আচ্ছা একটা কথা জানতে চাই; এই যে মেয়েদের শাড়ির নাম হয় বিভিন্ন; এই নাম কে রাখে কেউ জানেন? মানে বলতে চাইছি; সেই লোকটিকে আমার দরকার। আমি জানতে চাই এইসব নাম আসে কোথা থেকে; এবং কেনো আসে; এই নামগুলো না এলেই বা এই মহাবিশ্বের কি ক্ষতিবৃদ্ধি হোতো।
বিষয়টা খুলেই বলি। আমার বউ এমনিতে ঠিকই আছে; খাচ্ছে দাচ্ছে লাফাচ্ছে ; আমার ওপরে খবরদারী করছে....সে করুক। কিন্তু; যত পূজো এগিয়ে আসে; আমার বউয়ের মধ্যে একটা অদ্ভুত পরিবর্তন আসে। একটা ক্রুর জিঘাংসাবৃত্তি জেগে ওঠে; কিরকম যেনো একটা আমজাদীয় মনোভাব ফুটে ওঠে। বেশ কয়েক বছর আগে; এক সন্ধ্যায় হঠাৎ এক গব্বর সিং টাইপ্স হিহিহাহাহাহাহা দিয়ে বলল সে নাকি সম্বলপূরী সিল্ক কিনবে এইবার।
আমি ঢোক গিললাম; জল খেলাম; নাকের ডগা কুরকুর করে চুলকে বললাম.......সম্বলপূরী? আমি সহায় সম্বলহীন মানুষ; আবার ওসব কেনো? তার চেয়ে আসন্ন শীত উপলক্ষে চলো দুটি মোটা কম্বল কিনি; কাজে দেবে। এরপরে টানা তিনদিন যে মানসিক ও পৈটিক অত্যাচার আমি সহ্য করেছি; তা বিশদে শুনলে আপনারা চোখের জলে ঘর ভাসিয়ে ন্যাতা দিয়ে ঘর মুছে ফেলবেন। স্রেফ সাদা আলুর তরকারি আর রুটি খেয়ে ক্ষুন্নিবৃত্তি সেরেছি....
আর একবার; ঠিক সেইরকমই একটা হাসির সাথে বজ্রনির্ঘোষ এসেছিলো.......বোমকাই!!
বোমকাইয়ের নাম শুনে আমি একপ্রকারের চমকাই। মাথা চুলকে বলেছিলাম......পুলিশ ধরে যদি? ওসব বোম টোম কিনো না ; ছাপার শাড়ি কেনো বরং.......আধখানা ডিমও দেয়নি পরের তিনদিন......
আর একবার......বিচিত্রপুরী। আমি দোষের মধ্যে বলেছিলাম......এই বাড়িটাই তো একটা বিচিত্রপুরী......বাকিটা আর শুনে কি করবেন? প্রাণ কেঁদে উঠবে; কারবালার প্রান্তরে হাসান হোসেনের ওপরেও এই পাশবিক অত্যাচার হয়নি।
তবে কেলো অফ অল কেলোস হয়েছিলো যেবার কলমকারি শাড়ির কথা বলেছিলো। আমি মা শীতলার দিব্যি বুঝিনি। খুব গম্ভীরভাবে বলেছি......দেখো মামণি; আজ পর্যন্ত তুমি বহু কেলেঙ্কারি করেছো; আর ওই কেলেঙ্কারি শাড়ি কিনতে হবে না। তারপরে কি হয়েছিলো? থাক.....