প্রাচীন বাঙালি খাদ্যের সাথে হেলথি উপাদান যোগ করতে অবশ্যই প্রাকৃতিক উদ্ভিদের প্রয়োজন। একটি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, যা বাঙালি খাদ্যে প্রচলিত এবং সুস্থতার উন্নতির জন্য মূলত ব্যবহৃত হয় তা হলো হলুদ। হলুদ বা কাঁচা হলুদ নামে পরিচিত এই উদ্ভিদটির ব্যবহারের মাধ্যমে না শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা যায়, বরং তা শরীরের জন্য অনেকগুলো উপকারী প্রভাব নিয়ে আসে।
কাঁচা হলুদের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অনেকগুলো আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলুদের এন্টিইনফ্লামেটরি এবং এন্টিক্সিডেন্ট গুণ। এটি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে এবং শরীরের ব্যক্তিগত প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও, কাঁচা হলুদের ব্যবহারে চিকিত্সাগত প্রভাবও আছে, যেমন ব্যাথা ও পাচনের সমস্যা মিটানো, চুলের প্রস্থ, ত্বকের স্বাস্থ্যসম্মত উন্নতি, রক্তনালীর জন্য ভাল এবং সাধারণত হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো।
আমাদের প্রচলিত খাবারের অংশ হিসেবে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা যেতে পারে তৈরি করে বিভিন্ন ডিশে। এটি সবচেয়ে ঝাল ডাল বা ঝাল ভাতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, হলুদ পাউডার তৈরি করা যায়, যা খাবারে ব্যবহার করে উপকারিতা উন্নত করা যায়।
তৈরি করার সময় কাঁচা হলুদ পরিষ্কার করা প্রয়োজন, অন্যথায় তা খেতে অশ্লীল রক্ত অনুমোদন করতে পারে। এরপরে এটি সুড়ু থাকতে এবং ছেঁড়ার সাথে চটকানো যেতে পারে।
কাঁচা হলুদের ব্যবহার করার উপায় অনেক, তবে এর মধ্যে একটি কাঁচা হলুদ যোগ করা সবচেয়ে সহজ উপায়। এটি পানি দিয়ে পেষ্ট করে নিয়ে সব্জি বা মাংসের কাছে দিয়ে মেখে সেদ্ধা অথবা খাওয়া যেতে পারে।
সর্বশেষতঃ, হলুদের ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে কারণ এর অতিরিক্ত ব্যবহার কিছু অসুস্থতার কারণ হতে পারে। তবে, সাধারণত মাত্র খাবারের অংশ হিসেবে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা কোনও ক্ষতি করে না, বরং স্বাস্থ্যের উন্নতির পথে সাহায্য করে।