এক শিল্পী খুঁজে চলেছেন এক খন্ড পাথর যা দিয়ে তিনি একটি সুন্দর মুর্তি গড়তে পারেন। কিন্তু কোনমতেই তিনি তাঁর প্রয়োজনীয় পাথর খুঁজে পাচ্ছেন না। একদিন তিনি তাঁরই এক বন্ধুর বাড়ীর বাগানে ধুলোয় ঢাকা একটি পাথর আবিষ্কার করলেন। ধুলো সরাতেই দেখলেন এই তার পছন্দের পাথর। বন্ধুকে বলতেই তিনি সানন্দে পাথরটি তাঁকে উপহার দিলেন। বাড়ী ফিরে দিনরাত পরিশ্রম করে সেই পাথর থেকে তৈরী হলো এক অনুপম মুর্তি। পাথর দাতা বন্ধু এলেন মুর্তি দেখতে। জিজ্ঞাসা করলেন, কেমন করে ওই ঢেলা পাথর থেকে তুমি এমন মুর্তি বানালে ? শিল্পী বললেন, আমি শুধু অপ্রয়োজনীয় অংশটি বাদ দিয়েছি আর প্রয়োজনীয় অংশটি আরও সুন্দর করে প্রকাশ করেছি। শিল্পী বললেন, আমাদের জীবনও এমন । অনন্ত শক্তির অধিকারী আমরা নিজের কালোটাকে বর্জন করে আলোটাকে highlight করতে পারি না। তাই আমাদের এত কষ্ট।
এরপর তিনি একটি ছবির কথা বললেন, যেখানে প্রভু যীশু এক হাতে লণ্ঠন নিয়ে অন্য হাতে একজনের ঘরের দরজা হাঁকাচ্ছেন, যে দরজায় হাতল নেই। বন্ধু বললেন, তুমি আর যাই বলো এ ছবি নিখুঁত নয়। দরজায় হাতল থাকলে প্রভু সহজেই দরজা খুলে ভেতরে চলে যেতে পারতেন। শিল্পী বন্ধু হাসলেন, আসলে এই দরজাগুলো ভিতর থেকে খোলে অনেকটা আমাদের মনের মত। ভগবান দর্শন দেবার জন্য এক হাতে আলো আর অন্য হাতে আমাদের হৃদয়ের দরজাকে আঘাত করেন। আমরা সেই আঘাতে নিজের ভেতর থাকে সাড়া দিলে তাঁর দর্শন পাবো, আর তাঁর হাতের লণ্ঠনের আলোয় নিজের ভেতরের অন্ধকারকে ফেলে তাঁর আলোতে নিজেরা আলোকিত হবে।
মূল গল্প: A door without handle
ভাষা: ইংরাজী
বঙ্গানুবাদ: স্বামী স্তবপ্রিয়ানন্দ
এরপর তিনি একটি ছবির কথা বললেন, যেখানে প্রভু যীশু এক হাতে লণ্ঠন নিয়ে অন্য হাতে একজনের ঘরের দরজা হাঁকাচ্ছেন, যে দরজায় হাতল নেই। বন্ধু বললেন, তুমি আর যাই বলো এ ছবি নিখুঁত নয়। দরজায় হাতল থাকলে প্রভু সহজেই দরজা খুলে ভেতরে চলে যেতে পারতেন। শিল্পী বন্ধু হাসলেন, আসলে এই দরজাগুলো ভিতর থেকে খোলে অনেকটা আমাদের মনের মত। ভগবান দর্শন দেবার জন্য এক হাতে আলো আর অন্য হাতে আমাদের হৃদয়ের দরজাকে আঘাত করেন। আমরা সেই আঘাতে নিজের ভেতর থাকে সাড়া দিলে তাঁর দর্শন পাবো, আর তাঁর হাতের লণ্ঠনের আলোয় নিজের ভেতরের অন্ধকারকে ফেলে তাঁর আলোতে নিজেরা আলোকিত হবে।
মূল গল্প: A door without handle
ভাষা: ইংরাজী
বঙ্গানুবাদ: স্বামী স্তবপ্রিয়ানন্দ