What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Self-Made গৌরীপুর জংশন – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ) (1 Viewer)

Joined
Aug 2, 2018
Threads
241
Messages
21,861
Credits
139,812
Guitar
Statue Of Liberty
Helicopter
Television
Laptop Computer
Lollipop
বইয়ের নাম : গৌরীপুর জংশন
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ১৯৯০
প্রকাশক : কাকলী প্রকাশনী
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৫৬ টি

image.jpg

সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট


কাহিনী সংক্ষেপ :

জয়নাল এখন রাতে স্টেশনেই ঘুমায়। একসময় সে এই স্টিশনেই কুলি ছিল। তিন মনের একটা বস্তা তার পিঠে উপরে পরার পরে তার একটা পা শুকিয়ে গেছে। তাই এখন সে অচল হয়ে পরেছে। বজলু নামের ৮-৯ বছরের টোকাই ছেলেটা জয়নালের পিছনে ঘুর ঘুর করে। বজলুর চাচা তাকে এই স্টেশনে ফেলে রেখে গেছে।

স্টেশনের মালবাবুর মুখ খুব খারাপ, গালি না দিয়ে কথাই বলেন না। কিন্তু মনটা খুব ভালো। কোমরে চালের বস্তা পরে যখন জয়নাল বিছানায় তখন এই মালবাবুর ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ কিনে দিয়ে জয়নালকে বাঁচিয়েছেন।

ইয়াদ আলী ঠগবাজ লোক। ট্রেনে ট্রেনে বড় ধরনের ঠগবাজি করাই তার কাজ। একবার ট্রেনের বরযাত্রীদের সাথে থাকা অলংকার কৌশলে হাতিয়ে নেয় ইয়াদ আলীর দল। পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় সব কুলিদের। ধরা পরে কুলিদের সরদার মোবারক। তিন দিন পরে সবাই ছাড়া পায়, কিন্তু মোবারক ছাড়াপায় সাত দিন পরে। পুলিশ তাকে প্রচন্ড মার দেয়। পুলিশের সেই মার খেয়ে সে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। মোবারককে খুন করে স্টেশনর নতুন সরদার হয় মোবারকেরই সাগরেদ হাশেম।

লাইন-ম্যানে রমজান, লোকে তাকে ডাকে পাগলা রমজান বলে। কিছুটা উলটাপালটা চিন্তা করে, বিশিষ্ট উলটা চিন্তাবিদ। জয়নাল তাকে একটা চিন্তার কথা বলেছে - "সমস্ত প্রাণীর লেজ আছে, কিন্তু মানুষের লেজ নাই কেন?" এটা নিয়েই সে চিন্তা করতে থাকে।

অনুফা জয়নালের প্রাক্তন স্ত্রী। জয়নাল অসুস্থ হওয়ার পরে যখন তার সমস্ত ইনকাম বন্ধ হয়ে যায় তখন বাধ্য হয়েই অনুফা একজন রিক্সাওলাকে বিয়ে করে। তারপর সে আবার বিয়ে করে একজন কাঠমিস্ত্রিকে। কিন্তু সেখানেও সে থাকতে পারল না। সবশেষে এখন বাজারু হয়েছে। তবুও জয়নাল মাঝে মাঝে অনুফার সাথে দেখা করতে যায়। একবার গিয়ে দেখে অনুফা চলে গেছে ঢাকায়। অনুফার ঘরে ছোটফুলি নামের আরেকটি মেয়ে এসেছে।

জয়নালকে ট্রেনের একজন মহিলা পানি আনার জন্য দুটি সুন্দর ফ্লাক্স দেয়, জয়নাল সেগুলি নিয়ে পালিয়ে যায়। জয়নাল সেগুলি বিক্রয় করে অনেকগুলি টাকা পায় হাতে। টাকা হাতে আসতেই জয়নাল নানান ভাবে সেই টাকা খরচ করতে শুরু করে। যতক্ষণ হাতে টাকা থাকতে ততক্ষণই সে রাজা, মনটা থাকে উদার।

হঠাৎ করেই ট্রেনের ওয়াগন থেকে কারা যেন ১০ বস্তা চিনি লুট করে নিয়ে গেছে। পুলিশ এসে মালবাবু সহ আরও ৫ জন কুলিকে ধরে নিয়ে যায়। পুলিশ হাশেমকেও খুঁজছে। লাইন-ম্যান রমজানের ধারনা লুট করেছে হাশেম, লুটের সাথে সাথে আরেকটা খুনও করেছে।
এভাবেই সমস্ত গল্পটা আবর্তিত হয় একটি ট্রেন স্টেশানকে কেন্দ্র করে।

----- সমাপ্ত -----
 

Users who are viewing this thread

Back
Top