একটা কয়েন বার করে নটবরলালের হাতে দিলেন। নটবরলাল কয়েনটা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নিয়ে বললেন, "এইভাবে করি"। হতভম্ব জজসাহেব বললেন, "মানে?" নটবরলাল উত্তর দিলেন, "আমি চাইলাম...আপনি দিলেন...আমি নিলাম। একইভাবে আমি লোকের কাছে টাকা চাই...লোকে দেয়...টাকাটা আমার হয়ে যায়...ব্যাস"।

সত্তরের দশকে নটবরলালের জীবনের অনুকরণে সিনেমা বানানো হয়েছিল। "মিস্টার নটবরলাল" এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তখন আসল নটবরলাল জেলে বন্দী। জেলের রক্ষীরা নটবরলালকে বলেন, "আপনার জীবনের অনুকরণে সিনেমা হয়েছে। আপনি দেখবেন না?" নটবরলাল উত্তর দেন, "জালিয়াতি জগতের আসল হিরো তো আমি। নকল হিরোকে আর কি দেখবো। অমিতাভেরই উচিত আমাকে দেখতে আসা"।

নাবালক বয়সে অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয় নটবরলালের। তাঁর এক প্রতিবেশী তাঁকে একটি ব্যাঙ্ক ড্রাফট জমা দিতে ব্যাঙ্কে পাঠান। ড্রাফটটি জমা দেওয়ার আগে ড্রাফটের সইটি নকল করবার চেষ্টা করেন নটবরলাল এবং বুঝতে পারেন যে সই জাল করবার ব্যাপারে তিনি নিজে একটি বিরল প্রতিভা! এই প্রতিবেশীর সই জাল করে স্লিপ কেটে টাকা তুলে তাঁর ব্যাঙ্ক ব্যালান্স প্রায় জিরোতে পাঠিয়ে দেন নটবরলাল!

ম্যাট্রিক পাশ করবার পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন নটবরলাল এবং ওকালতি পাশ করেন! পেশায় উকিল নটবরলাল এরপরে বড়বাজারের এক মাড়োয়ারী তুলোর ব্যবসায়ীর সই জাল করে ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দেন। এটাই নটবরলালের প্রথম বড় অপরাধ।

বিহারের সিওয়ান জেলার বাঙ্গরা গ্রামে জন্ম হয়েছিল নটবরলালের। সেই গ্রামে আজও তাঁকে দেবতাজ্ঞানে পূজো করা হয়। তিনি সেই গ্রামের রবিনহুড। বলা হয়, ধনীদের থেকে ঠকিয়ে নেওয়া টাকা তিনি বিতরণ করে দিতেন নিজের গ্রামের গরীব মানুষদের মধ্যে। সেই গ্রামে আজও তিনি "নটবরলাল" নামে নয়…"মিস্টার নটবরলাল" বা "মিথিলেশ বাবু" নামে পরিচিত। সম্প্রতি সেই গ্রামের তরফে নটবরলালের একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপনের দাবী উঠেছে।

বাঙ্গরা গ্রামের কিছু দূরেই অবস্থিত আরেকটি গ্রাম। গ্রামটির নাম জিরাদেই। বলা হয়, বাঙ্গরা গ্রামের একজন এবং জিরাদেই গ্রামের একজন সিওয়ান জংশন থেকে ট্রেন ধরেছিলেন। একজনের ট্রেন পৌছে যায় তিহার জেলে...তিনি ভারতের পয়লা নম্বর ঠগ...মিথিলেশ শ্রীবাস্তব ওরফে নটবরলাল। আর জিরাদেই গ্রামের যুবকের ট্রেন পৌছায় রাইসিনা হিলে...তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং ভারতরত্ন...ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ। দুজনেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছিলেন এবং দুজনেই ছিলেন আইনজীবী।

জালিয়াতি অবশ্যই অপরাধ। জালিয়াতের শাস্তি পাওয়াই উচিত। কিন্তু কোনো জালিয়াতের জালিয়াতি যখন শিল্পের লেভেলে ওঠে, তখন তাঁর ব্রেনকে কুর্নিশ জানাতেই হয়। তাই "নটবরলাল" নয়...আমি এই লেখার শিরোনাম দিলাম "মিস্টার নটবরলাল"। আজকের জালিয়াত...যেমন হর্ষদ মেহতা, বিজয় মালিয়া, নীরব মোদিরা মিস্টার নটবরলালের কাছে দুগ্ধপোষ্য শিশু...কারণ তাজমহল, লালকেল্লা, রাষ্ট্রপতি ভবন বা পার্লামেন্ট হাউস বেচে দেওয়ার ক্ষমতা এদের কারও নেই।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top