আঞ্চলিক সামরিক জোট NATO'র সদস্য সংখ্যা এখন ৩০।
পূর্নরূপঃ North Atlantic Treaty Organization (NATO) নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশন।
প্রতিষ্ঠাকালঃ ০৪ এপ্রিল, ১৯৪৯।
সদর দপ্তরঃ ব্রাসেলস, বেলজিয়াম। প্রতিষ্ঠাকালীন সদর দপ্তর ছিল যুক্তরাজ্যের লন্ডনে। ১৯৫২ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৬৭ সালে ব্রাসেলসে স্থানান্তরিত করা হয়।
সংস্থার প্রধানঃ মহাসচিব।
মেয়াদকালঃ ৪ বছর।
ন্যাটোভুক্ত মুসলিম দেশঃ দুইটি ১) আলবেনিয়া ও ২) তুরস্ক।
মহাদেশ ভিত্তিক ন্যাটোর বর্তমান সদস্য বিন্যাসঃ
#এশিয়া মহাদেশে ১টি তুরস্ক
#উত্তর আমেরিকার ২টি (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা) এবং
# ইউরোপের ২৭ টি দেশ ।
মহাসচিবঃ
প্রথম মহাসচিবঃ জেনারেল হাসটিং লিওনেল ইসমে (যুক্তরাজ্য) ২৪ মার্চ ১৯৫২ - ১৬ মে ১৯৫৭।
বর্তমান মহাসচিব জেমন স্টলেনবার্গ (নরওয়ে) ১ অক্টোবর 2004 -- বর্তমান ।
NATO
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়া নিয়ে গঠিত একটি সামরিক সহযোগিতার জোট ন্যাটো। এটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক সংগঠন। ন্যাটোর মোট সদস্য সংখ্যা ৩০। ২৭ মার্চ ২০২০ উত্তর মেসিডোনিয়া ৩০ তম সদস্য লাভ করে।
৪ এপ্রিল ১৯৪৯ ইউরোপের ১০টি দেশ ( বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, আইসল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্য ) এবং উত্তর আমেরিকার দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা মিলে গঠিত হয় ন্যাটো।
মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসন ও পশ্চিম ইউরোপের দেশসমূহের স্বাধীনতা অখন্ডতা বজায় রাখাই ছিল এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য। চুক্তির পঞ্চম অনুচ্ছেদে সংগঠনের মূলনীতি বলা আছে যে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার কোন সদস্য দেশসমূহের উপর অন্য কোন দেশ সামরিক হামলা করলে সংগঠনের সকল সদস্যের উপর হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে। আর যদি এমন কোনো হামলা হয় তাহলে জাতিসংঘ চার্টারের 51 নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একক অথবা সংঘবদ্ধভাবে শত্রুর মোকাবিলা করা হবে। প্রয়োজনে সামরিক হামলা চালানো হবে এবং উত্তর আটলান্টিকের দেশ সমূহের নিরাপত্তা বজায় রাখা হবে।
ন্যাটো বাহিনী ২০০৩ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে International Security Assistance Force (ISAF) মিশনে অংশগ্রহণ করে। এটি ইউরোপের বাহিরে ন্যাটো বাহিনীর প্রথম মিশন।
ন্যাটোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর খরচ পৃথিবীর সকল দেশের সামরিক খরচের প্রায় 70 ভাগ।
অন্যদিকে ১৪ মে ১৯৫৫ প্রধানত পূর্ব ইউরোপের কমিউনিস্ট দেশগুলো সংঘবদ্ধ হয়ে নাটো বিরোধী ওয়ারশ সামরিক জোট (Warshaw Theaty Organization ) গঠন করে । যদিও জোটটি ১ জুলাই ১৯৯১ বিলুপ্ত করা হয় ।এই জোটের সদস্য দেশ আলবেনিয়া, জার্মান, বুলগেরিয়া, চেকোস্লাভাকিয়া( বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্র স্লোভাকিয়া ), হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও রোমানিয়া বর্তমানে ন্যাটোভুক্ত হয়েছে।
ন্যাটোর সম্প্রসারণ ও অন্তর্ভুক্ত দেশ সমূহঃ
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ঃ গ্রিস ও তুরস্ক।
০ ৮ মে ১৯৫৫ঃ জার্মান।
৩০ মে ১৯৮২ঃ স্পেন।
১২ মার্চ ১৯৯৯ঃ চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি,ও পোল্যান্ড।
