প্রয়োজন ও সামর্থ্যের হিসেব মেলাতে গিয়ে অনেক সময় চাপা পড়ে যায় শখ। কিন্তু জীবনে তো শখের গুরুত্বও নেহাত কম নয়। তাছাড়া শখ মানেই কোন কিছুর সঙ্গে আবেগের সম্পর্ক গড়ে তোলা; যা পরোক্ষে নিজেকে মানসিকভাবে ফুল্ল রাখাও প্রক্রিয়াও।
শখ হলেই কিনে ফেললেন দামি একটা ক্যামেরা। আবার ইচ্ছা হলেই বেরিয়ে পড়লেন বড় কোনো রেস্টুরেন্টে নতুন খাবারের স্বাদ নিতে। তবে দিন বদলে গেছে। পাল্টে গেছে পরিস্থিতিও। করোনার এই সময়ে শখের পেছনে কত টাকা খরচ করা সমীচীন?
কনজিউমার কমেন্টারি ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা লিউক ল্যান্ডেস বলছেন, 'হতে পারে আপনার শখ থেকে এখন কোনো অর্থ আসছে না, কিন্তু সেটা ভবিষ্যতে আপনাকে চমকে দিতে পারে। এই ব্লগটাও আমি শুরু করেছিলাম শখের বশেই। এখন এটা আমার আয়ের প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে। আমি যেটা করতে পছন্দ করি, তা থেকেই অর্থ আয়ের বিষয়টা খুবই অসাধারণ।'
লিউকে শক ফটোগ্রাফি
লিউকের আরও একটি শখ আছে। ফটোগ্রাফি। কিন্তু একে ঠিক অর্থ আয়ের উৎস বানাতে পারেননি তিনি। শখ থেকে টাকা আসছে কি না, তা পরের বিষয়। কিন্তু শখ পূরণে কত ব্যয় করবেন? নির্ভর করবে আপনার অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে কত টাকার দরকার হয়, তার ওপর।
জীবন তো সুন্দরভাবে যাপন করার জন্যই। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পছন্দের কাজে কিছু টাকা খরচ করার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। তবে সব মাসিক বিল পরিশোধ করা এবং ভবিষ্যতের জন্য খানিকটা সঞ্চয় রাখার পর পছন্দসই বিষয়ে খরচ করা সব সময় সহজ হবে না মোটেও। আবার প্রয়োজন মেটানোর জন্য আয় পর্যাপ্ত হলে শখের পেছনেই ৫০ শতাংশ খরচ করে ফেললেও কিছু এসে যাবে না।
ব্যায়ামকেও প্রয়োজনীয় শখ হিসাবে নিচ্ছেন অনেকে
কিছু কিছু শখ অন্যগুলোর থেকে খুবই ব্যয়বহুল। এ ক্ষেত্রে লিউকের পরামর্শ হচ্ছে, অনেক সময় একই ধরনের আনন্দ কম খরচ করেও কোনো কিছু থেকে পাওয়া যায়। যেমন হয়তো আপনার ফটোগ্রাফি করার শখ। তাহলে কিনতে পারেন ব্যবহার করা কোনো ক্যামেরা বা লেন্স অথবা ব্যয়বহুল কোনো রেস্টুরেন্টে না গিয়ে পছন্দের খাবার তৈরি করে নিতে পারেন ঘরেই।
করোনাকালে ঘরে বসেও কিছু শখের চর্চা করতে পারেন। যেমন ধরুন, এই সময়ে আত্মোন্নয়নের চেষ্টা করতে পারেন। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করতে পারেন। ঘরে বসেই করতে পারেন অভিনব কিছু করার চেষ্টা। নিজেকে সুস্থ–সবল রাখতে ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ব্যায়াম করতে পারেন।
করোনাকালে বেকিংয়ে সময় দিচ্ছেন অনেকে