২৯ মার্চ ২০০৪ঃ বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, ও লাটাভিয়া, লিথুনিয়া রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া ও স্লোভেনিয়া।
০১ এপ্রিল ২০০৯ঃ আলবেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়া।
০৫ জুন ২০১৭ঃ মন্টিনিগ্রো।
২৭ মার্চ ২০২০ঃ উত্তর মেসিডোনিয়া।
……………………30 তম সদস্য উত্তর মেসিডোনিয়া……………………
৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ যুগোস্লাভিয়ার একটি অংশ স্বাধীন হবার পর নিজেদের নাম রাখে মেসিডোনিয়া। কিন্তু দক্ষিণ প্রতিবেশী দেশ গ্রীস তাতে আপত্তি জানায়। কারণ মেসিডোনিয়া নামে একটি অঞ্চল রয়েছে।. দুটি দেশের পক্ষে থেকে মেসিডোনিয়া নামটি তাদের বলে দাবি করা হয়। গ্রীসের উত্তরাঞ্চলীয় একটি রাজ্যের নাম মেসিডোনিয়া। আবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশের নাম মেসিডোনিয়া।গ্রীকদের দাবি, মেসিডোনিয়া নাম তাদের অন্য কোন দেশ হতে পারে না। নাম নিয়ে বিবাদের জেরে মেসিডোনিয়া ন্যাটোর সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে ভেটো দিয়ে আসছে গ্রীস । দীর্ঘ ২৭ বছর অবসান ঘটিয়ে ১৭ জুন ২০১৮ ঐতিহাসিক সমঝোতার পৌঁছে দুটি দেশ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ দেশটির নাম বদলে Republic of North Macedonia বা উত্তর মেসিডোনিয়া করা হয়। এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ NATO'র প্রটোকল স্বাক্ষর করে। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ প্রথম দেশ হিসেবে গ্রিসের পার্লামেন্টে মেসিডোনিয়ার স্বাক্ষরিত প্রটোকল অনুমোদন করে। ১৯ মার্চ ২০২০ স্পেন ২৯তম বা সর্বশেষ দেশ হিসেবে প্রটোকল অনুমোদন ২৭ মার্চ ২০২০ মেসিডোনিয়ার ৩০ তম সদস্য লাভ করে।
পূর্নরূপঃ North Atlantic Treaty Organization (NATO) নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশন।
প্রতিষ্ঠাকালঃ ০৪ এপ্রিল, ১৯৪৯।
সদর দপ্তরঃ ব্রাসেলস, বেলজিয়াম। প্রতিষ্ঠাকালীন সদর দপ্তর ছিল যুক্তরাজ্যের লন্ডনে। ১৯৫২ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৬৭ সালে ব্রাসেলসে স্থানান্তরিত করা হয়।
সংস্থার প্রধানঃ মহাসচিব।
মেয়াদকালঃ ৪ বছর।
ন্যাটোভুক্ত মুসলিম দেশঃ দুইটি ১) আলবেনিয়া ও ২) তুরস্ক।
মহাদেশ ভিত্তিক ন্যাটোর বর্তমান সদস্য বিন্যাসঃ
#এশিয়া মহাদেশে ১টি তুরস্ক
#উত্তর আমেরিকার ২টি (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা) এবং
# ইউরোপের ২৭ টি দেশ ।
মহাসচিবঃ
প্রথম মহাসচিবঃ জেনারেল হাসটিং লিওনেল ইসমে (যুক্তরাজ্য) ২৪ মার্চ ১৯৫২ - ১৬ মে ১৯৫৭।
বর্তমান মহাসচিব জেমন স্টলেনবার্গ (নরওয়ে) ১ অক্টোবর 2004 -- বর্তমান ।
NATO
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়া নিয়ে গঠিত একটি সামরিক সহযোগিতার জোট ন্যাটো। এটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক সংগঠন। ন্যাটোর মোট সদস্য সংখ্যা ৩০। ২৭ মার্চ ২০২০ উত্তর মেসিডোনিয়া ৩০ তম সদস্য লাভ করে।
৪ এপ্রিল ১৯৪৯ ইউরোপের ১০টি দেশ ( বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, আইসল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্য ) এবং উত্তর আমেরিকার দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা মিলে গঠিত হয় ন্যাটো।
মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসন ও পশ্চিম ইউরোপের দেশসমূহের স্বাধীনতা অখন্ডতা বজায় রাখাই ছিল এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য। চুক্তির পঞ্চম অনুচ্ছেদে সংগঠনের মূলনীতি বলা আছে যে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার কোন সদস্য দেশসমূহের উপর অন্য কোন দেশ সামরিক হামলা করলে সংগঠনের সকল সদস্যের উপর হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে। আর যদি এমন কোনো হামলা হয় তাহলে জাতিসংঘ চার্টারের 51 নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একক অথবা সংঘবদ্ধভাবে শত্রুর মোকাবিলা করা হবে। প্রয়োজনে সামরিক হামলা চালানো হবে এবং উত্তর আটলান্টিকের দেশ সমূহের নিরাপত্তা বজায় রাখা হবে।
ন্যাটো বাহিনী ২০০৩ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে International Security Assistance Force (ISAF) মিশনে অংশগ্রহণ করে। এটি ইউরোপের বাহিরে ন্যাটো বাহিনীর প্রথম মিশন।
ন্যাটোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর খরচ পৃথিবীর সকল দেশের সামরিক খরচের প্রায় 70 ভাগ।
অন্যদিকে ১৪ মে ১৯৫৫ প্রধানত পূর্ব ইউরোপের কমিউনিস্ট দেশগুলো সংঘবদ্ধ হয়ে নাটো বিরোধী ওয়ারশ সামরিক জোট (Warshaw Theaty Organization ) গঠন করে । যদিও জোটটি ১ জুলাই ১৯৯১ বিলুপ্ত করা হয় ।এই জোটের সদস্য দেশ আলবেনিয়া, জার্মান, বুলগেরিয়া, চেকোস্লাভাকিয়া( বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্র স্লোভাকিয়া ), হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও রোমানিয়া বর্তমানে ন্যাটোভুক্ত হয়েছে।
ন্যাটোর সম্প্রসারণ ও অন্তর্ভুক্ত দেশ সমূহঃ
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ঃ গ্রিস ও তুরস্ক।
০ ৮ মে ১৯৫৫ঃ জার্মান।
৩০ মে ১৯৮২ঃ স্পেন।
১২ মার্চ ১৯৯৯ঃ চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি,ও পোল্যান্ড।
২৯ মার্চ ২০০৪ঃ বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, ও লাটাভিয়া, লিথুনিয়া রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া ও স্লোভেনিয়া।
০১ এপ্রিল ২০০৯ঃ আলবেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়া।
০৫ জুন ২০১৭ঃ মন্টিনিগ্রো।
২৭ মার্চ ২০২০ঃ উত্তর মেসিডোনিয়া।
……………………30 তম সদস্য উত্তর মেসিডোনিয়া……………………
৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ যুগোস্লাভিয়ার একটি অংশ স্বাধীন হবার পর নিজেদের নাম রাখে মেসিডোনিয়া। কিন্তু দক্ষিণ প্রতিবেশী দেশ গ্রীস তাতে আপত্তি জানায়। কারণ মেসিডোনিয়া নামে একটি অঞ্চল রয়েছে।. দুটি দেশের পক্ষে থেকে মেসিডোনিয়া নামটি তাদের বলে দাবি করা হয়। গ্রীসের উত্তরাঞ্চলীয় একটি রাজ্যের নাম মেসিডোনিয়া। আবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশের নাম মেসিডোনিয়া।গ্রীকদের দাবি, মেসিডোনিয়া নাম তাদের অন্য কোন দেশ হতে পারে না। নাম নিয়ে বিবাদের জেরে মেসিডোনিয়া ন্যাটোর সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে ভেটো দিয়ে আসছে গ্রীস । দীর্ঘ ২৭ বছর অবসান ঘটিয়ে ১৭ জুন ২০১৮ ঐতিহাসিক সমঝোতার পৌঁছে দুটি দেশ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ দেশটির নাম বদলে Republic of North Macedonia বা উত্তর মেসিডোনিয়া করা হয়। এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ NATO'র প্রটোকল স্বাক্ষর করে। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ প্রথম দেশ হিসেবে গ্রিসের পার্লামেন্টে মেসিডোনিয়ার স্বাক্ষরিত প্রটোকল অনুমোদন করে। ১৯ মার্চ ২০২০ স্পেন ২৯তম বা সর্বশেষ দেশ হিসেবে প্রটোকল অনুমোদন ২৭ মার্চ ২০২০ মেসিডোনিয়ার ৩০ তম সদস্য লাভ করে।