বেকিংয়ে খানিকটা সময় দিতে পারেন। এই সময়ে বাইরে থেকে খাবার আনা নিরাপদ নয়। এখন অনেকেই ঝুঁকছেন বেকিংয়ের দিকে। কেউ কেউ বেকিংকে একটা থেরাপি হিসেবে দেখছেন।
বাগান করায় মনোযোগী এখন অনেকে
করোনাকালে অনেকেই ঝুঁকেছেন বাগান করার দিকে। নিজের মনকে শান্ত করার এর থেকে ভালো আর কোনো উপায় নেই। কয়েক মাস পর সেখান থেকে ফলও আসবে। বাগান শুরু করার জন্য বড় কোনো জায়গার দরকার নেই। ঘরের কোনো পাত্রে শুরু করতে পারেন, দরকার হবে শুধু মাটি, সূর্যের আলো আর জল।
করোনাকালে চর্চা করার মতো আরেকটি শখ হলো অডিও রেকর্ডিং। প্রথমে অনেকেই এটাকে অনিশ্চিত শখ হিসেবেই অভিহিত করছিল। কিন্তু পরে দেখা গেল, এতে খুব কম প্রচেষ্টা দিয়েই নিজের বিশেষ কোনো গুণের খোঁজ করা যায়। ঘরে বসে কোনো যন্ত্রের সুর রেকর্ড করতে পারেন, পডকাস্ট রেকর্ডিং করতে পারেন। সাউন্ড সফটওয়্যার আর ভালো কোনো মাইক্রোফোন সেট ছাড়া এই শখ পূরণের ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা নেই। সবার জন্য সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরতে অস্বস্তি বোধ করলে না হয় নিজের কাছেই জমা রেখে দিলেন।
করোনাকালে চর্চা করার মতো আরেকটি শখ হলো অডিও রেকর্ডিং
লিউক লিখছেন, আপনি নিজের আয়ের কতটা অংশ শখের জন্য ব্যয় করবেন, তা আপনার আয়ের ওপরই নির্ভর করবে। সব প্রয়োজন মিটিয়ে, ভবিষ্যৎ নিরাপদ করে আপনি চাইলে শখ পূরণে আয়ের ১ শতাংশ ব্যয় করতে পারেন। আবার চাইলে ১০ শতাংশও।
শখ হলেই কিনে ফেললেন দামি একটা ক্যামেরা। আবার ইচ্ছা হলেই বেরিয়ে পড়লেন বড় কোনো রেস্টুরেন্টে নতুন খাবারের স্বাদ নিতে। তবে দিন বদলে গেছে। পাল্টে গেছে পরিস্থিতিও। করোনার এই সময়ে শখের পেছনে কত টাকা খরচ করা সমীচীন?
কনজিউমার কমেন্টারি ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা লিউক ল্যান্ডেস বলছেন, 'হতে পারে আপনার শখ থেকে এখন কোনো অর্থ আসছে না, কিন্তু সেটা ভবিষ্যতে আপনাকে চমকে দিতে পারে। এই ব্লগটাও আমি শুরু করেছিলাম শখের বশেই। এখন এটা আমার আয়ের প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে। আমি যেটা করতে পছন্দ করি, তা থেকেই অর্থ আয়ের বিষয়টা খুবই অসাধারণ।'
লিউকে শক ফটোগ্রাফি
লিউকের আরও একটি শখ আছে। ফটোগ্রাফি। কিন্তু একে ঠিক অর্থ আয়ের উৎস বানাতে পারেননি তিনি। শখ থেকে টাকা আসছে কি না, তা পরের বিষয়। কিন্তু শখ পূরণে কত ব্যয় করবেন? নির্ভর করবে আপনার অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে কত টাকার দরকার হয়, তার ওপর।
জীবন তো সুন্দরভাবে যাপন করার জন্যই। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পছন্দের কাজে কিছু টাকা খরচ করার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। তবে সব মাসিক বিল পরিশোধ করা এবং ভবিষ্যতের জন্য খানিকটা সঞ্চয় রাখার পর পছন্দসই বিষয়ে খরচ করা সব সময় সহজ হবে না মোটেও। আবার প্রয়োজন মেটানোর জন্য আয় পর্যাপ্ত হলে শখের পেছনেই ৫০ শতাংশ খরচ করে ফেললেও কিছু এসে যাবে না।
ব্যায়ামকেও প্রয়োজনীয় শখ হিসাবে নিচ্ছেন অনেকে
কিছু কিছু শখ অন্যগুলোর থেকে খুবই ব্যয়বহুল। এ ক্ষেত্রে লিউকের পরামর্শ হচ্ছে, অনেক সময় একই ধরনের আনন্দ কম খরচ করেও কোনো কিছু থেকে পাওয়া যায়। যেমন হয়তো আপনার ফটোগ্রাফি করার শখ। তাহলে কিনতে পারেন ব্যবহার করা কোনো ক্যামেরা বা লেন্স অথবা ব্যয়বহুল কোনো রেস্টুরেন্টে না গিয়ে পছন্দের খাবার তৈরি করে নিতে পারেন ঘরেই।
করোনাকালে ঘরে বসেও কিছু শখের চর্চা করতে পারেন। যেমন ধরুন, এই সময়ে আত্মোন্নয়নের চেষ্টা করতে পারেন। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করতে পারেন। ঘরে বসেই করতে পারেন অভিনব কিছু করার চেষ্টা। নিজেকে সুস্থ–সবল রাখতে ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ব্যায়াম করতে পারেন।
করোনাকালে বেকিংয়ে সময় দিচ্ছেন অনেকে
বেকিংয়ে খানিকটা সময় দিতে পারেন। এই সময়ে বাইরে থেকে খাবার আনা নিরাপদ নয়। এখন অনেকেই ঝুঁকছেন বেকিংয়ের দিকে। কেউ কেউ বেকিংকে একটা থেরাপি হিসেবে দেখছেন।
বাগান করায় মনোযোগী এখন অনেকে
করোনাকালে অনেকেই ঝুঁকেছেন বাগান করার দিকে। নিজের মনকে শান্ত করার এর থেকে ভালো আর কোনো উপায় নেই। কয়েক মাস পর সেখান থেকে ফলও আসবে। বাগান শুরু করার জন্য বড় কোনো জায়গার দরকার নেই। ঘরের কোনো পাত্রে শুরু করতে পারেন, দরকার হবে শুধু মাটি, সূর্যের আলো আর জল।
করোনাকালে চর্চা করার মতো আরেকটি শখ হলো অডিও রেকর্ডিং। প্রথমে অনেকেই এটাকে অনিশ্চিত শখ হিসেবেই অভিহিত করছিল। কিন্তু পরে দেখা গেল, এতে খুব কম প্রচেষ্টা দিয়েই নিজের বিশেষ কোনো গুণের খোঁজ করা যায়। ঘরে বসে কোনো যন্ত্রের সুর রেকর্ড করতে পারেন, পডকাস্ট রেকর্ডিং করতে পারেন। সাউন্ড সফটওয়্যার আর ভালো কোনো মাইক্রোফোন সেট ছাড়া এই শখ পূরণের ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা নেই। সবার জন্য সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরতে অস্বস্তি বোধ করলে না হয় নিজের কাছেই জমা রেখে দিলেন।
করোনাকালে চর্চা করার মতো আরেকটি শখ হলো অডিও রেকর্ডিং
লিউক লিখছেন, আপনি নিজের আয়ের কতটা অংশ শখের জন্য ব্যয় করবেন, তা আপনার আয়ের ওপরই নির্ভর করবে। সব প্রয়োজন মিটিয়ে, ভবিষ্যৎ নিরাপদ করে আপনি চাইলে শখ পূরণে আয়ের ১ শতাংশ ব্যয় করতে পারেন। আবার চাইলে ১০ শতাংশও।